কলকাতা, 25 অগস্ট : এই মুহূর্তে সবচেয়ে কম বেতন পাওয়া বিধায়কের নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) । শেষবার বিধায়ক-মন্ত্রীদের বেতন বেড়েছিল 2019 সালে । সেই তথ্য অনুসারে, এতদিন পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেতন পেতেন 22 হাজার টাকা, সঙ্গে 90 হাজার টাকা ভাতা । সবমিলিয়ে প্রত্যেক মাসে তিনি হাতে পেতেন 1 লক্ষ 12 হাজার টাকা । এছাড়া একাধিক সুযোগ-সুবিধা তো ছিলই । কিন্তু দুর্নীতি যোগে তাঁর বেতন শেষ পর্যন্ত কমে দাঁড়াল 21 হাজার 870 টাকা ।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Bengal Recruitment Scam) এই মুহূর্তে প্রেসিডেন্সি জেলে রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায় । এক সময় তিনি রাজ্য মন্ত্রিসভার দু'নম্বর ব্যক্তি হলেও এখন তিনি আর মন্ত্রী নন । তৃণমূলও (Trinamool Congress) তাঁকে দলের সমস্ত পথ থেকে অপসারণ করেছে । ফলে এখন শুধুমাত্র বিধায়ক তিনি । সম্প্রতি বিধানসভার তরফ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে বিধানসভার কোনও কমিটিতে রাখা হবে না । এর প্রভাব পড়েছে তাঁর বেতনেও । সরাসরি একলাখের বেশি বেতন পাওয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বেতন নেমে দাঁড়িয়েছে 21 হাজার 870 টাকায় ।
পরিষদীয় রীতি অনুযায়ী, নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরই সমস্ত বিধায়ক বিধানসভার 43টি কমিটির কোনও না কোনোটিতে জায়গা পান । ফলে এই কমিটির মিটিংয়ে যোগ দেওয়ার জন্য এক এক জন বিধায়ক মোট বেতন পান 82 হাজার টাকা । ফলে এই বাড়তি বেতনও পাচ্ছেন না পার্থ চট্টোপাধ্যায় ।
এমনিতেই সময় ভালো যাচ্ছে না রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রীর । ইডি (ED)-র জেরার মুখে পড়েছেন ৷ তাঁর একের পর এক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । এদিকে মন্ত্রিত্ব হারিয়ে বিগত দিন যে পরিমাণ বেতন পেতেন, তাও কমেছে পার্থর । আগামিদিনে দলটাকে আবার দুর্নীতির অভিযোগ মুক্ত হলেও আবার প্রার্থী করবে কি না, সে বিষয়ে সন্দেহ আছে । আর সে কারণেই তাঁকে আপাতত এই সামান্য বেতনেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে বলে বিধানসভা সূত্রে জানা যাচ্ছে ।
আরও পড়ুন : এবার পার্থর থেকে কোনও লেভি না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল