কলকাতা, 18 ফেব্রুয়ারি : মহানায়ক উত্তমকুমার বা টালিগঞ্জ মেট্রো লাগোয়া ফুটপাত জুড়ে রমরমিয়ে চলছে বেআইনি পার্কংলটের ব্যবসা । যদিও বেআইনি পার্কিং কারবারিরা মানতে নারাজ এই অভিযোগ । পার্কিংলটে থাকা ব্যবসায়ীদের দাবি, এই পার্কিংলট কলকাতা পৌরসভার পার্কিংলট । বেআইনি এই পার্কিংলট সরাতে গিয়ে হুমকির মুখে পড়েছেন পৌরসভার আধিকারিকরাও (Illegal Parking At Tollygunge)।
মহানায়ক উত্তমকুমার বা টালিগঞ্জ স্টেশন থেকে শুরু করে করুণাময়ী ব্রিজের ডানদিকের ফুটপাত জুড়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে সাইকেল, স্কুটি ও বাইক । বলা যায়, বেআইনি পার্কিং ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গিয়েছে এই রাস্তা । পথচারীদের জন্য কোনও জায়গা নেই (Pedestrians facing problem in Tollygunge) । শুধু তাই নয়, কয়েকশো মিটার অন্তর টেবিল চেয়ার নিয়ে গুমটি করে বসে আছেন এইসব পার্কিংলটের ব্যবসায়ীরা । জিজ্ঞাসা করলে তাঁদের অধিকাংশের দাবি, এটি কলকাতা পৌরসভার পার্কিংলট ।
তবে এই ফুটপাত জুড়ে থাকা পার্কিংলটটি যে বেআইনি তা স্বীকার করেছেন কলকাতা কর্পোরেশনের মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার । তিনি জানান, ওই ফুটপাত জুড়ে যে সমস্ত পার্কিংলট তৈরি হয়েছে তা একেবারে বেআইনি । ওই পার্কিং লটের কলকাতা পৌরসভার অনুমোদন নেই । দিনেরবেলায় বেআইনি পার্কিং দেখার দায়িত্ব কলকাতা পুলিশের । পুলিশ যদি তাঁর ভূমিকা পালন না করে থাকে তাহলে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হব । এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সেট চিঠি দেওয়া হবে পুলিশকে । কলকাতা পৌরসভা সূত্রে খবর, এর আগেও বেশ কয়েকবার পৌরসভার তরফে চেষ্টা করেও এই পার্কিংলট খালি করতে পারেননি আধিকারিকরা । এমনকি হুমকির মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁদের । ফলে বাধ্য হয়ে ফিরে এসেছেন তাঁরা ।
আরও পড়ুন: Governor Removal Case : রাজ্যপালের অপসারণ মামলা খারিজ কলকাতা হাইকোর্টের
শুধু বেআইনি পার্কিংলট নয়, ফুটপাত জুড়ে বিভিন্ন জায়গায় অস্থায়ী শৌচাগার তৈরি হয়েছে । অথচ টালিগঞ্জ মেট্রো থেকে অদূরে তৈরি হয়েছে মেট্রো রেলের কামরার আদলে একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন সুসজ্জিত সুলভ শৌচালয় । তারপরেও খোলা জায়গায় চলছে শৌচকর্ম ৷ এই প্রসঙ্গেই নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দু-একজন পথচারী জানান, আসলে ওই ফুটপাত যাতে পথচলতি মানুষ ব্যবহার না করেন তার জন্যই এমন পরিস্থিতি তৈরি করে রাখা হয় । আর সেই সুযোগ নিয়েই গোটা ফুটপাত জুড়ে চলছে রমরমিয়ে বেআইনি পার্কিং লটের ব্যবসা ।
বেআইনি পার্কিংয়ের ব্যবসা রমরমিয়ে চললেও ব্যস্ত এই এলাকায় তীব্র গতিতে যান চলাচল করে এই রোড ধরে । আর সেই রাস্তা দিয়েই মানুষজন জীবনের ঝুঁকি নিয়েই হাঁটাচলা করতে বাধ্য হচ্ছেন । যেকোনও দিন যেকোনও সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে ।