ETV Bharat / city

বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা

author img

By

Published : Nov 12, 2019, 10:30 PM IST

Updated : Nov 12, 2019, 11:22 PM IST

গ্রিন হাউজ় গ্যাসের পরিমাণ পরিবেশে যত বাড়বে, পৃথিবী তত বেশি উত্তপ্ত হবে ৷ ফলে ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যাও বাড়বে । জানালেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ ।

পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ

কলকাতা, 12 নভেম্বর : দুই-তিন মাসের মধ্যে ফের ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ৷ বুলবুলের চেয়েও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় ৷ এই আশঙ্কা করছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ ৷

কিন্তু কেন ঘন ঘন এমন ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে ? সোমেন্দ্রবাবু জানালেন, এর মূল কারণ হল বিশ্ব উষ্ণায়ন ৷ গ্রিন হাউজ় গ্যাসের পরিমাণ পরিবেশে যত বাড়বে, পৃথিবী তত বেশি উত্তপ্ত হবে ৷ উষ্ণায়ন বাড়লে সমুদ্রের আশপাশের বায়ু গরম হবে ৷ সমুদ্রের উপরিভাগে বায়ু যখন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছে যায় তখন ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয় ৷

সৌমেন্দ্রবাবু আরও জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত বেশি তৈরি হচ্ছে ৷ কারণ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে ৷ দূষণের জেরে তাপমাত্রা বাড়ছে ৷ সমুদ্রতটে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে ৷ সেটা যখন গরম হচ্ছে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ গরম হতে শুরু করছে ৷ সেটা যখন কোনওভাবে 27 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে চলে যায় তখন ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় ৷ বুলবুল বঙ্গোপসাগর থেকেই তৈরি হয়েছিল ৷ হয়ত দুই-তিন মাসের মধ্যে আরও একটা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ৷

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

সোমেন্দ্রবাবু আরও জানান, বুলবুল কলকাতার পাশ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায় ৷ এতে কলকাতার একটা লাভ হয় ৷ কলকাতার দূষণ অনেকটাই কমে যায় । কিন্তু এই ঝড় যদি কলকাতার উপর দিয়ে যেত তাহলে কলকাতার ব্যাপক ক্ষতি হত ৷ তাই এই ঝড়কে আটকাতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্টকে আরও বাড়াতে হবে ৷ তার জন্য অরণ্যায়নে জোর দিতে হবে ৷ লক্ষ্য রাখতে হবে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় যেন কোনও অবৈধ নির্মাণ না হয় ৷ কোস্টাল জ়োন রেগুলেশন মেনে চলতে হবে ৷ জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে আরও অ্যালার্ট থাকতে হবে ৷ যারা মাছ ধরতে যায় তারা যেন পাঠানো সতর্কবার্তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ৷ বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে ৷

কলকাতা, 12 নভেম্বর : দুই-তিন মাসের মধ্যে ফের ধেয়ে আসতে পারে ঘূর্ণিঝড় ৷ বুলবুলের চেয়েও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে কলকাতা ও সন্নিহিত এলাকায় ৷ এই আশঙ্কা করছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ ৷

কিন্তু কেন ঘন ঘন এমন ঘূর্ণিঝড় ধেয়ে আসছে ? সোমেন্দ্রবাবু জানালেন, এর মূল কারণ হল বিশ্ব উষ্ণায়ন ৷ গ্রিন হাউজ় গ্যাসের পরিমাণ পরিবেশে যত বাড়বে, পৃথিবী তত বেশি উত্তপ্ত হবে ৷ উষ্ণায়ন বাড়লে সমুদ্রের আশপাশের বায়ু গরম হবে ৷ সমুদ্রের উপরিভাগে বায়ু যখন একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় পৌঁছে যায় তখন ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয় ৷

সৌমেন্দ্রবাবু আরও জানান, সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত বেশি তৈরি হচ্ছে ৷ কারণ ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হচ্ছে ৷ দূষণের জেরে তাপমাত্রা বাড়ছে ৷ সমুদ্রতটে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বাড়ছে ৷ সেটা যখন গরম হচ্ছে তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ গরম হতে শুরু করছে ৷ সেটা যখন কোনওভাবে 27 ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে চলে যায় তখন ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয় ৷ বুলবুল বঙ্গোপসাগর থেকেই তৈরি হয়েছিল ৷ হয়ত দুই-তিন মাসের মধ্যে আরও একটা ঘূর্ণিঝড় হতে পারে ৷

ভিডিয়োয় শুনুন বক্তব্য

সোমেন্দ্রবাবু আরও জানান, বুলবুল কলকাতার পাশ দিয়ে বাংলাদেশের দিকে চলে যায় ৷ এতে কলকাতার একটা লাভ হয় ৷ কলকাতার দূষণ অনেকটাই কমে যায় । কিন্তু এই ঝড় যদি কলকাতার উপর দিয়ে যেত তাহলে কলকাতার ব্যাপক ক্ষতি হত ৷ তাই এই ঝড়কে আটকাতে সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ ফরেস্টকে আরও বাড়াতে হবে ৷ তার জন্য অরণ্যায়নে জোর দিতে হবে ৷ লক্ষ্য রাখতে হবে সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় যেন কোনও অবৈধ নির্মাণ না হয় ৷ কোস্টাল জ়োন রেগুলেশন মেনে চলতে হবে ৷ জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে আরও অ্যালার্ট থাকতে হবে ৷ যারা মাছ ধরতে যায় তারা যেন পাঠানো সতর্কবার্তা অক্ষরে অক্ষরে পালন করে ৷ বিপর্যয় মোকাবিলা টিমকে সবসময় প্রস্তুত থাকতে হবে ৷

Intro:প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফের আসতে পারে এই রাজ্যে। বিশ্ব উষ্ণায়নের জন্য লুপ্ত হতে পারে প্রাণীকুল। সীমাহীন পরিবেশ দূষণ এবং নদী দূষণের ফলে বুলবুলের চেয়েও শক্তিশালী ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আবার আসতে পারে কলকাতাসহ সন্নিহিত অঞ্চলে। আশঙ্কা করছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সোমেন্দ্র মোহন ঘোষ।


Body:সদ‍্য বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে। বিশেষ করে উত্তর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে প্রচুর বাড়িঘর ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। ফসল নষ্ট হয়ে চাষের জমিও নষ্ট হয়ে গিয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে। বুলবুলের লেজের ঝাপটায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে জনজীবনে। গৃহহীন হয়েছেন বহু মানুষ।
এর থেকেও অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় কয়েক মাসের মধ্যে ফের আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সমেন্দ্র মোহন ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন, ইদানীংকালে বঙ্গোপসাগর অতিরিক্ত মাত্রায় দূষিত হচ্ছে। সমুদ্রের তটে জলীয়বাষ্পের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই জলীয়বাষ্প যখন উষ্ণ হচ্ছে তখন সমুদ্রের তলদেশও গরম হতে শুরু করছে। কোনোভাবে সেই উষ্ণতার পরিমাণ যদি ২৭ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের উপরে চলে যায়, তাহলে ঘূর্ণাবর্তের অনুকূল পরিবেশ তৈরি হয়। এবং এর ফলে যে নিম্নচাপের সৃষ্টি হবে তা সমুদ্র তলের চাপের দ্বারা বৃদ্ধি পাবে। ফের তৈরি হবে ঘূর্ণাবর্ত। ইদানীংকালে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত বেশি তৈরি হচ্ছে। সাম্প্রতিককালের সাইক্লোন বুলবুল উৎপন্ন হয় বঙ্গোপসাগর থেকেই। অনেক সময় আন্দামান থেকে হতো। এখন দেখা যাচ্ছে সরাসরি বঙ্গোপসাগর থেকেই এর প্রভাব পড়তে শুরু করছে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে ফের হতেও পারে অতি সক্রিয় ঘূর্ণিঝড়। কলকারখানার দূষিত জল, ধোঁয়া-ধুলো, মোটর ধোয়া জল, পোড়া তেল ইত্যাদি দূষিত করছে মহাসাগরকে। ভারসাম্য হারাচ্ছে জলজ প্রাণী। মিথেন গ্যাস যত পুরবে, পৃথিবী তত গরম হবে। নির্দিষ্ট তাপমাত্রার উপরে গেলে ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে ঘন ঘন। জলের ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়। জলে ঘূর্ণাবর্ত হলে জনপদ প্লাবিত হবে। আর ডাঙ্গায় ঘূর্ণাবর্ত হলে প্রচন্ড হাওয়ার সঙ্গে ঝড়-বৃষ্টি ক্ষয়ক্ষতি বেড়ে চলবে। যখন ঘূর্ণাবর্ত জনপদে এসে পড়ে তখন তার ঝড়ের তীব্রতা কমতে থাকে।
যদিও প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টির ফলে রেকর্ড পরিমাণ দূষণের হাত থেকে রক্ষা পায় কলকাতা। সহ সন্নিহিত অঞ্চল। সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ জঙ্গলকে সুন্দর ভাবে তৈরি করতে হবে। পরিবেশ প্রযুক্তিবিদ সমেন্দ্র মোহন ঘোষ জানাচ্ছেন, সুন্দরবনের জন্যই কলকাতাসহ সন্নিহিত এলাকার মানুষ বুলবুলের মত প্রচন্ড শক্তিশালী ঝড়ের হাত থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পেয়েছে। সুন্দরবন না থাকলে এক লহমায় তছনছ হয়ে যেত সমগ্র শহর। সুন্দরবন কোলকাতাকে বাঁচালো। না হলে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারতো বলে তিনি মনে করেন। এই ধরনের ঝড়কে আটকাতে বনসৃজন এবং বনকে রক্ষা করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। সমুদ্রের তটে যেকোনো ধরনের বেআইনি নির্মাণ রোধ করতে হবে। বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরকে সদা সতর্ক থাকতে হবে। না হলে পরিবেশগত শরণার্থী বাস্তু ভিটে হারা হয়ে পড়বেন। পরিবেশগত শরণার্থী বাড়লে রাজ্যের অবস্থা আরও সঙ্গীন হয়ে পড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন।


Conclusion:
Last Updated : Nov 12, 2019, 11:22 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.