কলকাতা, 6 মে: কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক থুতু ফেলা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বারবার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও রাস্তাঘাটে থুতু ফেলতে নিষেধ করেছেন। লকডাউনের প্রোটোকলের মধ্যে বিষয়টি রয়েছে। যেহেতু কোরোনা ভাইরাস ছড়ায় লালারসের মাধ্যমে। তাই এখন রাস্তাঘাটে থুতু ফেললেই গ্রেপ্তার হতে হচ্ছে। এই বিষয়ে কড়া মনোভাব দেখাচ্ছে পুলিশ। এইসঙ্গে এবার কলকাতা পুলিশের কন্ট্রোল রুম থেকেও শুরু হল থুতু ফেলা নিয়ে নজরদারি। মূলত CCTV-র মাধ্যমে শুরু হল এই নজরদারির কাজ। CCTV-তে কাউকে গাড়ি থেকে থুতু ফেলতে দেখা গেলেই তাঁকে খুঁজে বের করে গ্রেপ্তার করা শুরু করল পুলিশ।
সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক একটি নির্দেশিকায় জানায়, চিবিয়ে খাওয়া তামাক, পান মশলা কিংবা সুপারি মুখের মধ্যে অতিরিক্ত লালার জন্ম দেয়। একই কথা খাটে খৈনির ক্ষেত্রেও। এগুলি খাওয়ার পর স্বভাবতই অতিরিক্ত থুতু ফেলার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। যাতে করে দ্রুত সংক্রমণ ছড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই কথা মাথায় রেখেই গত 7 নভেম্বর থেকে গুটকা ও পান মশলার বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এরপরও সব ক্ষেত্রে বিক্রি বন্ধ হয়নি। অভিযোগ, লকডাউনের মধ্যেও কলকাতায় বিক্রি হচ্ছে গুটখা।
তবে, সাম্প্রতিককালে থুতু ফেলার ক্ষেত্রে রেয়াত করছে না শহরের পুলিশ। ঘটেছে একাধিক গ্রেপ্তারির ঘটনা। সেই তাতেই নতুন মাত্রা যোগ করল CCTV নজরদারি।
CCTV-র মাধ্যমে গাড়ি থেকে কেউ থুতু ফেললে সেই গাড়িটিকে চিহ্নিত করছে পুলিশ। সেই গাড়ির নম্বরের মাধ্যমে বের করা হচ্ছে মালিকের নাম। তারপর গ্রেপ্তার করা হচ্ছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে। এই পদ্ধতিতে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।