কলকাতা, 17 জানুয়ারি: এর আগেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অধ্যাপক সংগঠন একত্রে বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সংশোধিত বেতন কাঠামো পুরোপুরি দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেবেন। আজ সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী 17 টি অধ্যাপকদের সংগঠন যৌথভাবে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রীকে। তাঁদের দাবি, নোশোনালি নয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী 2016 সালের 1 জানুয়ারি থেকে সম্পূর্ণভাবে লাগু করতে হবে সংশোধিত বেতন কাঠামো।
আজ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে যে 17 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন স্বাক্ষর করেছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (JUTA), কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (CUTA), অল বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন (ABUTA), রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (RBUTA), বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (VUTA), বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (BUTA), কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পরিষদ (KUTC), আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন (AUTA), MAKAUT টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, BCKV টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, ডায়মন্ড হারবার ওমেন্স ইউনিভার্সিটি টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন, রানীগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন, UBKV টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং WBUAFS টিচার্স অ্যাসোসিয়েশন।
মোট 17 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের সংগঠন যৌথভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে যে চিঠি পাঠিয়েছেন তাতে বলা হয়েছে, 17 টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সংগঠন যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে চিঠি দিচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী যেন বিষয়টি ব্যক্তিগতভাবে দেখেন ও তার প্রেক্ষিতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। বলা হয়েছে, দু'বছর আগে 2017 সালের নভেম্বর মাসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের জন্য নতুন পে-স্কেল প্রকাশ করেছিল। যদিও, আমরা খুবই হতাশ এটা দেখে যে, 2019 সালের 30 ডিসেম্বর পশ্চিমবঙ্গ সরকার সংশোধিত বেতন কাঠামোর নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে তার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের 2017 সালের নভেম্বর মাসের সংশোধিত পে-স্কেলের কোনও সামঞ্জস্য নেই ।
তাই 17 টি অধ্যাপক সংগঠন মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়েছে, প্রথমত, 2016 সালের 1 জানুয়ারি থেকে সংশোধিত বেতন কাঠামো নোশোন্যালি নয়, সম্পূর্ণভাবে লাগু করতে হবে । সম্পূর্ণভাবে লাগু করলে কেন্দ্রীয় সরকারের 2019 সালের 31 মার্চ পর্যন্ত বকেয়ার 50 শতাংশ দেওয়ার কথা । তাই রাজ্য সরকার বকেয়া না দিয়ে একদিকে যেমন রাজ্যের শিক্ষক সমাজকে বঞ্চিত করছে, অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সুবিধা করে দিচ্ছে । এই দাবিসহ পে-স্কেল সংক্রান্ত মোট ছয় দফা দাবি জানানো হয়েছে চিঠিতে। চিঠিটি মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানোর পাশাপাশি শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, শিক্ষা সচিব মনীশ জৈন ও আচার্য জগদীপ ধনকড়কেও পাঠানো হয়েছে । এই চিঠির প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর কোন জবাব না পেলে এরপর আন্দোলনের রাস্তা বেছে নেবেন বলে জানাচ্ছেন JUTA-র সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় । তিনি বলেন, "এরপর আমরা একত্রে আন্দোলনে পথে যাব।"