ETV Bharat / city

ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াদের জন্য অনলাইন ইন্টার্নশিপের পরিকল্পনা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের - যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়

শুক্রবার অনলাইন ইন্টার্নশিপের বিষয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মাধ্যমে বৈঠক হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভাইজ়রি কমিটির।আপাতভাবে অনলাইনে ইন্টার্নশিপের অনুমতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দেওয়া হলেও তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বেশ কিছু বিভাগের ইন্টার্নশিপ সশরীরে গিয়ে করতে হয় পড়ুয়াদের। তবে, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্সের মতো একাধিক বিভাগ যাদের পক্ষে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করা সম্ভব তাঁদের এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

online internship
অনলাইন ইন্টার্নশিপ
author img

By

Published : Apr 11, 2020, 10:50 PM IST

কলকাতা, 11 এপ্রিল: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে ইন্টার্নশিপ। AICTE নিয়ম অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের তৃতীয় বর্ষে অর্থাৎ ষষ্ঠ সেমিস্টারে ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক। কিন্তু, বর্তমানে কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সশরীরে কোথাও গিয়ে ইন্টার্নশিপ করার কোনও প্রশ্নই থাকে না। কিন্তু, চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এবার অনলাইন ইন্টার্নশিপের পরিকল্পনা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল প্লেসমেন্ট অ্যাডভাইজ়রি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যেসব বিভাগের পড়ুয়ারা করতে চান তাঁদের অনুমতি দেওয়া হবে।

শুক্রবার অনলাইন ইন্টার্নশিপের বিষয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মাধ্যমে বৈঠক হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভাইজারি কমিটির। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, ইনসট্র্রুমেনটেশন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও প্লেসমেন্ট অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্লেসমেন্ট অফিসার সমিতা ভট্টাচার্য ও ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের পড়ুয়ারা। বৈঠকে হওয়া আলোচনা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "এখন দেশ তথা বিশ্বজুড়ে যে অবস্থা চলছে তাতে এবার তো ইন্টার্নশিপ করানোর কোনও সুযোগ নেই। সেই অবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে যদি ইন্টার্নশিপ সম্ভব হয়, যে যে কোম্পানি তা করতে চাইবে এবং পড়ুয়াদেরও যদি সেই পরিকাঠামো থাকে অর্থাৎ, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, তাহলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে ইন্টার্নশিপটা করতে পারে। ইন্ডাস্ট্রি যেমন আমাজন, গুগল, TCS বা এই জাতীয় কোনও কোম্পানি যারা IT-তে আছেন তাঁরা চাইলে এই রকমের ইন্টার্নশিপ করতে পারে। সেটা নিয়ে কাল আলোচনা হয়েছে। আমরা অনুমতি দিয়েও দিয়েছি। FETSU-ও চাইছিল যে, যাদের পক্ষে সম্ভব তাঁদেরকে ইন্টার্নশিপের জন্য অনুমতি দিতে । আমরা সেই অনুমতি দিয়েছি।" গতকাল বৈঠকের পর থেকে কোম্পানিগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করাও শুরু করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স এবং চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতি বছরই তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মে মাস থেকে জুন বা জুলাই পর্যন্ত ইন্টার্নশিপ করে থাকে। এ বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টার চলছে। AICTE-র নিয়ম অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পর ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক। সেই অনুযায়ী আমাদের মে মাসের সেকেন্ড হাফে বা জুন মাসে বা কখনও কখনও জুলাইয়ের ফার্স্ট হাফেও ইন্টার্নশিপ হতো । ইন্টার্নশিপ কোনও কোনও জায়গায় 4 সপ্তাহের, কোনও কোনও জায়গায় 6 সপ্তাহের থাকে, সর্বোচ্চ 8 সপ্তাহও হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ওরা ইন্টার্নশিপ করত। কখনও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টার্নশিপ হতো, কখনও রিসার্চ ইন্টার্নশিপ হতো‌। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেত তাঁরা রিসার্চ ইন্টার্নশিপ করত। যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে চাইত তাঁরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা কর্পোরেট ইন্টার্নশিপ করত।" কিন্তু, কোরোনা নিয়ে তৈরি পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে যে লকডাউন চলছে তাতে এই বছর সশরীরে ইন্টার্নশিপ অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের স্বার্থে অন্য পরিকল্পনা করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু, আপাতভাবে অনলাইনে ইন্টার্নশিপের অনুমতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দেওয়া হলেও তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বেশ কিছু বিভাগের ইন্টার্নশিপ সশরীরে গিয়ে করতে হয় পড়ুয়াদের। তবে, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্সের মতো একাধিক বিভাগ যাদের পক্ষে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করা সম্ভব তাঁদের এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য বলেন, " অনলাইন ইন্টার্নশিপ করা সব ডিপার্টমেন্টের পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে গিয়ে বা বিভিন্ন রিফাইনারিতে গিয়ে ইন্টার্নশিপ করতে হতো। সেগুলো নিজেকে গিয়েই করতে হয়। সেটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে যাঁরা বাড়িতে বসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে করতে পারবে, যেমন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কিছু কিছু ক্ষেত্র, ইনফর্মেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, ইন্সট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পক্ষে সম্ভব। যাঁরা যাঁরা করতে ইচ্ছুক তাঁরা চাইলে এই লকডাউন পিরিয়ডে করতে পারে বলে আমরা অনুমতি দিয়ে দিয়েছি।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট 16টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রয়েছে। যার মধ্যে 11টি বিভাগ যাদবপুরে মেন ক্যাম্পাসে ও 5টি সল্টলেকের ক্যাম্পাসে রয়েছে। 2019 সালে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মোট 1 হাজার 273 টি সিট ছিল।

যে বিভাগগুলি অনলাইন ইন্টার্নশিপ করতে পারবে তাদের মধ্যেও যদি কোনও পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার মতো পরিকাঠামো না থাকে তাহলে কী হবে? চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "কোনও পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার অবস্থা নাও থাকতে পারে। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা সেই সব ক্ষেত্রগুলো আইডেন্টিফাই করতে বলেছি। এই রকম স্টুডেন্ট থাকলে অন্তত আইডেন্টিফাই করার জন্য বলেছি। বলেছি যে, যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টটা পেতে পারে কিন্তু হয় তাঁরা এমন রিমোট লোকেশনে আছে যেখানে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রপার নয়, অথবা ফেসিলিটি নেই বাড়িতে, সেই ক্ষেত্রগুলোকে আইডেন্টিফাই করতে। সেগুলো নিয়ে আমরা পরে চিন্তাভাবনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা দেখব।"





কলকাতা, 11 এপ্রিল: ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স সম্পূর্ণ হওয়ার পর পড়ুয়াদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে ইন্টার্নশিপ। AICTE নিয়ম অনুযায়ী, ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সের তৃতীয় বর্ষে অর্থাৎ ষষ্ঠ সেমিস্টারে ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক। কিন্তু, বর্তমানে কোরোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় দেশে চলছে লকডাউন। এই পরিস্থিতিতে সশরীরে কোথাও গিয়ে ইন্টার্নশিপ করার কোনও প্রশ্নই থাকে না। কিন্তু, চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপের প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখে এবার অনলাইন ইন্টার্নশিপের পরিকল্পনা করেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গতকাল প্লেসমেন্ট অ্যাডভাইজ়রি কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের যেসব বিভাগের পড়ুয়ারা করতে চান তাঁদের অনুমতি দেওয়া হবে।

শুক্রবার অনলাইন ইন্টার্নশিপের বিষয়ে ভিডিয়ো কনফারেন্সে মাধ্যমে বৈঠক হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাডভাইজারি কমিটির। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য, ইনসট্র্রুমেনটেশন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের অধ্যাপক ও প্লেসমেন্ট অ্যাডভাইসারি কমিটির সদস্য রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, প্লেসমেন্ট অফিসার সমিতা ভট্টাচার্য ও ফ্যাকাল্টি অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি স্টুডেন্ট ইউনিয়নের পড়ুয়ারা। বৈঠকে হওয়া আলোচনা নিয়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "এখন দেশ তথা বিশ্বজুড়ে যে অবস্থা চলছে তাতে এবার তো ইন্টার্নশিপ করানোর কোনও সুযোগ নেই। সেই অবস্থায় আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে যদি ইন্টার্নশিপ সম্ভব হয়, যে যে কোম্পানি তা করতে চাইবে এবং পড়ুয়াদেরও যদি সেই পরিকাঠামো থাকে অর্থাৎ, ল্যাপটপ, ডেস্কটপ, ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি, তাহলে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে ইন্টার্নশিপটা করতে পারে। ইন্ডাস্ট্রি যেমন আমাজন, গুগল, TCS বা এই জাতীয় কোনও কোম্পানি যারা IT-তে আছেন তাঁরা চাইলে এই রকমের ইন্টার্নশিপ করতে পারে। সেটা নিয়ে কাল আলোচনা হয়েছে। আমরা অনুমতি দিয়েও দিয়েছি। FETSU-ও চাইছিল যে, যাদের পক্ষে সম্ভব তাঁদেরকে ইন্টার্নশিপের জন্য অনুমতি দিতে । আমরা সেই অনুমতি দিয়েছি।" গতকাল বৈঠকের পর থেকে কোম্পানিগুলির সঙ্গে এ বিষয়ে যোগাযোগ করাও শুরু করে দেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে।

ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কোর্স এবং চাকরির ক্ষেত্রে ইন্টার্নশিপ একটি বড় ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রতি বছরই তাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মে মাস থেকে জুন বা জুলাই পর্যন্ত ইন্টার্নশিপ করে থাকে। এ বিষয়ে চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টার চলছে। AICTE-র নিয়ম অনুযায়ী ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তৃতীয় বর্ষের পর ইন্টার্নশিপ বাধ্যতামূলক। সেই অনুযায়ী আমাদের মে মাসের সেকেন্ড হাফে বা জুন মাসে বা কখনও কখনও জুলাইয়ের ফার্স্ট হাফেও ইন্টার্নশিপ হতো । ইন্টার্নশিপ কোনও কোনও জায়গায় 4 সপ্তাহের, কোনও কোনও জায়গায় 6 সপ্তাহের থাকে, সর্বোচ্চ 8 সপ্তাহও হয়ে থাকে। সেই হিসেবে ওরা ইন্টার্নশিপ করত। কখনও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্টার্নশিপ হতো, কখনও রিসার্চ ইন্টার্নশিপ হতো‌। যাঁরা উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশ যেত তাঁরা রিসার্চ ইন্টার্নশিপ করত। যাঁরা ইন্ডাস্ট্রিতে থাকতে চাইত তাঁরা ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা কর্পোরেট ইন্টার্নশিপ করত।" কিন্তু, কোরোনা নিয়ে তৈরি পরিস্থিতি এবং তার মোকাবিলায় রাজ্যজুড়ে যে লকডাউন চলছে তাতে এই বছর সশরীরে ইন্টার্নশিপ অসম্ভব। তাই বাধ্য হয়েই পড়ুয়াদের স্বার্থে অন্য পরিকল্পনা করতে বাধ্য হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়।

কিন্তু, আপাতভাবে অনলাইনে ইন্টার্নশিপের অনুমতি বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে দেওয়া হলেও তা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের পক্ষে করা সম্ভব নয়। কারণ, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বেশ কিছু বিভাগের ইন্টার্নশিপ সশরীরে গিয়ে করতে হয় পড়ুয়াদের। তবে, ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার সায়েন্সের মতো একাধিক বিভাগ যাদের পক্ষে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করা সম্ভব তাঁদের এই ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার অনুমতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়। এ বিষয়ে সহ-উপাচার্য বলেন, " অনলাইন ইন্টার্নশিপ করা সব ডিপার্টমেন্টের পক্ষে সম্ভব নয়। যেমন, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ। কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়াদের ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনে গিয়ে বা বিভিন্ন রিফাইনারিতে গিয়ে ইন্টার্নশিপ করতে হতো। সেগুলো নিজেকে গিয়েই করতে হয়। সেটা তাঁদের পক্ষে সম্ভব হবে না। তবে যাঁরা বাড়িতে বসে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টে করতে পারবে, যেমন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কিছু কিছু ক্ষেত্র, ইনফর্মেশন অ্যান্ড টেকনোলজি, ইন্সট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পক্ষে সম্ভব। যাঁরা যাঁরা করতে ইচ্ছুক তাঁরা চাইলে এই লকডাউন পিরিয়ডে করতে পারে বলে আমরা অনুমতি দিয়ে দিয়েছি।"

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট 16টি ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ রয়েছে। যার মধ্যে 11টি বিভাগ যাদবপুরে মেন ক্যাম্পাসে ও 5টি সল্টলেকের ক্যাম্পাসে রয়েছে। 2019 সালে যাদবপুরের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে মোট 1 হাজার 273 টি সিট ছিল।

যে বিভাগগুলি অনলাইন ইন্টার্নশিপ করতে পারবে তাদের মধ্যেও যদি কোনও পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার মতো পরিকাঠামো না থাকে তাহলে কী হবে? চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "কোনও পড়ুয়ার কাছে অনলাইন ইন্টার্নশিপ করার অবস্থা নাও থাকতে পারে। চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, "আমরা সেই সব ক্ষেত্রগুলো আইডেন্টিফাই করতে বলেছি। এই রকম স্টুডেন্ট থাকলে অন্তত আইডেন্টিফাই করার জন্য বলেছি। বলেছি যে, যাঁরা ওয়ার্ক ফ্রম হোম কনসেপ্টটা পেতে পারে কিন্তু হয় তাঁরা এমন রিমোট লোকেশনে আছে যেখানে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি প্রপার নয়, অথবা ফেসিলিটি নেই বাড়িতে, সেই ক্ষেত্রগুলোকে আইডেন্টিফাই করতে। সেগুলো নিয়ে আমরা পরে চিন্তাভাবনা করে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় কিনা দেখব।"





ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.