ETV Bharat / city

বাঁচলেন না মা, নিউ আলিপুরে যুবতির মৃত্যুরহস্যের জট খোলার সম্ভাবনা ক্ষীণ - girl died in new alipore

গোটা ঘটনায় একাধিক ফাঁক রয়েছে, যা ভাবাচ্ছিল পুলিশকে । কিন্তু নিলমের মৃত্যুর পর সেই রহস্য অধরাই থেকে যাবে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।

death
মৃত্যু
author img

By

Published : Jan 9, 2020, 1:46 AM IST

Updated : Jan 9, 2020, 2:33 AM IST

কলকাতা, 9 জানুয়ারি: প্রশ্ন ছিল অনেক । কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার লোকটাই চলে গেলেন । মৃত্যু হল নিলম ধানানির । কিছুদিন আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল নিলমের মেয়ে গুড্ডনের । মা ও মেয়ে থাকতেন নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনিতে । দুজনেরই মৃত্যু হওয়ায় এই কেসের সমাধান আর কোনও দিন হবে না বলেই মনে করছে লালবাজার‌ । কারণ গোটা ঘটনার সঙ্গে মা-মেয়ে ছাড়া এখনও পর্যন্ত তৃতীয় কোনও ব্যক্তির যোগসূত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ ।


ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হয়েছিল গুড্ডনের । শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। গলায় দড়ির ফাঁস অর্থাৎ লিগেচার মার্কও নেই। কিন্তু দেহটি বন্ধ ফ্ল্যাটে যত্ন করে বিছানায় শোয়ানো ছিল । পুলিশ যখন দেহ উদ্ধার করে তখন তাতে পচন ধরতে শুরু করেছে । 29 জানুয়ারি কাটিহার যাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশনে গিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের নিলম । কিন্তু স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করায় রেলের তরফে তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ভরতি করা হয় । হাসপাতাল থেকে গতকাল নিলম তাঁর দাদা বিজয়কে ফোন করে জানান, গুড্ডন (26) আত্মহত্যা করেছে । তার দেহ ফ্ল্যাটেই পড়ে আছে ।

বিজয় পুলিশকে খবর দিলে তারা গুড্ডনের দেহ উদ্ধার করে । এছাড়া ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । কিন্তু সেই নোটটি নিলমের লেখা । যদিও নিলম আত্মহত্যা করেননি ।পরে পুলিশকে তিনি জানান, তাঁরা মা ও মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন । তাই তিনি সুইসাইড নোটটি লিখেছিলেন । ময়নাতদন্তে রিপোর্ট বলছে গুড্ডনের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে । কিন্তু নিলম কি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ? কারণ ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে দড়ির ফাঁস ঝুলছিল ।

সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে গুড্ডনের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে । পুলিশি তদন্ত বলছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল গুড্ডনের । কিন্তু কোনও কারণে বিয়ে ভেঙে যায় । তারপরেই দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন । তাহলে নিলম হাওড়া স্টেশনে গেলেন কেন ? তিনি কি মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন ? কিন্তু কেন? পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে প্রায় 10 দিন আগে অর্থাৎ 28 ডিসেম্বর নাগাদ ওই যুবতির মৃত্যু হয়েছিল । 29 ডিসেম্বর নিলম হাওড়া স্টেশনে যান । তাহলে কি প্রায় 24 ঘণ্টা তিনি মেয়ের দেহ আগলে বসেছিলেন ? অনেকেই এর মধ্যে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখছেন ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিলমের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল । কিডনির সমস্যাও ছিল। এই সমস্ত শারীরিক সমস্যার জন্য পুলিশ তাঁকে ঠিক মতো জেরা করতে পারেনি । ফলে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছিল । গোটা ঘটনায় একাধিক ফাঁক রয়েছে, যা ভাবাচ্ছিল পুলিশকে । কিন্তু নিলমের মৃত্যুর পর সেই রহস্য অধরাই থেকে যাবে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।

কলকাতা, 9 জানুয়ারি: প্রশ্ন ছিল অনেক । কিন্তু সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার লোকটাই চলে গেলেন । মৃত্যু হল নিলম ধানানির । কিছুদিন আগেই রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল নিলমের মেয়ে গুড্ডনের । মা ও মেয়ে থাকতেন নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনিতে । দুজনেরই মৃত্যু হওয়ায় এই কেসের সমাধান আর কোনও দিন হবে না বলেই মনে করছে লালবাজার‌ । কারণ গোটা ঘটনার সঙ্গে মা-মেয়ে ছাড়া এখনও পর্যন্ত তৃতীয় কোনও ব্যক্তির যোগসূত্র খুঁজে পায়নি পুলিশ ।


ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হয়েছিল গুড্ডনের । শরীরে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। গলায় দড়ির ফাঁস অর্থাৎ লিগেচার মার্কও নেই। কিন্তু দেহটি বন্ধ ফ্ল্যাটে যত্ন করে বিছানায় শোয়ানো ছিল । পুলিশ যখন দেহ উদ্ধার করে তখন তাতে পচন ধরতে শুরু করেছে । 29 জানুয়ারি কাটিহার যাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশনে গিয়েছিলেন বছর পঞ্চাশের নিলম । কিন্তু স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করায় রেলের তরফে তাঁকে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে ভরতি করা হয় । হাসপাতাল থেকে গতকাল নিলম তাঁর দাদা বিজয়কে ফোন করে জানান, গুড্ডন (26) আত্মহত্যা করেছে । তার দেহ ফ্ল্যাটেই পড়ে আছে ।

বিজয় পুলিশকে খবর দিলে তারা গুড্ডনের দেহ উদ্ধার করে । এছাড়া ঘটনাস্থান থেকে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট । কিন্তু সেই নোটটি নিলমের লেখা । যদিও নিলম আত্মহত্যা করেননি ।পরে পুলিশকে তিনি জানান, তাঁরা মা ও মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন । তাই তিনি সুইসাইড নোটটি লিখেছিলেন । ময়নাতদন্তে রিপোর্ট বলছে গুড্ডনের মৃত্যু বিষক্রিয়ায় হয়েছে । কিন্তু নিলম কি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন ? কারণ ঘরের সিলিং ফ্যান থেকে দড়ির ফাঁস ঝুলছিল ।

সুইসাইড নোটে আত্মহত্যার কারণ হিসেবে গুড্ডনের বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে । পুলিশি তদন্ত বলছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল গুড্ডনের । কিন্তু কোনও কারণে বিয়ে ভেঙে যায় । তারপরেই দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন । তাহলে নিলম হাওড়া স্টেশনে গেলেন কেন ? তিনি কি মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন ? কিন্তু কেন? পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে প্রায় 10 দিন আগে অর্থাৎ 28 ডিসেম্বর নাগাদ ওই যুবতির মৃত্যু হয়েছিল । 29 ডিসেম্বর নিলম হাওড়া স্টেশনে যান । তাহলে কি প্রায় 24 ঘণ্টা তিনি মেয়ের দেহ আগলে বসেছিলেন ? অনেকেই এর মধ্যে কলকাতার রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের ছায়া দেখছেন ।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নিলমের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়েছিল । কিডনির সমস্যাও ছিল। এই সমস্ত শারীরিক সমস্যার জন্য পুলিশ তাঁকে ঠিক মতো জেরা করতে পারেনি । ফলে তদন্তে এগিয়ে নিয়ে যেতে বেগ পেতে হচ্ছিল । গোটা ঘটনায় একাধিক ফাঁক রয়েছে, যা ভাবাচ্ছিল পুলিশকে । কিন্তু নিলমের মৃত্যুর পর সেই রহস্য অধরাই থেকে যাবে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ।

Intro:কলকাতা, 8 জানুয়ারি: প্রশ্ন ছিল অনেক। সেই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার লোকটাই চলে গেলেন। মৃত্যু হল নিউ আলিপুরে রহস্যজনক ভাবে মৃত যুবতীর মায়ের। ফলে এই কেশ রহস্যের অন্তরালে থেকে যাবে বলে মনে করছে লালবাজার‌। কারণ ঘটনায় কথা মা ছাড়া আর কেউই জানত না। এখন অবধি সেটাই লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের ধারণা। ফলে আরও অনেক কেসের মতই রহস্যই রয়ে যাবে নিউ আলিপুরের সাহাপুর কলোনির ঘটনা।



Body:বিষক্রিয়া থেকে মৃত্যু হয় নিউ আলিপুরের যুবতীর। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে সেটাই। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে, শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না। কোন লিগেচার মার্কও নেই। অর্থাৎ গলায় কোনও ফাঁস দেওয়া হয়নি। কিন্তু তাতেও রহস্যের জট কাটেনি। যুবতীর মায়ের ভূমিকা নিয়ে রহস্য রয়েই গেছে।

29 জানুয়ারি কাটিহার যাচ্ছিলেন নিউ আলিপুরের নিলাম ধানানি। বয়স পঞ্চাশের কিছু বেশি। হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ বোধ করেন। স্টেশন কর্তৃপক্ষ তাকে ভর্তি করে হাওড়া স্টেট জেনেরাল হাসপাতালে। গতকাল নিলম তার দাদা বিজয়কে ফোন করে জানায় তার 26 বছরের মেয়ে গুড্ডন আত্মহত্যা করেছে। বাড়িতেই আছে দেহ। পুলিশ ওই যুবতীর পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করলেও, দেহটি খাটের উপর যত্ন করে রাখা ছিল। পরনে ছিল পরিষ্কার জামাকাপড়। সেখানে উদ্ধার হয় একটি সুইসাইড নোট। যেটি তার মায়ের হাতের লেখা। হাওড়া হাসপাতাল সূত্রে খবর নিলম সেরিব্রাল অ্যাটাকে আক্রান্ত। কিডনিরও কিছু সমস্যা আছে। প্রাথমিকভাবে তিনি জানিয়েছেন, মা মেয়ে একসঙ্গে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন। সেই সূত্রেই নোট লিখেছিলেন তিনি। পাশাপাশি ঘরের মধ্যে দেখা যায় সিলিং ফ্যানের সঙ্গে একটি দড়ি গলায় ফাঁস লাগানোর মত করে ঝোলানো। পোস্টমর্টেমের প্রাথমিক রিপোর্ট বলছে, ইঁদুর মারার বিষ।জাতিয় কিছুর কারণেই মৃত্যু হয়েছে যুবতীর। আর তার মা যে সুইসাইড-নোট লিখেছেন তাতে ওই যুবতীর বিয়ে ভেঙে যাওয়াকে দায়ী করা হয়।


Conclusion:পুলিশি তদন্ত বলছে, মাস সাতেক আগে বিয়ে ঠিক হয়েছিল ওই যুবতীর। মা-মেয়ের দাবি ছিল এক রকমের। কিন্তু ওই যুবতীর মেসোমশাই এবং দুঃসম্পর্কের কাকা সেই কথা রাখেনি। যার ফলে বিয়ে ভেঙে যায়। সেই কারণেই দু'জনের আত্মহত্যা। যদিও প্রশ্ন উঠেছে, দুজনে একসঙ্গে আত্মহত্যা করার কথা বলা হলেও ওই মহিলা হাওড়া স্টেশনে গেলেন কিভাবে? ওই মহিলা পুলিশকে ঘটনার কথা জানালেন না কেন? হাওড়া স্টেশনে তিনি অসুস্থ না হয়ে পড়লে, চলে যেতেন কাটিহার। মেয়ের মৃতদেহ ফেলে রেখে পালিয়ে যাচ্ছিলেন কেন? পোস্টমর্টেম রিপোর্ট বলছে আজ থেকে 10 দিন আগে মৃত্যু হয়েছে ওই যুবতীর। অর্থাৎ মৃত্যু হয়েছে 28 ডিসেম্বর । সেদিন থেকে থেকে 29 তারিখ পর্যন্ত তবে কি মেয়ের মৃতদেহ আগলে ছিলেন নিলম? তবে কি আরো এক রবিনসন স্ট্রিট কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি? কাভির মায়ের সেরিব্রাল অ্যাটাক হয়। পাশাপাশি তার কিডনির সমস্যা ছিল। ফলে তার কাছ থেকে বেশি তথ্য পাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। জেরাও করা যাচ্ছিল না। ফলে তদন্তে বেগ পেতে হচ্ছিল পুলিশকে। বেশকিছু মিসিং লিঙ্ক থাকলেও রহস্য রহস্যের অন্তরালেই থেকে যাবে বলে মনে করছে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ।
Last Updated : Jan 9, 2020, 2:33 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.