কলকাতা 19 অক্টোবর : রাজ্যের সমস্ত পুজো মণ্ডপে নো-এন্ট্রি ঘোষণা করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, উদ্যোক্তাদের তরফে প্রতিদিন সর্বোচ্চ 25 জন মণ্ডপে থাকতে পারবেন । তাঁদের নামের তালিকা আগে থেকে প্যান্ডেলের সামনে ঝুলিয়ে দিতে হবে। ছোটো প্যান্ডেলে পাঁচ মিটারের মধ্যে এবং বড় প্যান্ডেলে 10 মিটারের মধ্যে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। ব্যারিকেড করা থাকবে। দূর থেকে দেখতে হবে।
এর পাশাপাশি ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, রাজ্য পুলিশের DG ও কলকাতা পুলিশের CP-কে লক্ষ্মীপুজোর চারদিনের মধ্যে হাইকোর্টের নির্দেশ যথাযথ পালন করা হয়েছে কি না সেব্যাপারে রিপোর্ট পেশ করতে হবে।
এই সংক্রান্ত মামলায় এর আগে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণে জানায়, "প্রতিটি পুজোমণ্ডপ হোক কনটেনমেন্ট জ়োন ৷ প্যান্ডেলে ঢুকতে পারবেন শুধু এলাকারই কিছু লোকজন ও নিমন্ত্রিত দর্শনার্থীরা।"
ইতিমধ্যে বিভিন্ন পুজামণ্ডপে ভিড়ের ছবি সামনে এসেছে। এদিন মামলার শুনানিতে এই উদাহরণ টেনে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্য, "এই ছবি অত্যন্ত ভয় জাগানো। কোরোনা ভাইরাস প্রতিরোধে ও ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের গাইডলাইন রয়েছে খুব ভালো। কিন্তু তা বাস্তবায়ন করার কোন সদিচ্ছা দেখতে পাওয়া যাচ্ছে না।"
তিনি আরও বলেন,"অতিমারী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য মুম্বইয়ে গণেশ চতুর্থীতে শোভাযাত্রার অনুমোদন দেওয়া হয়নি৷ কেরালায় ওনাম উৎসবের পর সেখানে সংক্রমণ ভয়ংকরভাবে বেড়ে গিয়েছে।" রাজ্যের তরফে আদালতে এদিন জানানো হয়, এখনও পর্যন্ত পুজোয় ভিড় সামলাতে 30 হাজার পুলিশের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে। যদিও আদালত এতে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছে, "লাখ লাখ মানুষকে সামলাতে মাত্র 30 হাজার পুলিশ!"
ভিড় সামলাতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব, মুখ্যসচিবের কী পরিকল্পনা তার ব্লু প্রিন্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও রাজ্যের তরফে তা আদালতকে আজ জানানো হয়নি ৷ 14 অক্টোবর বারোয়ারি দুর্গাপুজোয় সাধারণ দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখার দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেছিলেন অজয় কুমার নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলারই আজ রায়দান করল কলকাতা হাইকোর্ট।