ETV Bharat / city

কমিশনারের কড়া বার্তার একমাসের মধ্যে মুচিপাড়া ডাকাতিতে চার্জশিট

কমিশনারের কড়া বার্তার মাসখানেকের মধ্যে মুচিপাড়া ডাকাতি ও অপহরণের মামলায় চার্জশিট পুলিশের ৷ ওই ডাকাতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক ASI এবং এক পুলিশ কনস্টেবলকে ৷

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Sep 17, 2019, 5:31 AM IST

কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : মাসখানেকের ব্যবধান । গতমাসে ক্রাইম কনফারেন্সে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বার্তা দিয়েছিলেন, পুলিশকর্মীদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া বরদাস্ত করা হবে না । ওইদিনই অপহরণ এবং ডাকাতিতে অভিযুক্ত এক ASI এবং এক কনস্টেবলকে আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন অনুজ শর্মা । মুচিপাড়া ডাকাতি এবং অপহরণের ঘটনায় ওই ক্রাইম মিটিংয়ে ডাকাতি দমন শাখার OC-কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন । ওই মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশের নির্দেশ দেন তিনি । দেখতে বলেন যাতে ধৃত সাতজনকে হেপাজতে রেখে বিচার চালানোর পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় । তার একমাসের মধ্যেই চার্জশিট জমা দিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । সপ্তাহের কাজের শুরুর দিনেই সেই চার্জশিট জমা পড়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর । আগামীকাল ক্রাইম কনফারেন্সের আগেই কমিশনারের কথা রাখল গোয়েন্দা বিভাগ ।

ঘটনা 4 জুলাইয়ের । নদিয়ার জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাবলু নাথ লাখ খানেক টাকা আর গয়না নিয়ে বউবাজারে এসেছিলেন । সাধারণভাবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই গয়না বানান । অভিযোগ, তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় একটি গাড়ি । বলা হয়, পুলিশের চেকিং চলছে । বাবলুকে গাড়িতে উঠতে হবে তখনই । ভয় পেয়ে বাবলু ওই গাড়িতে উঠে পড়েন । তাঁর বক্তব্য, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর চত্বরে । আর সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয় ৷ তিনি এরপর মুচিপাড়া থানা এলাকায় যান । পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানান ।

এই সংক্রান্ত খবর : ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ডাকাতিতে গ্রেপ্তার মাস্টারমাইন্ড কনস্টেবল

তদন্তে নামে পুলিশ । CCTV ক্যামেরা সূত্র ধরে প্রথমেই পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক নেপাল ধরকে । তাকে জেরা করেই জানা যায়, গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI আশিস চন্দ্র । সঙ্গে ছিল আরও তিনজন । পুলিশ নেপাল এবং আশিস এবং বাদল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে । এই মুহূর্তে তারা রয়েছে পুলিশ হেপাজতে । গোটা ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানাকে সাহায্য করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান পাওয়া যায় । সেই সূত্রে মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা ।

তবে লালবাজারের গোয়েন্দারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ঘটনায় টিপার কে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদলকে কড়া ভাবে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সেই তথ্য । টিপার বাদলেরই পরিচিত মিঠুন মাথ ওরফে হোড় । সে শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা । নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর এলাকাতেও তার বাড়ি আছে । সে বাবলু নাথের এলাকারই বাসিন্দা । ফলে বাবলুর অনেক কিছুই সে জানত । মিঠুন নিজের ব্যবসার কাজে দমদমে যাতায়াত করত । সেখানেই বাদলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় । ঘটনার দিন অর্থাৎ 4 জুলাই মিঠুন বাবলুকে মাজদিয়া স্টেশন থেকেই ফলো করতে শুরু করে । একই ট্রেনে আসে শিয়ালদা । তারপর শিকারকে চিনিয়ে দেয় আশিস চন্দ্রদের । সেই সূত্রে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

তদন্তের প্রথমেই পাওয়া যায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল উৎপল করের নাম । বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছিতে । বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ওই কনস্টেবলই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড । তাঁকে বীজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ।

কলকাতা, 17 সেপ্টেম্বর : মাসখানেকের ব্যবধান । গতমাসে ক্রাইম কনফারেন্সে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বার্তা দিয়েছিলেন, পুলিশকর্মীদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া বরদাস্ত করা হবে না । ওইদিনই অপহরণ এবং ডাকাতিতে অভিযুক্ত এক ASI এবং এক কনস্টেবলকে আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন অনুজ শর্মা । মুচিপাড়া ডাকাতি এবং অপহরণের ঘটনায় ওই ক্রাইম মিটিংয়ে ডাকাতি দমন শাখার OC-কে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন । ওই মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশের নির্দেশ দেন তিনি । দেখতে বলেন যাতে ধৃত সাতজনকে হেপাজতে রেখে বিচার চালানোর পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয় । তার একমাসের মধ্যেই চার্জশিট জমা দিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । সপ্তাহের কাজের শুরুর দিনেই সেই চার্জশিট জমা পড়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর । আগামীকাল ক্রাইম কনফারেন্সের আগেই কমিশনারের কথা রাখল গোয়েন্দা বিভাগ ।

ঘটনা 4 জুলাইয়ের । নদিয়ার জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাবলু নাথ লাখ খানেক টাকা আর গয়না নিয়ে বউবাজারে এসেছিলেন । সাধারণভাবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই গয়না বানান । অভিযোগ, তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় একটি গাড়ি । বলা হয়, পুলিশের চেকিং চলছে । বাবলুকে গাড়িতে উঠতে হবে তখনই । ভয় পেয়ে বাবলু ওই গাড়িতে উঠে পড়েন । তাঁর বক্তব্য, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় বিমানবন্দর চত্বরে । আর সবকিছু কেড়ে নেওয়া হয় ৷ তিনি এরপর মুচিপাড়া থানা এলাকায় যান । পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানান ।

এই সংক্রান্ত খবর : ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ডাকাতিতে গ্রেপ্তার মাস্টারমাইন্ড কনস্টেবল

তদন্তে নামে পুলিশ । CCTV ক্যামেরা সূত্র ধরে প্রথমেই পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক নেপাল ধরকে । তাকে জেরা করেই জানা যায়, গাড়িটি ভাড়া করেছিলেন কলকাতা পুলিশের ASI আশিস চন্দ্র । সঙ্গে ছিল আরও তিনজন । পুলিশ নেপাল এবং আশিস এবং বাদল নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে । এই মুহূর্তে তারা রয়েছে পুলিশ হেপাজতে । গোটা ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানাকে সাহায্য করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ । ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটের সন্ধান পাওয়া যায় । সেই সূত্রে মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা ।

তবে লালবাজারের গোয়েন্দারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ঘটনায় টিপার কে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদলকে কড়া ভাবে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সেই তথ্য । টিপার বাদলেরই পরিচিত মিঠুন মাথ ওরফে হোড় । সে শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা । নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর এলাকাতেও তার বাড়ি আছে । সে বাবলু নাথের এলাকারই বাসিন্দা । ফলে বাবলুর অনেক কিছুই সে জানত । মিঠুন নিজের ব্যবসার কাজে দমদমে যাতায়াত করত । সেখানেই বাদলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় । ঘটনার দিন অর্থাৎ 4 জুলাই মিঠুন বাবলুকে মাজদিয়া স্টেশন থেকেই ফলো করতে শুরু করে । একই ট্রেনে আসে শিয়ালদা । তারপর শিকারকে চিনিয়ে দেয় আশিস চন্দ্রদের । সেই সূত্রে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ।

তদন্তের প্রথমেই পাওয়া যায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল উৎপল করের নাম । বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছিতে । বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ওই কনস্টেবলই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড । তাঁকে বীজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ।

Intro:কলকাতা, ১৭ অগাস্ট: মাসখানেকের ব্যবধান। গত ক্রাইম কনফারেন্সে কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বার্তা দিয়েছিলেন, পুলিশকর্মীদের অপরাধে জড়িয়ে পড়া বরদাস্ত করা হবে না। ওইদিনই অপহরণ এবং ডাকাতিতে অভিযুক্ত এক ASI এবং এক কনস্টেবলকে আদালতের মাধ্যমে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন অনুজ। মুচিপারা ডাকাতি এবং অপহরণের ঘটনায় গত ক্রাইম মিটিংয়ে ডাকাতি দমন শাখার ওসিকে নির্দেশ দেন অনুজ। এই মামলায় দ্রুত তদন্ত শেষ করে চার্জশিট পেশের নির্দেশ দেন তিনি। দেখতে বলেন যাতে ধৃত সাতজনকে হেফাজতে রেখে বিচার চালানোর পাশাপাশি শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়।  তার এক মাস পরেই চার্জশিট জমা দিয়ে দিল লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। সপ্তাহের কাজের শুরুর দিনেই সেই চার্জশীট জমা পড়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। আগামীকাল ক্রাইম কনফারেন্সের আগেই কমিশনারের কথা রাখল গোয়েন্দা বিভাগ।
Body:ঘটনা ৪ জুলাইয়ের। নদিয়ার জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাবলু নাথ লাখ খানেক টাকা আর গয়না নিয়ে বউবাজারে এসেছিলেন। সাধারণভাবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই গয়না বানান। ব্যতিক্রম নন তিনিও। অভিযোগ, ঐদিন হঠাৎই তার পথ আজকে দাঁড়ায় একটি টাকা সুমো। বলা হয় পুলিশের রেড। বাবলুকে গাড়িতে উঠতে হবে তখনই। ভয় পেয়ে বাবলু ওই গাড়িতে উঠে পড়েন। তার দাবি, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট চত্বরে।তিনি এরপর মুচিপাড়া থানা এলাকায় যান। পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানান।

তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরা সূত্র ধরে প্রথমেই পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক নেপাল ধরকে। তাকে জেরা করেই জানা যায়, গাড়িটি ভাড়া করেছিল কলকাতা পুলিশের এ এস আই আশিস চন্দ্র। সঙ্গে ছিল বাদল সরকার সহ তিনজন। পুলিশ বাদল, নেপাল এবং আশিষকে গ্রেপ্তার করে গত সপ্তাহে। এই মুহূর্তে তারা রয়েছে পুলিশ কাস্টডিতে। গোটা ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানাকে সাহায্য করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ। ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সূত্রে মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা।

তবে লালবাজারের গোয়েন্দারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ঘটনায় টিপার কে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদলকে কড়া ভাবে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সেই তথ্য। টিপার বাদলেরই পরিচিত মিঠুন মাথ ওরফে হোড়। সে শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর এলাকাতেও তার বাড়ি আছে। সে বাবলু নাথের এলাকারই বাসিন্দা। ফলে বাবলুর অনেক কিছুই সে জানতো। মিঠুন নকল ফুলের ব্যবসা করে। সেই সূত্রে সে দমদমে যাতায়াত করতো। সেখানেই বাদলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ 4 জুলাই মিঠুন বাবলুকে মাজদিয়া স্টেশন থেকেই ফলো করতে শুরু করে। একই ট্রেনে আসে শিয়ালদা। তারপর শিকারকে চিনিয়ে দেয় আশিস চন্দ্রদের। সেই সূত্রে মিঠুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Conclusion:তদন্তের প্রথমেই পাওয়া যায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল উৎপল করের নাম। বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছিতে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ওই কনস্টেবলই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। তাকে বিজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।





ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.