কলকাতা, 19 অগস্ট: 19-এর নির্বাচনের পর জনগণের অভিযোগ শুনতে প্রশান্ত কিশোরের হাত ধরে দিদিকে বলো কর্মসূচি শুরু হয়েছিল গোটা বাংলায় । তারই অনুকরণে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নিজের সাংসদ এলাকায় প্রথমে শুরু করেন এক ডাকে অভিষেক (Ek Dake Abhishek)। সরকারি কাজ থেকে শুরু করে সাংসদের এলাকার কাজকর্মে কোনও অভাব অভিযোগ থাকলে একটি নির্দিষ্ট নম্বরে দিয়ে তাতে অভিযোগ জানাতে বলেন তিনি । পরবর্তীতে সাংগঠনিক কাজেও ব্যবহারের উদ্দেশ্যে এই নম্বরটিকে দেন তিনি । ইতিমধ্যেই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের এই উদ্যোগ ব্যাপক জনপ্রিয় হয়েছে (Helpline number of Abhishek Banerjee)। এ বার এই বিশেষ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানানোর পর বজবজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছে গেলেন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা । এতেই শেষ নয় । এই হেল্প নম্বরে অভিযোগ করে কাজও হল ম্যাজিকের মতো ।
এমনিতেই স্বাস্থ্য সাথী (Swasthya Sathi) নিয়ে অভিযোগের শেষ নেই নাগরিকদের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের এই প্রকল্প ব্যাপক জনপ্রিয় হলেও ইদানিং বারবার বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দিয়ে পরিষেবা ঠিকমতো না দেওয়ার । বজবজের এই বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথীকে প্রত্যাখ্যান না করা হলেও সেখানে যুক্ত করা হচ্ছিল বাড়তি বিল । হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি ছিল, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে নির্দিষ্ট কিছু টাকা পর্যন্ত ছাড় রয়েছে । এর পরের টাকা রোগীর পরিজনদের দিতে হবে । রোগীর চিকিত্সার পর পরিজনদের কাছ থেকে নানা খাতে বাড়তি টাকা নিচ্ছিল ওই হাসপাতাল । রোগীর পরিবার সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে রোগী ভর্তি সময় যে ফর্ম ফিলাপ করা হয়, তাকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছিল ।
আরও পড়ুন: 9 ও 10 সেপ্টেম্বর আলিপুরদুয়ার সফরে যাচ্ছেন অভিষেক
এক ডাকে অভিষেক হেল্পলাইনে অভিযোগ পেয়ে বজবজের ওই বেসরকারি হাসপাতালে পৌঁছন স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা । ওই আধিকারিকদের দল অভিযোগ মতো ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছে । ফলে যাঁরা এই হেল্পলাইনে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁরাও খুশি ।