ETV Bharat / city

মুম্বইয়ে পুলিশকে খুনের চেষ্টা, কলকাতায় কেপমারি ; অবশেষে গ্রেপ্তার

কেপমারির তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করল এমন এক দুষ্কৃতীকে, যে খুন করতে চেয়েছিল মুম্বই পুলিশের এক কর্মীকে । অভিযুক্তর নাম মুকেশ মেনন । বাড়ি তামিলনাড়ুতে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, মুকেশের গোটা দেশে কেপমারির নেটওয়ার্ক রয়েছে । কলকাতাতেও রয়েছে তার এক এজেন্ট । সেই এজেন্টের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ।

মুকেশ মেনন
author img

By

Published : Sep 5, 2019, 5:11 AM IST

কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল । নতুন এক মডাস অপারেন্ডির কেপমারির তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করল এমন এক দুষ্কৃতীকে, যে খুন করতে চেয়েছিল মুম্বই পুলিশের এক কর্মীকে । বহু চেষ্টা করেও তার খোঁজ পাচ্ছিল না মুম্বই পুলিশ । পাশাপাশি ওই দুষ্কৃতী দেশজোড়া কেপমারি চক্রের অন্যতম পাণ্ডা । তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ । তাকে শহরে আনার তোড়জোড় চলছে ।

ঘটনার সূত্রপাত গত 16 অগাস্ট । বড়বাজারের রূপচাঁদ রায় রোডের বেসরকারী ব্যাঙ্কে ঘটে বেনজির এক কেপমারির ঘটনা । ওই ব্যাঙ্কে নির্মল আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী ন'লাখ টাকা জমা করতে গেছিলেন । ব্যাঙ্কে ঢোকার পরেই ভদ্র চেহারার এক ব্যক্তি নির্মলবাবুকে বলেন, "আমি আপনার অফিসে যাচ্ছিলাম । আপনার পেমেন্ট দেওয়া বাকি ছিল ।" ওই ব্যক্তি নির্মল বাবুকে দু'লাখ টাকার চেক দেন । বহু কাস্টমারের সঙ্গে রোজদিন ডিল হয় নির্মলবাবুর । সেভাবে সবাইকে মনে রাখা সম্ভব নয় । তাই নির্মলবাবু ভেবেছিলেন, ওই ব্যক্তি সত্যিই তাঁর কোনও কাস্টমার । হাতের কাছে পেয়ে পেমেন্ট করে দিলেন । তারপর ওই ব্যক্তি বলে, "এই বিল্ডিংয়ের চার তলায় আমার অফিস । বাকি দু'লাখ টাকা আমার অফিস থেকে একটু সংগ্রহ করে নিন ।" নির্মলবাবু ব্যাঙ্কে 9 লাখ টাকা জমা দিয়ে ওপরে চলে যান বাকি পেমেন্ট নেওয়ার জন্য । এরই মাঝে ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর (যার কাছে নির্মলবাবু টাকা জমা করেছিলেন) কাছে আসে সে ৷ বলে, "টাকাটার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে । ওই ন'লাখ টাকা আমি আর জমা দেব না ।" এরপর টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় ৷ পরে বোঝা যায় রীতিমতো ধোঁকা দিয়ে ন'লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন ওই ব্যক্তি । অভিযোগ দায়ের করা হয় পোস্তা থানায় । ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী জানান, নির্মলবাবু আর ওই ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখে তিনি ভেবেছিলেন তাঁরা একসঙ্গেই আছেন । ভদ্র-সভ্য চেহারার ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়নি একফোঁটাও । এরপর CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ । ওয়াচ সেকশনের দুঁদে চিনে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে । নাম মুকেশ মেনন । বাড়ি তামিলনাড়ু । এর আগেও কেপমারির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৷ শুরু হয় তল্লাশি । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি কলকাতার একটি হোটেলে থেকে অপারেশন চালিয়েছে ৷ তারপর রাজ্য ছেড়ে চলে গেছে । তার খোঁজে মহারাষ্ট্রে যায় কলকাতা পুলিশের দল । সেখানে মুম্বই পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন ওই একই ব্যক্তি কেপমারির ঘটনা ঘটিয়েছে মুম্বইয়েও । সেখানে MFC থানা এলাকায় কেপমারি করে পালানোর সময় এক পুলিশকর্মীকে পিষে দিয়ে যায় । খুনের উদ্দেশ্যেই তার শরীরের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দেয় মুকেশ । পরে চিকিৎসায় বেঁচে যান মুম্বই পুলিশের ওই কর্মী ।

মুম্বই পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ দল বিভালদি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মুকেশকে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, মুকেশের গোটা দেশে কেপমারির নেটওয়ার্ক রয়েছে । কলকাতাতেও রয়েছে তার এক এজেন্ট । সেই এজেন্টের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ।

কলকাতা, 5 সেপ্টেম্বর : ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল । নতুন এক মডাস অপারেন্ডির কেপমারির তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করল এমন এক দুষ্কৃতীকে, যে খুন করতে চেয়েছিল মুম্বই পুলিশের এক কর্মীকে । বহু চেষ্টা করেও তার খোঁজ পাচ্ছিল না মুম্বই পুলিশ । পাশাপাশি ওই দুষ্কৃতী দেশজোড়া কেপমারি চক্রের অন্যতম পাণ্ডা । তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ । তাকে শহরে আনার তোড়জোড় চলছে ।

ঘটনার সূত্রপাত গত 16 অগাস্ট । বড়বাজারের রূপচাঁদ রায় রোডের বেসরকারী ব্যাঙ্কে ঘটে বেনজির এক কেপমারির ঘটনা । ওই ব্যাঙ্কে নির্মল আগরওয়াল নামে এক ব্যবসায়ী ন'লাখ টাকা জমা করতে গেছিলেন । ব্যাঙ্কে ঢোকার পরেই ভদ্র চেহারার এক ব্যক্তি নির্মলবাবুকে বলেন, "আমি আপনার অফিসে যাচ্ছিলাম । আপনার পেমেন্ট দেওয়া বাকি ছিল ।" ওই ব্যক্তি নির্মল বাবুকে দু'লাখ টাকার চেক দেন । বহু কাস্টমারের সঙ্গে রোজদিন ডিল হয় নির্মলবাবুর । সেভাবে সবাইকে মনে রাখা সম্ভব নয় । তাই নির্মলবাবু ভেবেছিলেন, ওই ব্যক্তি সত্যিই তাঁর কোনও কাস্টমার । হাতের কাছে পেয়ে পেমেন্ট করে দিলেন । তারপর ওই ব্যক্তি বলে, "এই বিল্ডিংয়ের চার তলায় আমার অফিস । বাকি দু'লাখ টাকা আমার অফিস থেকে একটু সংগ্রহ করে নিন ।" নির্মলবাবু ব্যাঙ্কে 9 লাখ টাকা জমা দিয়ে ওপরে চলে যান বাকি পেমেন্ট নেওয়ার জন্য । এরই মাঝে ওই ব্যাঙ্ক কর্মীর (যার কাছে নির্মলবাবু টাকা জমা করেছিলেন) কাছে আসে সে ৷ বলে, "টাকাটার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে । ওই ন'লাখ টাকা আমি আর জমা দেব না ।" এরপর টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় ৷ পরে বোঝা যায় রীতিমতো ধোঁকা দিয়ে ন'লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছেন ওই ব্যক্তি । অভিযোগ দায়ের করা হয় পোস্তা থানায় । ঘটনার তদন্তে নামে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।

জিজ্ঞাসাবাদে ওই ব্যাঙ্ক কর্মী জানান, নির্মলবাবু আর ওই ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখে তিনি ভেবেছিলেন তাঁরা একসঙ্গেই আছেন । ভদ্র-সভ্য চেহারার ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়নি একফোঁটাও । এরপর CCTV ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ । ওয়াচ সেকশনের দুঁদে চিনে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে । নাম মুকেশ মেনন । বাড়ি তামিলনাড়ু । এর আগেও কেপমারির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে ৷ শুরু হয় তল্লাশি । তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি কলকাতার একটি হোটেলে থেকে অপারেশন চালিয়েছে ৷ তারপর রাজ্য ছেড়ে চলে গেছে । তার খোঁজে মহারাষ্ট্রে যায় কলকাতা পুলিশের দল । সেখানে মুম্বই পুলিশ ও কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পারেন ওই একই ব্যক্তি কেপমারির ঘটনা ঘটিয়েছে মুম্বইয়েও । সেখানে MFC থানা এলাকায় কেপমারি করে পালানোর সময় এক পুলিশকর্মীকে পিষে দিয়ে যায় । খুনের উদ্দেশ্যেই তার শরীরের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দেয় মুকেশ । পরে চিকিৎসায় বেঁচে যান মুম্বই পুলিশের ওই কর্মী ।

মুম্বই পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ দল বিভালদি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মুকেশকে । প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পেরেছে, মুকেশের গোটা দেশে কেপমারির নেটওয়ার্ক রয়েছে । কলকাতাতেও রয়েছে তার এক এজেন্ট । সেই এজেন্টের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ ।

Intro:কলকাতা, 4 সেপ্টেম্বর: ছিল রুমাল হয়ে গেল বেড়াল। নতুন এক মডাস অপারেন্ডির কেপমারির তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেপ্তার করল এমন এক দুষ্কৃতীকে, যে খুন করতে চেয়েছিল মুম্বই পুলিশের এক কর্মীকে। বহু চেষ্টা করেও তার খোঁজ পাচ্ছিল না মুম্বই পুলিশ। পাশাপাশি ওই দুষ্কৃতী দেশজোড়া কেপমারি চক্রের অন্যতম পাণ্ডা। তামিলনাড়ুর বাসিন্দা ওই দুষ্কৃতীকে মহারাষ্ট্র থেকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ। তাকে শহরে আনার তোড়জোড় চলছে।
Body:ঘটনার সূত্রপাত গত 16 অগাস্ট। বড় বাজারের রূপচাঁদ রায় রোডের অ্যাক্সিস ব্যাংকে ঘটে প্রায় প্রায় বেনজির এক কেপমারির ঘটনা। ওই ব্যাংকে ফ্যান্সি ড্রেস মেটেরিয়াল ব্যবসায়ী নির্মল আগরওয়াল ন লাখ টাকা জমা করতে এসেছিলেন। ব্যাংকে ঢোকার পরেই ভদ্র চেহারার এক ব্যক্তি নির্মলবাবুকে বলে, “ আমি আপনার অফিসে যাচ্ছিলাম। আপনার পেমেন্ট দেওয়া বাকি ছিল।" ওই ব্যক্তি নির্মল বাবুকে দেন দু'লাখ টাকার চেক। বহু কাস্টমারের সঙ্গে রোজদিন ডিল হয় নির্মলের। সেভাবে সবাইকে মনে রাখা সম্ভব নয়। সেই সূত্রে নির্মলবাবু ভেবেছিলেন, এই ব্যক্তি সত্যিই তার কোনও কাস্টমার। হাতের কাছে পেয়ে পেমেন্ট করে দিলেন। তারপর ওই ব্যক্তি বলেন, “ এই বিল্ডিং এই চার তলায় আমার অফিস। বাকি দু লাখ টাকা আমার অফিস থেকে একটু সংগ্রহ করে নিন।" নির্মলবাবু ব্যাংকে ৯ লাখ টাকা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে দিয়ে ওপরে চলে যান বাকি পেমেন্ট নেওয়ার জন্য। এরই মাঝে ব্যাংক কর্মীর ব্যক্তির কাছে আসে ওই ব্যক্তি। বলেন, “ টাকাটার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। ওই ন লাখ টাকা আমি আর জমা দেব না।" সেই কথা বলে টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যায় ওই ব্যক্তি। পরে বোঝা যায় রীতিমত ধোকা দিয়ে নয় লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে ওই ব্যক্তি। অভিযোগ দায়ের হয় পোস্তা থানায়। ঘটনার তদন্ত ভাবনায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
Conclusion:জেরায় ওই ব্যাঙ্ক কর্মী জানায়, নির্মল বাবু আর ওই ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখে ভেবেছিলেন, তারা একসঙ্গেই আছেন। ভদ্র সভ্য চেহারার ওই ব্যক্তিকে দেখে সন্দেহ হয়নি একফোঁটাও। এবার সিসিটিভি ফুটেজে খতিয়ে দেখতে শুরু করে পুলিশ। ওয়াচ সেকশনের দুঁদে চিনে ফেলেন ওই ব্যক্তিকে। মুকেশ মেনন। বাড়ি তামিলনাড়ুতে। এর আগেও কেপমারির ঘটনায় গ্রেপ্তার হয়েছে সে। শুরু হয় তার খোঁজ। পুলিশ জানতে পারে, ওই ব্যক্তি কলকাতার হোটেলে থেকে অপারেশন চালিয়ে রাজ্য ছেড়েছে। তার খোঁজে মহারাষ্ট্র যায় কলকাতা পুলিশের দল। সেখানে মুম্বই পুলিশের কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারা জানতে পারে ওই একই ব্যক্তি কেপমারির ঘটনা ঘটিয়েছে মুম্বইয়েরও। সেখানে MFC থানা এলাকায় কেপমারি করে পালানোর সময় এক পুলিশকর্মীকে পিষে দিয়ে যায়। খুনের উদ্দেশ্যেই তার শরীরের উপর দিয়ে বাইক চালিয়ে দেয় ওই ব্যক্তি। পরে দীর্ঘ চিকিৎসায় বেঁচে ওঠেন মুম্বই পুলিশের ওই কর্মী। মুম্বই পুলিশ এবং কলকাতা পুলিশের যৌথ দল বিভালদি থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে মুকেশকে। প্রাথমিক জেরায় পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই ব্যক্তির গোটা ভারতবর্ষে কেপমারির নেটওয়ার্ক রয়েছে। কলকাতাতেও রয়েছে তার এক এজেন্ট। সেই ব্যক্তির খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.