কলকাতা, 31 জানুয়ারি : চার পৌরনিগমের নির্বাচন (Bengal Civic Polls) করোনা পরিস্থিতির জেরে চার থেকে ছয় সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court on Bengal Civic Polls) ৷ কিন্তু রাজ্য নির্বাচন কমিশন বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর ও আসানসোল পৌরনিগমের ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেয় ৷ কমিশনের এই সিদ্ধান্তে আদালত অবমাননা হয়েছে বলে অভিযোগ ৷ তাই সোমবার এই নিয়ে ফের মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে (PIL Against Bengal Election Commission) ৷
প্রসঙ্গত, গত 14 জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ চার পৌরনিগমের ভোট পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছিল ৷ এরপর কমিশন জানায়, ভোট 22 জানুয়ারির পরিবর্তে তিন সপ্তাহ পিছিয়ে 12 ফেব্রুয়ারি হবে ৷ তার প্রেক্ষিতে কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন জনৈক বিমল ভট্টাচার্য (pil against sec on contempt of court in bengal civic poll date reschedule) ৷
তাঁর দাবি, আদালতের নির্দেশ যথাযথ ভাবে মানেনি নির্বাচন কমিশন । এই মর্মে গত সপ্তাহে তিনি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী মারফত । কিন্তু আইনজীবীর সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কোনও প্রতিক্রিয়া জানায়নি নির্বাচন কমিশন । সেই কারণেই আজ আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার ব্যাপারে প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীর আইনজীবী বিক্রম বন্দ্যোপাধ্যায় । মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত ।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আদৌ করা সম্ভব কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছিল প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ । পাশাপাশি মামলাকারীর তরফে উল্লেখ করা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন ধরে পৌরনিগমের নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি । তাহলে আপাতত যদি আরও কিছুদিন নির্বাচন পিছিয়ে যায়, তাতে খুব বেশি ক্ষতি হবে না । করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলে ফের কমিশন নির্বাচন করতে পারবে ।
তারপরই কলকাতা হাইকোর্ট ওই নির্দেশ দিয়েছিল ৷ কিন্তু এখন রাজ্য-সহ গোটা দেশের সংক্রমণের হার ফের কমতে শুরু করেছে । এই পরিস্থিতিতে আদালত অবমাননার এই মামলাকে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ আদৌ গুরুত্ব দেবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে ।
প্রসঙ্গত, প্রাথমিকভাবে নির্বাচন কমিশনের পরিকল্পনা ছিল রাজ্যের পাঁচ পৌরনিগমের নির্বাচন একসঙ্গে করার । কিন্তু হাওড়া পৌরনিগম থেকে বালিকে আলাদা পৌরসভা করার বিষয় নিয়ে আইনি জটিলতা থাকায় শেষ পর্যন্ত হাওড়া পৌরনিগমকে বাদ দিয়েই বাকি চারটি পৌরনিগমের ভোট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন ।