ETV Bharat / city

হাসপাতাল থেকে গায়েব আঙুলের কাটা অংশ, থানায় অভিযোগ দায়ের - Bike

দুর্ঘটনার জেরে বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি কাটা গেছিল এক ব্যক্তির । সেই কাটা অংশটি এক বেসরকারি হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে রাখা হয় । পরে অস্ত্রোপচারের সময় দেখা যায়, কাটা অংশটি গায়েব হয়ে গেছে ।

নীলোৎপল চক্রবর্তী
author img

By

Published : Jul 11, 2019, 9:05 PM IST

Updated : Jul 11, 2019, 11:45 PM IST

কলকাতা, 11 জুলাই : পথ দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি কাটা গেছিল নীলোৎপল চক্রবর্তীর । তাই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । হাসপাতাল থেকে বলা হয়, অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । কিন্তু, অস্ত্রোপচারের দিন খুঁজে পাওয়া যায়নি কাটা আঙুলটি । ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নীলোৎপলের স্ত্রী ।

গতকাল বাইকে করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে অফিসে যাচ্ছিলেন সাঁকরাইল থানা এলাকার বাসিন্দা নীলোৎপল । তিনি পেশায় কেমিকেল ইঞ্জিনিয়র । তাঁর স্ত্রী চয়নিকা জানান, দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি পৃথক হয়ে যায় । কাটা আঙুল নিয়ে তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু, সেখানে চিকিৎসক না থাকায় আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানো যায়নি ।

এরপর গতকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নীলোৎপলকে নিয়ে যাওয়া হয় । চয়নিকা বলেন, "হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় । বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ন'টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করা হবে ।" কিন্তু, এত দেরিতে অস্ত্রোপচার করলে আঙুলের কাটা অংশ জোড়া লাগানো সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন পরিজনরা । চয়নিকার বক্তব্য, "এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলি । তাঁরা বলেন, আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানোর জন্য 24 ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । সেজন্য দু-একটি উদাহরণ দেওয়া হয় । তারপর আমরা আশ্বস্ত হই । সংরক্ষণের জন্য আঙুলের কাটা অংশটি ইমারজেন্সিতে জমা নেওয়া হয় ।"

এই পর্যন্ত ঠিক ছিল । কিন্তু, আজ সকালে জানা যায় আঙুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না‌‌ । নীলোৎপলের স্ত্রী বলেন, "আজ সকাল দশটা নাগাদ আমরা জানতে পারি আঙুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ‌‌। শেষপর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি বেলা 12 টার পর আমাদের জানান আঙুলের কাটা অংশটি হারিয়ে গেছে ।" আঙুলের কাটা অংশ ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হয় ।

চয়নিকা বলেন, "এই ঘটনায় আমার স্বামী সারা জীবনের জন্য হ্যান্ডিক্যাপড হয়ে গেলেন । পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে ।" দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি ।

কলকাতা, 11 জুলাই : পথ দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি কাটা গেছিল নীলোৎপল চক্রবর্তীর । তাই তাঁকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল । হাসপাতাল থেকে বলা হয়, অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । কিন্তু, অস্ত্রোপচারের দিন খুঁজে পাওয়া যায়নি কাটা আঙুলটি । ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নীলোৎপলের স্ত্রী ।

গতকাল বাইকে করে বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে অফিসে যাচ্ছিলেন সাঁকরাইল থানা এলাকার বাসিন্দা নীলোৎপল । তিনি পেশায় কেমিকেল ইঞ্জিনিয়র । তাঁর স্ত্রী চয়নিকা জানান, দুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি পৃথক হয়ে যায় । কাটা আঙুল নিয়ে তাঁকে স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় । কিন্তু, সেখানে চিকিৎসক না থাকায় আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানো যায়নি ।

এরপর গতকাল বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নীলোৎপলকে নিয়ে যাওয়া হয় । চয়নিকা বলেন, "হাসপাতালে ভরতি নেওয়া হয় । বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল ন'টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করা হবে ।" কিন্তু, এত দেরিতে অস্ত্রোপচার করলে আঙুলের কাটা অংশ জোড়া লাগানো সম্ভব হবে কি না তা নিয়ে চিন্তায় পড়েন পরিজনরা । চয়নিকার বক্তব্য, "এই বিষয়ে চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলি । তাঁরা বলেন, আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানোর জন্য 24 ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রোপচার প্রয়োজন । সেজন্য দু-একটি উদাহরণ দেওয়া হয় । তারপর আমরা আশ্বস্ত হই । সংরক্ষণের জন্য আঙুলের কাটা অংশটি ইমারজেন্সিতে জমা নেওয়া হয় ।"

এই পর্যন্ত ঠিক ছিল । কিন্তু, আজ সকালে জানা যায় আঙুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না‌‌ । নীলোৎপলের স্ত্রী বলেন, "আজ সকাল দশটা নাগাদ আমরা জানতে পারি আঙুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না ‌‌। শেষপর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি বেলা 12 টার পর আমাদের জানান আঙুলের কাটা অংশটি হারিয়ে গেছে ।" আঙুলের কাটা অংশ ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হয় ।

চয়নিকা বলেন, "এই ঘটনায় আমার স্বামী সারা জীবনের জন্য হ্যান্ডিক্যাপড হয়ে গেলেন । পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে ।" দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি ।

Intro:কলকাতা, ১১ জুলাই: পথদুর্ঘটনায় বাঁ হাতের অনামিকার মাথার দিকের অংশটি পৃথক হয়ে গিয়েছিল শরীর থেকে। আঙ্গুলের কাটা এই অংশ জোড়া লাগানোর জন্য দক্ষিণ কলকাতায় ইকবালপুরে অবস্থিত বেসরকারি একটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রোগীকে। সঙ্গে নিয়ে আসা আঙ্গুলের কাটা অংশটি জমা দেওয়া হয় হাসপাতালে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আঙ্গুল আর জোড়া লাগানো গেল না। কারণ আঙ্গুলের কাটা অংশটি হাসপাতালে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছে। এই রোগী পেশায় একজন ইঞ্জিনিয়ার। তাঁর স্ত্রী একজন শিক্ষক। এই ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন স্ত্রী।
Body:রোগীর নাম নীলোৎপল চক্রবর্তী (৩৮)। তিনি হাওড়ার সাঁকরাইল থানা এলাকার বাসিন্দা। পেশায় তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। অফিস বোটানিক্যাল গার্ডেনের কাছে। বুধবার বাইকে করে অফিসে যাওয়ার সময় তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন বলে জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী চয়নিকা চক্রবর্তী। দুর্ঘটনার পরে স্থানীয় বেসরকারি একটি হাসপাতালে নীলোৎপল চক্রবর্তীকে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু সেখানে আঙুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। পরামর্শ দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি ওই হাসপাতালে রোগীকে নিয়ে যাওয়ার জন্য। এর পরে গতকাল বিকাল সাড়ে চারটে নাগাদ দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি ওই হাসপাতালে আঙ্গুলের কাটা অংশ সহ রোগীকে নিয়ে যাওয়া হয়।

চয়নিকা চক্রবর্তী বলেন, "হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়। বলা হয়, আজ বৃহস্পতিবার সকাল ন'টা নাগাদ অস্ত্রোপচার করা হবে।" কিন্তু এত দেরি করে অস্ত্রোপচার করলে আঙ্গুলের কাটা অংশটি জোড়া লাগানো সম্ভব কি? এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তায় পড়েন পরিজনরা। চয়নিকা চক্রবর্তী বলেন, "এই বিষয়ে আমরা ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলি। ডাক্তার বলেন আঙ্গুলের কাটা অংশটি জুড়ে দেওয়ার জন্য ২৪ ঘন্টার মধ্যে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। দুই একটি উদাহরণ দেখানো হয় আমাদের। এর পরে আমরা আশ্বস্ত হই। আঙ্গুলের কাটা অংশটি ইমারজেন্সিতে জমা নেওয়া হয় সংরক্ষণ করে রাখার জন্য।"

চয়নিকা চক্রবর্তী বলেন, "বৃহস্পতিবার সকাল দশটা নাগাদ আমরা জানতে পারি আঙ্গুলের কাটা অংশটি খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না‌‌। শেষ পর্যন্ত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অফিশিয়ালি বেলা বারোটার পরে আমাদের জানান আঙ্গুলের কাটা অংশটি হারিয়ে গিয়েছে।" তিনি বলেন, "রোগী সুরক্ষার জন্য আঙ্গুলের কাটা অংশটি ছাড়াই অস্ত্রোপচার করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমার স্বামী গোটা জীবনের জন্য পঙ্গু হয়ে গেলেন।" একই সঙ্গে তিনি বলেন, "এই ঘটনায় পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছে।" দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য তিনি ওই অভিযোগে আর্জি জানিয়েছেন।
Conclusion:অস্ত্রোপচারের পরে নীলোৎপল চক্রবর্তীর শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পথদুর্ঘটনায় এই রোগীর অন্য কোনও সমস্যা হয়নি বলেও জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী। এই অভিযোগের ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে, বক্তব্য জানা না গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখছেন বলে জানা গিয়েছে।
_______
Last Updated : Jul 11, 2019, 11:45 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.