কলকাতা, 10 জুন : কেন্দ্রীয় সরকারকে যৌথ ভাবে আক্রমণ বাম-কংগ্রেসের । একাধিক ইশু নিয়ে BJP শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করল রাজ্যের দু'টি বিরোধী দল । বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তীর দাবি, কেবলমাত্র বামপন্থীরাই মানুষের কথা ভাবে। আজ অমিত শাহের বক্তব্য প্রমাণ হল নির্বাচনের দিকে পাখির চোখ করে মানুষকে ব্যবহার করতে চায় BJP । পরিযায়ী শ্রমিকদের গ্রাসাচ্ছাদনের ব্যবস্থা না করে, তাঁদের মধ্যে বিভেদ করতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানের মন্তব্য গত আড়াই মাস ধরে কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারকে দেখছে রাজ্যের মানুষ। দেখছে বিরোধীরাও ।
কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনাহীন লকডাউন, অন্যদিকে কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এ রাজ্যে বৃদ্ধি করার জন্য কোনও রকম শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা । বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনা হয়েছে । তাঁদের উপযুক্ত সুরক্ষা এবং শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা না হওয়ায়, কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন আবদুল মান্নান।
তিনি বলেন, "কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারের উপযুক্ত আন্তরিকতার অভাবে দেশ এবং রাজ্যের মানুষ আতঙ্কে রয়েছে । প্রতিদিন সংক্রমণ বেড়ে চলেছে। কোরোনার সংক্রমণে নিরিখে বিশ্বের মধ্যে এগিয়ে আসছে ভারত। প্রচুর মানুষ মারা গিয়েছেন এই রাজ্যে। তার কোনও হিসেব নেই। রাজ্য সরকার একদিকে যেমন তথ্য গোপন করেছে, তেমনি কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যগুলিকে উপযুক্ত পরিকাঠামো দেয়নি। মারণ রোগের সংক্রমণ সহজেই বৃদ্ধি পেয়েছে।" কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার নেপাল মাহাতো জানিয়েছেন, এইসময় পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরিয়ে না এনে, যে যেখানে ছিল সেখানেই যদি রাজ্য সরকার তাঁদের থাকা, খাবারের ব্যবস্থা করতেন তাহলে কোরোনা ভাইরাস এভাবে ছড়াত না। অপরিকল্পিতভাবে ফিরিয়ে আনার জন্য এই রোগের সংক্রমণ বাড়বে। সমগ্র দেশ যেখানে লকডাউন মানছে, তখন পশ্চিমবঙ্গে শিথিল করা হল লকডাউন। রাজ্য সরকারের দায়িত্ববোধ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কংগ্রেসের ডেপুটি লিডার নেপাল মাহাতো।
সুজন চক্রবর্তী বলেন, " বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব যখন বিপর্যস্ত মানুষের পাশে । তখন আকাশপথে প্রধানমন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী সার্কাস করলেন । কোরোনা ভাইরাসে সংক্রমিত মানুষ কেমন আছেন জানতে চাইলেন না মুখ্যমন্ত্রী । লকডাউনে অধিকাংশ দরিদ্র মানুষ অর্ধাহারে এবং অনাহারে রইলেন । প্রবল ঘূর্ণিঝড় আমফান বিধ্বস্ত এলাকায় বিরোধীদলের নেতারা গেলেন। শাসকদলের কেউ বা মুখ্যমন্ত্রী খবর নিলেন না ক্ষতিগ্রস্তদের। ত্রাণের টাকা পাচ্ছে পাকা বাড়ির মালিক। যাঁর সব হারিয়ে গেছে, তাঁকে বঞ্চিত করছে রাজ্য সরকার।"