কলকাতা, 15 জুলাই : উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অনলাইনে মেধার ভিত্তিতে ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে হবে ৷ কোনও পড়ুয়াকেই সশরীরে হাজির হতে নির্দেশ দেওয়া যাবে না ৷ রাজ্যের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিকে এমনই নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা দফতর ৷ গত বছর অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ার সাফল্য দেখে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে জানা গিয়েছে ৷ একই সঙ্গে তারা জানিয়েছে যে 2021-22 শিক্ষাবর্ষে অনলাইনেই পড়াশোনা হবে ৷
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মেধার ভিত্তিতে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া চালাতে হবে ৷ ভর্তি প্রক্রিয়া চলাকালীন কোনও পড়ুয়াকে কাউন্সেলিং বা নথি যাচাইয়ের জন্য ডাকা যাবে না ৷ কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনও উপস্থিতির প্রয়োজন নেই ৷ স্নাতকস্তরে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী 2 অগস্ট ৷ তা শেষ হয়ে যাবে 20 অগস্ট ৷ 31 অগস্ট মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ৷ ভর্তির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে আগামী 30 সেপ্টেম্বরের মধ্যে ৷ চলতি বছরের 1 অক্টোবর থেকে সেমেস্টার চালু হবে ৷
আরও পড়ুন : প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের হাতে থাকা উচিত, মত শিক্ষক সংগঠনের
অন্যদিকে স্নাতকোত্তর স্তরের ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী 1 সেপ্টেম্বর ৷ তা শেষ হয়ে যাবে 15 সেপ্টেম্বর ৷ 20 সেপ্টেম্বর মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে ৷ ভর্তির সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাবে আগামী 25 অক্টোবরের মধ্যে ৷ চলতি বছরের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহে প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু হবে ৷ আর এই ভর্তি প্রক্রিয়ার জন্য স্নাতকস্তরের ফলাফল আগামী 31 অগস্ট প্রকাশ করা হবে ৷
স্নাতকোত্তর স্তরে ভর্তির ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যায়ের 80 শতাংশ পড়ুয়া নিতে হবে ৷ আর বাকি 20 শতাংশ অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া হবে ৷ আর সংরক্ষিত আসন ফাঁকা থাকলে সেখানে এই অনুপাতের বাইরে গিয়ে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের ভর্তি করা যাবে ৷
আরও পড়ুন : পশ্চিমবঙ্গের স্কুলগুলিতে ছাত্রের থেকে ছাত্রী সংখ্যা বেশি, বলছে কেন্দ্রীয় সমীক্ষা
এই নিয়ে কয়েকদিন আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেছিল শিক্ষা দফতর ৷ সেখানে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরস্তরে প্রবেশিকা পরীক্ষা না করতে বলা হয় ৷ উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের ভিত্তিতে স্নাতকস্তরে এবং স্নাতকের ফলের ভিত্তিতে স্নাতকোত্তরস্তরে ভর্তি করতে বলা হয় ৷ যা নিয়ে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সংগঠনের সদস্যদের তরফে আপত্তি তোলা হয় ৷ প্রবেশিকা পরীক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আলাদা আলাদা ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছিলেন ৷