ETV Bharat / city

26 ঘণ্টার মধ্যেই কলেজ স্ট্রিট থেকে বিক্ষোভকারীদের হটাল পুলিশ

নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে ওয়েটিং লিস্টে থাকা চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কলেজ স্ট্রিটে ৷ সল্টলেকে লাগাতার অবস্থান-অনশনের পাশাপাশি বৃহস্পতিবার থেকে বইপাড়াতেও আন্দোলনে নামেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ সেই কর্মসূচি শুরুর 26 ঘণ্টার মধ্যেই তাঁদের তুলে দিল পুলিশ ৷

wb_kol_01_college_street_sitting_agitation_7204411
26 ঘণ্টার মধ্যেই কলেজ স্ট্রিট থেকে বিক্ষোভকারীদের হঠাল পুলিশ
author img

By

Published : Feb 19, 2021, 7:34 PM IST

কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: সল্টলেকে চলছে তাঁদের অবস্থান-অনশন। এই কর্মসূচি চলাকালীনই তাঁদের প্রতি বঞ্চনার কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে কলেজ স্ট্রিটে আরও একটি অবস্থানে বসেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। দ্বিতীয় এই কর্মসূচিটি শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে ৷ আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, যে কোনও সময় তাঁদের তুলে দিতে পারে পুলিশ ৷ সেই আশঙ্কাই সত্যি হল শুক্রবার ৷ বৃহস্পতিবার অবস্থান শুরুর 26 ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থানরত শিক্ষকদের তুলে দিল পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, জোর করে অবস্থান তোলার আগে বারবার পুলিশের তরফে কর্মসূচি প্রত্য়াহারের আবেদন জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কোনও ৷

2016 সালে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এবং 2019 সালে শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের অনশনমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে 21 দিন ধরে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ ‘যৌথমঞ্চ’-এর ব্য়ানারে চলছে অবস্থান-অনশন ৷

আন্দোলনকারীদের পক্ষে তৃণা হালদার বলেন, ‘‘2016 সালে পরীক্ষার পর হাইকোর্টের নির্দেশে 2018 সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়। তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা যায় প্রথম পর্যায়ে ডাক পাওয়া সব প্রার্থীর নামই চলে যায় ওয়েটিং লিস্টে ৷ কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান। এছাড়াও ধরা পড়ে বিস্তর অসঙ্গতি ৷ প্রতিবাদে 2019 সালে প্রেস ক্লাবের কাছে 29 দিন ধরে অনশন করি আমরা ৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসে প্রতিশ্রুতি দেন, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হবে না।’’

আরও পড়ুন: এসএলএসটি উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফের বিক্ষোভ

অভিযোগ, সেই ঘটনার পর দু’বছর কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে 21 দিন ধরে সল্টলেকে অবস্থান ও 11 দিন ধরে অনশন করছেন তাঁরা। তার মধ্যেই নিজেদের দাবি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বৃহস্পতিবার থেকে কলেজ স্ট্রিটেও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিট ও এমজি রোড ক্রসিংয়ে অবরোধ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলার পর এমজি রোডের একধারে বসে শুরু হয় অবস্থান ৷ রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে ৷ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয় ৷

কলকাতা, 19 ফেব্রুয়ারি: সল্টলেকে চলছে তাঁদের অবস্থান-অনশন। এই কর্মসূচি চলাকালীনই তাঁদের প্রতি বঞ্চনার কথা সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরতে কলেজ স্ট্রিটে আরও একটি অবস্থানে বসেন নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক পদে নিয়োগের অপেক্ষায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। দ্বিতীয় এই কর্মসূচিটি শুরু হয় বৃহস্পতিবার থেকে ৷ আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, যে কোনও সময় তাঁদের তুলে দিতে পারে পুলিশ ৷ সেই আশঙ্কাই সত্যি হল শুক্রবার ৷ বৃহস্পতিবার অবস্থান শুরুর 26 ঘণ্টার মধ্যেই অবস্থানরত শিক্ষকদের তুলে দিল পুলিশ ৷ সূত্রের খবর, জোর করে অবস্থান তোলার আগে বারবার পুলিশের তরফে কর্মসূচি প্রত্য়াহারের আবেদন জানানো হয়েছিল ৷ কিন্তু তাতে লাভ হয়নি কোনও ৷

2016 সালে নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু করে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সেই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এবং 2019 সালে শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের অনশনমঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণের দাবিতে 21 দিন ধরে সল্টলেকে সেন্ট্রাল পার্কের পাঁচ নম্বর গেটের বাইরে অবস্থান চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ ‘যৌথমঞ্চ’-এর ব্য়ানারে চলছে অবস্থান-অনশন ৷

আন্দোলনকারীদের পক্ষে তৃণা হালদার বলেন, ‘‘2016 সালে পরীক্ষার পর হাইকোর্টের নির্দেশে 2018 সালে প্যানেল প্রকাশিত হয়। তার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হওয়ার পর দেখা যায় প্রথম পর্যায়ে ডাক পাওয়া সব প্রার্থীর নামই চলে যায় ওয়েটিং লিস্টে ৷ কিন্তু দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ে ডাক পাওয়া প্রার্থীরা চাকরি পেয়ে যান। এছাড়াও ধরা পড়ে বিস্তর অসঙ্গতি ৷ প্রতিবাদে 2019 সালে প্রেস ক্লাবের কাছে 29 দিন ধরে অনশন করি আমরা ৷ সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী এসে প্রতিশ্রুতি দেন, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীকে বঞ্চিত করা হবে না।’’

আরও পড়ুন: এসএলএসটি উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ফের বিক্ষোভ

অভিযোগ, সেই ঘটনার পর দু’বছর কেটে গেলেও প্রতিশ্রুতি পালন করেনি রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে 21 দিন ধরে সল্টলেকে অবস্থান ও 11 দিন ধরে অনশন করছেন তাঁরা। তার মধ্যেই নিজেদের দাবি সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে বৃহস্পতিবার থেকে কলেজ স্ট্রিটেও অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা ৷ বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা থেকে আড়াইটে পর্যন্ত কলেজ স্ট্রিট ও এমজি রোড ক্রসিংয়ে অবরোধ করেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রায় একঘণ্টা অবরোধ চলার পর এমজি রোডের একধারে বসে শুরু হয় অবস্থান ৷ রাত কাটে খোলা আকাশের নিচে ৷ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তুলে দেয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.