ETV Bharat / city

বাংলাদেশে পাচারের লক্ষে উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতায় ফেনসিডিল, গ্রেপ্তার 4 - phensedyl smuggling

কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স উদ্ধার করল 6400 বোতল ফেনসিডিল। ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকা মেট্রো স্টেশনের কাছে আটক করে একটি লরি। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 4 পাচারকারীকে ৷

phensedyl smuggling
টাস্কফোর্স উদ্ধার করল ফেনসিডিল
author img

By

Published : Aug 22, 2020, 10:19 PM IST

কলকাতা, 22 অগাস্ট : বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। সূত্র মারফত মাদক পাচারের এই খবর জানতে পারে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। সেই সূত্র ধরে গতরাতে গোয়েন্দারা ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকা মেট্রো স্টেশনের কাছে আটক করে একটি লরি। উদ্ধার প্রায় 6400 বোতল ফেনসিডিল। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 4 পাচারকারীকে। তাদের মধ্যে তিনজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

বাংলাদেশের ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক। যুব সমাজের অনেকেই এই নেশায় আসক্ত। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়, সেভাবেই ভারত থেকে পাচার হয় ফেনসিডিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় জালনোট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ফেনসিডিলের এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে উত্তর ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই ৷ রয়েছে স্মাগলিং চক্রের লোকজন। আসলে বাংলাদেশে এক এক বোতল ফেনসিডিল ভারতীয় দামের থেকে দশ গুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। ভারতে যে ফেনসিডিলের দাম 150 টাকা, বাংলাদেশে সেটাই বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই হাজার বাংলাদেশি টাকায়। সেই কারণেই এই চক্র স্মাগলাররা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, SSB প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার করছে প্রচুর ফেনসিডিল।

আজ বিকালে খবর পেয়ে জোকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি লরি আটক করে। সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় 32 বস্তা ফেনসিডিল। যেগুলি লরির ভিতরে একটি গোপন চেম্বার তৈরি করে রাখা ছিল। লরিটি চালাচ্ছিল 28 বছরের আদিত্য কুমার। তার হেল্পার ছিল আগন পাল। গাড়িতে ছিল শুভম তিওয়ারি এবং শানু যাদব। আগন, আদিত্য এবং শুভম উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তারা ওই ফেনসিডিল উত্তরপ্রদেশ থেকেই নিয়ে আসছিল। শানু যাদব ডানকুনির বাসিন্দা। তদন্তকারীদের ধারণা, শানু স্মাগলারদের সঙ্গে ফেনসিডিল সরবরাহকারীদের লিংকম‍্যান হিসেবে কাজ করে। ওই ফেনসিডিল জোকা চত্বরে কোন স্মাগলারের হাতে তুলে দেওয়া হত। তারপর সেখান থেকে সুযোগ বুঝে পাঠানো হত বাংলাদেশ সীমান্তে। কাদের হাতে ওই ফেনসিডিল তুলে দিত তারা তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। পাচারকারীদের আগামীকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।

কলকাতা, 22 অগাস্ট : বাংলাদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল নিষিদ্ধ কাফ সিরাপ। সূত্র মারফত মাদক পাচারের এই খবর জানতে পারে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স। সেই সূত্র ধরে গতরাতে গোয়েন্দারা ঠাকুরপুকুর থানা এলাকার জোকা মেট্রো স্টেশনের কাছে আটক করে একটি লরি। উদ্ধার প্রায় 6400 বোতল ফেনসিডিল। ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 4 পাচারকারীকে। তাদের মধ্যে তিনজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা।

বাংলাদেশের ফেনসিডিলের চাহিদা ব্যাপক। যুব সমাজের অনেকেই এই নেশায় আসক্ত। গোয়েন্দাদের দাবি, বাংলাদেশে যেভাবে মায়ানমার থেকে ইয়াবা পাচার হয়, সেভাবেই ভারত থেকে পাচার হয় ফেনসিডিল। আর বাংলাদেশ থেকে ভারতে পাচার হয় জালনোট। ভারতীয় গোয়েন্দাদের দাবি, ফেনসিডিলের এই চক্র ছড়িয়ে রয়েছে উত্তর ভারত থেকে শুরু করে দক্ষিণ ভারত সর্বত্রই ৷ রয়েছে স্মাগলিং চক্রের লোকজন। আসলে বাংলাদেশে এক এক বোতল ফেনসিডিল ভারতীয় দামের থেকে দশ গুণেরও বেশি দামে বিক্রি হয়। ভারতে যে ফেনসিডিলের দাম 150 টাকা, বাংলাদেশে সেটাই বিক্রি হয় দেড় থেকে দুই হাজার বাংলাদেশি টাকায়। সেই কারণেই এই চক্র স্মাগলাররা চালিয়ে যাচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ার, SSB প্রায় প্রতিদিনই উদ্ধার করছে প্রচুর ফেনসিডিল।

আজ বিকালে খবর পেয়ে জোকা মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি লরি আটক করে। সেটিতে তল্লাশি চালিয়ে পাওয়া যায় 32 বস্তা ফেনসিডিল। যেগুলি লরির ভিতরে একটি গোপন চেম্বার তৈরি করে রাখা ছিল। লরিটি চালাচ্ছিল 28 বছরের আদিত্য কুমার। তার হেল্পার ছিল আগন পাল। গাড়িতে ছিল শুভম তিওয়ারি এবং শানু যাদব। আগন, আদিত্য এবং শুভম উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। তারা ওই ফেনসিডিল উত্তরপ্রদেশ থেকেই নিয়ে আসছিল। শানু যাদব ডানকুনির বাসিন্দা। তদন্তকারীদের ধারণা, শানু স্মাগলারদের সঙ্গে ফেনসিডিল সরবরাহকারীদের লিংকম‍্যান হিসেবে কাজ করে। ওই ফেনসিডিল জোকা চত্বরে কোন স্মাগলারের হাতে তুলে দেওয়া হত। তারপর সেখান থেকে সুযোগ বুঝে পাঠানো হত বাংলাদেশ সীমান্তে। কাদের হাতে ওই ফেনসিডিল তুলে দিত তারা তা জানার চেষ্টা করছে তদন্তকারীরা। পাচারকারীদের আগামীকাল ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.