ETV Bharat / city

"সুস্থ" পরিবহ, তবে আজও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারল না পুলিশ

author img

By

Published : Jul 29, 2019, 11:49 PM IST

পরিবহ মুখার্জি অনেকটাই সুস্থ ৷ তদন্তের স্বার্থে তাঁর সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হলেও কথা বলতে পারেনি পুলিশ ৷ সেইসঙ্গে প্রত্যক্ষদর্শী চার জুনিয়র ডাক্তারকে দু'বার নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া পাননি তদন্তকারী আধিকারিকরা ৷ ফলে NRS-র ঘটনার তদন্তে তৈরি হচ্ছে সমস্যা ।

পরিবহ মুখার্জি

কলকাতা, 29 জুলাই : অনেকটাই "সুস্থ" NRS-র আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখার্জি । তবে, আজও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারল না পুলিশ । পাশাপাশি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চার জুনিয়র ডাক্তারকে 160 CRPC-তে দু'বার নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া পাননি তদন্তকারীরা । NRS-র জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে আক্রান্ত পরিবহ-র সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে পুলিশ । সঙ্গেই ওই চার চিকিৎসকদের সাক্ষ‍্যও এই মামলায় জরুরি । তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় তদন্তের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে । ফলে প্রশ্ন উঠছে, তদন্তের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা না করে চিকিৎসকদের একাংশের আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে ।

চলতি বছর জুন মাসের 11 তারিখ NRS হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসার জেরে আক্রান্ত হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখার্জিসহ দু'জন জুনিয়র ডাক্তার । গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই পরিবহকে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে । সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে । এরপর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ । প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও । ঘটনার জেরে প্রথমে কলকাতা পুলিশ আদিল হারুন, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে গ্রেপ্তার করে ৷ কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের । নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকে আন্দোলন । পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে উঠে যায় আন্দোলন । নবান্নের সেই বৈঠকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের সুরক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয় । কলকাতার সবক'টি বড় হাসপাতালে বাড়ানো হয় সুরক্ষা । মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী । DC কমব্যাটকে দেওয়া হয় হাসপাতালগুলি সুরক্ষার নোডাল অফিসারের দায়িত্ব । পাঁচটি করে বড় হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে রাখা হয়েছে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ । প্রয়োজনে দেওয়া হয় টোল-ফ্রি নম্বর 18003458246 । এখানে ফোন করলে সরাসরি লালবাজারে জানানো যাচ্ছে হাসপাতালের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অভিযোগ ।

লালবাজার সূত্রের খবর, এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে ৷ এখনও পর্যন্ত ওই টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন এসেছে মাত্র 11 টি । প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ । এই 11 টি ফোনের একটিও কোনও গুরুতর বিষয়ে ছিল না । পাশাপাশি লালবাজারের তরফে স্বাস্থ্য ভবনকে দেওয়া হয়েছে দু'টি চিঠি । সেখানে হাসপাতালের সুরক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলোও বলা হয়েছে ।

কলকাতা, 29 জুলাই : অনেকটাই "সুস্থ" NRS-র আক্রান্ত জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখার্জি । তবে, আজও তাঁর সঙ্গে কথা বলতে পারল না পুলিশ । পাশাপাশি ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী চার জুনিয়র ডাক্তারকে 160 CRPC-তে দু'বার নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া পাননি তদন্তকারীরা । NRS-র জুনিয়র ডাক্তার নিগ্রহের ঘটনায় তদন্তের স্বার্থে আক্রান্ত পরিবহ-র সঙ্গে কথা বলা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছে পুলিশ । সঙ্গেই ওই চার চিকিৎসকদের সাক্ষ‍্যও এই মামলায় জরুরি । তাঁদের সঙ্গে দেখা করতে না পারায় তদন্তের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে । ফলে প্রশ্ন উঠছে, তদন্তের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা না করে চিকিৎসকদের একাংশের আন্দোলনের পরিকল্পনা নিয়ে ।

চলতি বছর জুন মাসের 11 তারিখ NRS হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসার জেরে আক্রান্ত হন জুনিয়র ডাক্তার পরিবহ মুখার্জিসহ দু'জন জুনিয়র ডাক্তার । গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই পরিবহকে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্সটিটিউট অফ নিউরো সায়েন্সে । সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর । চিকিৎসকরা জানান, প্রচণ্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে । এরপর প্রতিবাদে ফেটে পড়েন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারদের একটা বড় অংশ । প্রতিবাদের ঝড় আছড়ে পড়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও । ঘটনার জেরে প্রথমে কলকাতা পুলিশ আদিল হারুন, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে গ্রেপ্তার করে ৷ কিন্তু তাতেও ক্ষোভ কমেনি বিক্ষুব্ধ চিকিৎসকদের । নিরাপত্তার দাবিতে রাজ্যজুড়ে চলতে থাকে আন্দোলন । পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির হস্তক্ষেপে উঠে যায় আন্দোলন । নবান্নের সেই বৈঠকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতিও দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকেও চিকিৎসকদের সুরক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয় । কলকাতার সবক'টি বড় হাসপাতালে বাড়ানো হয় সুরক্ষা । মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী । DC কমব্যাটকে দেওয়া হয় হাসপাতালগুলি সুরক্ষার নোডাল অফিসারের দায়িত্ব । পাঁচটি করে বড় হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে রাখা হয়েছে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অফ পুলিশ । প্রয়োজনে দেওয়া হয় টোল-ফ্রি নম্বর 18003458246 । এখানে ফোন করলে সরাসরি লালবাজারে জানানো যাচ্ছে হাসপাতালের আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অভিযোগ ।

লালবাজার সূত্রের খবর, এক মাসেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে ৷ এখনও পর্যন্ত ওই টোল-ফ্রি নম্বরে ফোন এসেছে মাত্র 11 টি । প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ । এই 11 টি ফোনের একটিও কোনও গুরুতর বিষয়ে ছিল না । পাশাপাশি লালবাজারের তরফে স্বাস্থ্য ভবনকে দেওয়া হয়েছে দু'টি চিঠি । সেখানে হাসপাতালের সুরক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলোও বলা হয়েছে ।

Intro:কলকাতা, ২৯ জুলাই: অনেকটাই “সুস্থ" NRS কান্ডে আক্রান্ত পরিবহ মুখার্জি। কিন্ত্ত তদন্তের প্রয়োজনে আজও তাঁর সঙ্গে কথাই বলতে পারল না পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার প্রত‍্যক্ষদর্শী ৪ জুনিয়র ডাক্তারকে ১৬০ CRPC তে দুবার নোটিশ পাঠিয়েও সাড়া পাননি তদন্তকারীরা। ওই চিকিৎসকদের সাক্ষ‍্য এই মামলায় অত‍্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ফলে তদন্তের কাজে সমস্যা তৈরি হচ্ছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তদন্তের কাজে পুলিশকে সহযোগিতা না করে চিকিৎসকদের একাংশের আন্দোলন পরিকল্পনা নিয়ে।


Body:গত ১১ জুন NRS হাসপাতালে রোগীর পরিবারের সঙ্গে বচসার জেরে আক্রান্ত হন পরিবহ সহ দুজন জুনিয়র ডাক্তার। গুরুতর আহত অবস্থায় রাতেই পরিবহকে নিয়ে যাওয়া হয় ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। সেখানে চিকিৎসকরা জানান, প্রচন্ড জোরে আঘাত লাগায় কপালের উপরে করোটির সামনের একটা অংশ তুবড়ে ভিতরে ঢুকে গেছে। ঘটনার প্রতিবাদে ফেটে পড়েন জুনিয়র চিকিৎসক এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের একটা বড় অংশ। প্রতিবাদের ঝড় আসছে পড়ে দেশের অন্যান্য প্রান্তেও। ঘটনার জেরে প্রথমে কলকাতা পুলিশ আদিল হারুন, শেখ আনোয়ার, শেখ ইমতিয়াজ, শেখ বাদল, মহম্মদ শাহনওয়াজকে প্রথমে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্ত্ত তাতেও ক্ষোভ কমেনি আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের। চিকিৎসকদের নিরাপত্তার দাবিতে চলতেই থাকে আন্দোলন। পরে মুখ‍্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে ওঠে চিকিৎসকদের আন্দোলন। নবান্নের সেই বৈঠকে চিকিৎসকদের সুক্ষায় একগুচ্ছ পতিশ্রতি দেন মুখ‍্যমন্ত্রী।


Conclusion:তারপরেই কলকাতা পুলিশের পক্ষ থেকে চিকিৎসকদের সুরক্ষায় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়। কলকাতার সবকটি বড় হাসপাতালের বাড়িয়ে দেওয়া হয় সুরক্ষা। মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। ডিসি কমব্যাট কে দেওয়া হয় হাসপাতালগুলি সুরক্ষার নোডাল অফিসার এর দায়িত্ব। ৫টি বড় হাসপাতালের সুরক্ষার দায়িত্বে রাখা হয়েছে একজন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার অব পুলিশ। ঘোষণা করা হয় একটি টোল ফ্রি নাম্বারও। যে নাম্বারে সরাসরি লালবাজারে জানানো যাচ্ছে হাসপাতালে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত অভিযোগ। টোল ফ্রি নম্বর টি হল১৮০০৩৪৫৮২৪৬। লালবাজার সূত্রের খবর, এক মাসেরও বেশি সময় এ এখনো পর্যন্ত ওই টোল ফ্রি নাম্বারে ফোন এসেছে মাত্র 11 টি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, এই 11 টি ফোন এর একটিও কোন গুরুতর বিষয় ছিল না। পাশাপাশি লালবাজার এর তরফে স্বাস্থ্য ভবনকে দেওয়া হয়েছে দুটি চিঠি। সেখানে হাসপাতালে সুরক্ষায় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন সেগুলো বলা হয়েছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.