ETV Bharat / city

অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাউথ পয়েন্টে-এ অভিভাবকদের বিক্ষোভ

author img

By

Published : Jan 31, 2020, 11:38 PM IST

২০ থেকে ২৫ শতাংশ হারে ফি বৃদ্ধি সব শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্যে ৷ স্কুলের দাবি, সরকারি কর্মীদের নয়া বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষকদের বেতন দেওয়ার জন্য়ই বাধ্য হয়ে এই হারে ফি বাড়ানো হয়েছে ৷

Parents protest in south point
সাউথ পয়েন্ট স্কুল

কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি : অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের ৷ অভিযোগ, ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে সব শ্রেণিতে ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি কর্মীদের নয়া বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে হচ্ছে ৷ বাড়তি টাকা দেওয়ার জন্য় পড়ুয়াদের ফি বাড়ানো ছাড়া পথ নেই, সাফাই স্কুল কর্তৃপক্ষের ৷ এই ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১০ টা নাগাদ স্কুলের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন অভিভাবকরা ।

একজন অভিভাবিকা পূজা সামন্ত বলেন, "স্কুল ফি বৃদ্ধির যে কারণ দেখানো হচ্ছে তা মানা যায় না ৷ শিক্ষকদের বেতন স্কুল ম্যানেজমেন্ট দেবে। স্কুলে ভরতির সময় লেখা ছিল না, যে অভিভাবকদের সেই দায় নিতে হবে।" আর একজনের দাবি, "আমরা ভালো সুযোগ-সুবিধার জন্য সন্তানকে এই স্কুলে দিয়েছি। অথচ টয়লেট পরিষ্কার থাকে না, একটা ক্লাসে ৬৫ জন করে পড়ুয়া, এসি নেই ।" পূজা বলেন, "এই যে বিশাল পরিমাণ ফি, মধ্যবিত্ত পরিবার তা দিতে পারবে না। আমরা এই বর্ধিত ফি কাঠামো মানব না।"


এদিন সকাল ১০ টা থেকে একডালিয়া মোড়ে জমায়েত শুরু করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা । স্কুলের সামনের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পর প্রিন্সিপাল ডিকে চাড্ডার সঙ্গে দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসেন তাঁরা। প্রিন্সিপাল সদর্থক আশ্বাস দিলে দুপুর ১ টা নাগাদ বিক্ষোভ উঠে যায়।

প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনার পর পূজা সামন্ত বলেন, "প্রিন্সিপালকে জানিয়েছি, এই ফি বৃদ্ধি মানছি না। প্রিন্সিপাল সাত দিন সময় চেয়েছেন ৷ তার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছেন ৷ " তবে সাত দিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা ৷

কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি : অতিরিক্ত ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে সাউথ পয়েন্ট স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের ৷ অভিযোগ, ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে সব শ্রেণিতে ৷ স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি কর্মীদের নয়া বেতন কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে শিক্ষকদের বেতন বাড়াতে হচ্ছে ৷ বাড়তি টাকা দেওয়ার জন্য় পড়ুয়াদের ফি বাড়ানো ছাড়া পথ নেই, সাফাই স্কুল কর্তৃপক্ষের ৷ এই ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে শুক্রবার সকাল ১০ টা নাগাদ স্কুলের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভে বসেন অভিভাবকরা ।

একজন অভিভাবিকা পূজা সামন্ত বলেন, "স্কুল ফি বৃদ্ধির যে কারণ দেখানো হচ্ছে তা মানা যায় না ৷ শিক্ষকদের বেতন স্কুল ম্যানেজমেন্ট দেবে। স্কুলে ভরতির সময় লেখা ছিল না, যে অভিভাবকদের সেই দায় নিতে হবে।" আর একজনের দাবি, "আমরা ভালো সুযোগ-সুবিধার জন্য সন্তানকে এই স্কুলে দিয়েছি। অথচ টয়লেট পরিষ্কার থাকে না, একটা ক্লাসে ৬৫ জন করে পড়ুয়া, এসি নেই ।" পূজা বলেন, "এই যে বিশাল পরিমাণ ফি, মধ্যবিত্ত পরিবার তা দিতে পারবে না। আমরা এই বর্ধিত ফি কাঠামো মানব না।"


এদিন সকাল ১০ টা থেকে একডালিয়া মোড়ে জমায়েত শুরু করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের বাবা-মায়েরা । স্কুলের সামনের রাস্তায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন তাঁরা। কয়েক ঘন্টা বিক্ষোভ চলার পর প্রিন্সিপাল ডিকে চাড্ডার সঙ্গে দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনায় বসেন তাঁরা। প্রিন্সিপাল সদর্থক আশ্বাস দিলে দুপুর ১ টা নাগাদ বিক্ষোভ উঠে যায়।

প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনার পর পূজা সামন্ত বলেন, "প্রিন্সিপালকে জানিয়েছি, এই ফি বৃদ্ধি মানছি না। প্রিন্সিপাল সাত দিন সময় চেয়েছেন ৷ তার মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে কথা দিয়েছেন ৷ " তবে সাত দিনের মধ্যে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, ফের আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা ৷

Intro:কলকাতা, ৩১ জানুয়ারি: অস্বাভাবিক রকম ফি বৃদ্ধি করেছে স্কুল। সরকারি কর্মচারীদের জন্য নতুন বেতন কমিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে স্কুলের শিক্ষকদের বেতন দিতে প্রায় ২০ থেকে ২৫ শতাংশ ফি বৃদ্ধি করা হয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুলের সব শ্রেণির পড়ুয়াদের। তার প্রতিবাদে আজ সকাল ১০টা নাগাদ একডালিয়া মোড় থেকে এসে স্কুলের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। দুপুর একটা পর্যন্ত চলে এই অবস্থান-বিক্ষোভ। তারপরে প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনার পর তিনি এই বিষয়ে দ্রুত আলোচনার আশ্বাস দিলে আজকের মত অবস্থান-বিক্ষোভ তুলে নেন অভিভাবকরা।
Body:নিজেদের দাবি নিয়ে অভিভাবিকা পূজা সামন্ত বলেন, "আমাদের এখন একটাই দাবি। এই যে ২৫ শতাংশ হারে বিশাল ফি হাইক হয়েছে, স্কুল বলছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের জন্য যে বেতন বৃদ্ধি করেছে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই স্কুলের শিক্ষকদেরও বেতন দেওয়া হবে। তার জন্য এই ফি হাইক করা হয়েছে। কিন্তু, স্যালারি বাড়লে সেটা স্কুল ম্যানেজমেন্ট দেবে। ভর্তির সময় কোথাও লেখা ছিল না যে অভিভাবকদের সেই দায়ভার নিতে হবে। আমরা ভালো ফেসিলিটির জন্য বাচ্চাকে এই স্কুলে দিয়েছি। অথচ, বহু ফেসিলিটি আমরা পাই না। টয়লেট পরিষ্কার থাকে না, একটা ক্লাসে ৬৫ জন করে বাচ্চা থাকে, এসি নেই। কিন্তু, আমরা কোনও দিন কোনো অভিযোগ করিনি। কারণ, সেই বিশ্বাসটা রেখেছি স্কুলের উপরে। কিন্তু, এই যে বিশাল পরিমাণে ফি বাড়ানো হল এটা মধ্যবিত্ত পরিবার মেনে নিতে পারবে না। আমাদের দাবি, আমরা এই বর্ধিত ফি স্ট্রাকচার মানব না। পুরনো ফি স্ট্রাকচার ফিরিয়ে আনতে হবে।"

এই দাবি নিয়ে আজ সকাল ১০টা থেকে একডালিয়া মোড়ে জমায়েত করেন সাউথ পয়েন্ট স্কুলের অভিভাবকরা। তারপর তাঁরা স্কুলের সামনে এসে রাস্তায় বসে অবস্থান বিক্ষোভ করেন। কয়েক ঘন্টা এই বিক্ষোভ চলার পর প্রিন্সিপাল ডিকে চাড্ডার কাছে নিজেদের দাবি নিয়ে আলোচনা করতে যান বেশ কয়েকজন অভিভাবক। আলোচনায় প্রিন্সিপাল ডিসিশন মেকারদের সঙ্গে দ্রুত বৈঠকের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টা নাগাদ বিক্ষোভ তুলে নেন অভিভাবকরা। তবে, আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রিন্সিপাল কথা না রাখলে আগামী সপ্তাহের শুক্রবার আবার স্কুলের সামনে অবস্থানে বসার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন অভিভাবকরা।

প্রিন্সিপালের সঙ্গে আলোচনার পর পূজা সামন্ত বলেন, "প্রিন্সিপাল আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। আমরা আমাদের প্রথম দাবি জানিয়েছে যে এই ফি হাইক আমরা মানছি না। আমরা ইমিডিয়েটলি একটা গার্ডিয়ান ফোরামের দাবি রেখেছি। কারণ অভিভাবকদের সঙ্গে কথা না বলেই স্কুল শিফটিংয়ের দিকে যাচ্ছে, এই রকম ফি হাইক করছে। এই জিনিসগুলো আমরা কিছুতেই মানতে চাইছি না। আর এই যে বিশাল ফি হাইকটা হয়েছে সেটা কোনও মতেই কোনো অভিভাবক চাইছে না বা অ্যাফর্ড করতে পারবে না। তো আমরা ৭ দিনের মধ্যে ডিসিশন মেকারদের সঙ্গে একটা মিটিং চাইছি। প্রিন্সিপাল আমাদের বলেছেন উনি যত দ্রুত সম্ভব এই মিটিংটার ব্যবস্থা করে দেবেন। মিটিং নাহলে আমরা আবার পরের সপ্তাহের শুক্রবার স্কুলের সামনে বসব।"




Conclusion:
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.