কলকাতা, 21 অগস্ট : প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তাতে সিলমোহরও পড়ল । তবে অজন্তা বিশ্বাসের শাস্তির মেয়াদ কতদিন হবে তা নিয়ে মতান্তর রয়েছে সিপিআইএমে ।
তৃণমূলের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’য় উত্তর সম্পাদকীয় লেখার জেরে অনিল-কন্যা অজন্তা বিশ্বাসকে তিন মাস সাসপেন্ড করার পক্ষে সওয়াল করে এরিয়া কমিটি । শনিবার কলকাতা জেলা কমিটি সাসপেন্ড করার বিষয়টি মেনে নিলেও ছয় মাসের জন্য সাসপেন্ড করার পক্ষে সওয়াল করে তারা । যদিও এরিয়া কমিটি বিষয়টি নিয়ে আপত্তি জানায় । এই অবস্থায় বাধ্য হয়েই অজন্তা বিশ্বাসের সাসপেনশনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত রাজ্য কমিটির উপর ছাড়া হয় । আজই অজন্তা বিশ্বাসের শাস্তির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ছিল। আর সেই বৈঠকেই অজন্তা বিশ্বাসকে এরিয়া কমিটি এবং কলকাতা জেলা কমিটির মধ্যে মতান্তর হওয়ায় বিষয়টি ঝুলে থাকল।
প্রসঙ্গত প্রথম থেকেই অজন্তা অবশ্য জাগো বাংলায় তাঁর লেখা প্রসঙ্গে বলে এসেছেন, "আমি ইতিহাসের শিক্ষার্থী। আমার গবেষণার অন্যতম বিষয় বঙ্গ নারী । বেশ কিছুদিন ধরেই এ নিয়ে আমি গবেষণা করছি । এমনই একটি লেখা প্রাক স্বাধীনতা পর্বে অবিভক্ত বাংলায় এবং পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে নারীদের অংশগ্রহণ । এই লেখায় কংগ্রেসের নেত্রীদের কথা যেমন এসেছে, তেমনই এসেছে বামপন্থী নেত্রীদের অবদানের প্রসঙ্গও । বঙ্গের রাজনীতিতে নারীদের ভূমিকা নিয়ে লিখতে গেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ও প্রসঙ্গ আসাটা অত্যন্ত স্বাভাবিক । তিনি বাংলার প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী । মহিলা নেত্রী হিসাবে দীর্ঘদিন তিনি পুরুষ-প্রধান রাজনীতির অসম লড়াইয়ে নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টা করছেন ।"
এই সংক্রান্ত খবর : শূন্য থেকে মহাশূন্যের পথে সিপিএম, অজন্তার পাশে দাঁড়িয়ে টুইট কুণালের
যদিও অজন্তার এই ব্যাখ্যা সিপিআইএম নেতাদের খুশি করতে পারেনি । বরং তাঁরা চান, অজন্তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক । সে কারণেই এরিয়া কমিটির তিন মাসের সাসপেনশনের প্রস্তাব বাড়িয়ে কলকাতা জেলা কমিটির তরফ থেকে ছ'মাস করা হয়েছে । এখন দেখার রাজ্য কমিটি কি শেষ পর্যন্ত কলকাতা জেলা কমিটির প্রস্তাবই বহাল রাখে নাকি ভিন্ন কোনও সিদ্ধান্ত নেয় ।