ETV Bharat / city

সুজাপুরে গাড়ি ভাঙচুর করেছে পুলিশ, তদন্তে মিলল প্রমাণ

বনধের দিনের সুজাপুরের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার পরই শুরু হয়েছিল পুলিশের তীব্র নিন্দা । ভিডিয়োতে পুলিশকে গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা গিয়েছিল । বিভাগীয় তদন্তে সেই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকারই প্রমাণ মিলল ।

Sujapur
ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jan 16, 2020, 2:48 AM IST

কলকাতা, 16 জানুয়ারি : বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সুজাপুর । একটি ভিডিয়োয় পুলিশকে গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায় । এরপরেই এই ঘটনার CID তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় । রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, বিভাগীয় তদন্তে সুজাপুরের ওই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে । ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন কনস্টেবল ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

CAA ও NRC-সহ 8 জানুয়ারি একাধিক ইশুতে বনধের ডাক দেয় বাম-কংগ্রেস জোট । পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মতো মালদাতেও তার প্রভাব দেখা যায় । সকাল থেকে সেরকম কোনও প্রভাব দেখা যায়নি । তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে । তপ্ত হয়ে ওঠে সুজাপুর । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে মানুষ । বোমা ফাটতে শুরু করে । পুলিশের পাঁচটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । সেইসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । প্রায় 6 ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক । পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।

এই সবের মাঝে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে । যেখানে পুলিশকে ইট ছুড়তে দেখা যায় । শুধু তাই নয়, পুলিশকে গাড়ি ভাঙচুর করতেও দেখা যায় । পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । ঘটনায় জড়িতদের কোনওরকম রেয়াত না করার নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে । এরপরেই শুরু হয় তদন্ত । তাতে তিনজন কনস্টেবল ও দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে । রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

কলকাতা, 16 জানুয়ারি : বাম-কংগ্রেসের ডাকা বনধকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সুজাপুর । একটি ভিডিয়োয় পুলিশকে গাড়ি ভাঙচুর করতে দেখা যায় । এরপরেই এই ঘটনার CID তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয় । রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, বিভাগীয় তদন্তে সুজাপুরের ওই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে । ইতিমধ্যে এই ঘটনায় অভিযুক্ত তিন কনস্টেবল ও দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

CAA ও NRC-সহ 8 জানুয়ারি একাধিক ইশুতে বনধের ডাক দেয় বাম-কংগ্রেস জোট । পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলার মতো মালদাতেও তার প্রভাব দেখা যায় । সকাল থেকে সেরকম কোনও প্রভাব দেখা যায়নি । তবে, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে উত্তেজনা ছড়াতে শুরু করে । তপ্ত হয়ে ওঠে সুজাপুর । পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি শুরু করে মানুষ । বোমা ফাটতে শুরু করে । পুলিশের পাঁচটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় । সেইসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ । প্রায় 6 ঘণ্টা ধরে অবরুদ্ধ থাকে 34 নম্বর জাতীয় সড়ক । পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে ।

এই সবের মাঝে একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে । যেখানে পুলিশকে ইট ছুড়তে দেখা যায় । শুধু তাই নয়, পুলিশকে গাড়ি ভাঙচুর করতেও দেখা যায় । পুলিশের এই আচরণের তীব্র নিন্দা করে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি । ঘটনায় জড়িতদের কোনওরকম রেয়াত না করার নির্দেশ দেওয়া হয় নবান্নের তরফে । এরপরেই শুরু হয় তদন্ত । তাতে তিনজন কনস্টেবল ও দু'জন সিভিক ভলান্টিয়ারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে । রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে ।

Intro:কলকাতা, 15 জানুয়ারি: সাধারণ ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মালদার সুজাপুর। ঘটনায় পুলিশের একাধিক গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগ ওঠে। যদিও বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে সিপিআইএমের তরফে অভিযোগ করা হয়, গাড়ি ভাঙচুর করেছে পুলিশ। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায় গাড়ি ভাঙছে পুলিশ। সেই ঘটনার নিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়ারিতে ওই ঘটনায় পুলিশের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে প্রাথমিকভাবে। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর এমনটাই। অন্যদিকে নৈহাটির বিস্ফোরণের ঘটনাতেও পুলিশের গাফিলতির প্রমাণ পেয়েছে প্রশাসন। তার জেরে বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করল প্রশাসন। মালদায় ভাঙচুরে জড়িত থাকার অভিযোগে দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার কেউ দেওয়া হল শাস্তি।


Body:সকাল থেকেই উত্তপ্ত ছিল মালদার সুজাপুর। ধর্মঘটের শুরুতেই 34 নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয়। যা চলে প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে। পরিস্থিতি ক্রমশ ঘোরানো হচ্ছে বুঝতে পেরে পুলিশের উচ্চ পর্যায়ে দল সেখানে যায় অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলতে। অনুরোধ করা হয় অবরোধ তুলে দেবার জন্য। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এরই মাঝে বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে শুরু করেন। ইটের আঘাতে আহত হন বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্মী । পরে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। এতে পরিস্থিতি আরও ঘোরালো হয়ে যায়। চারিদিক থেকে মুহুর্মুহু ইট বর্ষন শুরু হয়। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়া হয়। তখন পুলিশ জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট ছুড়তে শুরু করে। ফাটানো হয় কাঁদানে গ্যাসের শেল। এই সময়ে পুলিশের গাড়ি, কিছু বাসে আগুন দেওয়া হয়। ঘটনায় নবান্নের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়, গন্ডগোলের জড়িতদের কাউকেই রেয়াত না করার। সেই ঘটনায় পুলিশের ডিপার্টমেন্টাল এনকোয়ারিতে তিনজন কনস্টেবল এবং দুইজন সিভিক ভলেন্টিয়ারের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এই 5 জনই গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। যার ফুটেজ পাওয়া গিয়েছিল সেদিন। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর অভিযুক্তদের সাসপেন্ড করা হয়েছে।



Conclusion:অন্যদিকে, সিনিয়র পুলিশ অফিসারদের সন্দেহ ছিল নৈহাটিতে যেভাবে বাজি নিষ্ক্রিয় করা হচ্ছিল তাতে পদ্ধতিগত ত্রুটি ছিল। এই পদ্ধতিতে বাজি নিষ্ক্রিয় করতে হলে মাটি অনেকখানি গর্ত করে তারপর একসঙ্গে বাজি গুলিকে না রেখে একটু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রেখে নিষ্ক্রিয় করা হলে এত বড় বিস্ফোরণ হতো না। এমনটাই মত ছিল সিনিয়রদের । তাদের দাবি ছিল, বিস্ফোরণের ফলে যে হিট ওয়েভ তৈরি হয় তার জেরেই চুঁচুড়া পর্যন্ত বিস্ফোরণের প্রভাব দেখা গেছে। গত 9 জানুয়ারির সেই ঘটনায় ওসি বম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াড, নৈহাটি থানার অফিসার ইনচার্জ, এবং বাজি নিষ্ক্রিয়তে যুক্ত থাকা অন্য এক অফিসারকে গাফিলতির দাঁড়িয়ে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.