কলকাতা, 8 জুন : নারদ কাণ্ডে নতুন করে মামলা রুজু হল কলকাতা হাইকোর্টে ৷ সম্প্রতি এই ঘটনায় চার হেভিওয়েটের গ্রেফতারির পর কলকাতায় CBI অফিসের বাইরে যে বিশৃঙ্খলা ও বিক্ষোভ হয়েছিল, তারই বিরুদ্ধে রুজু হয়েছে এই মামলা ৷
মামলাকারী শরৎকুমার সিংহ দাবি করেছেন, 16 মে থেকে করোনা রুখতে গোটা রাজ্যে নানা বিধিনিষেধ কার্যকর করা হয় ৷ ওই দিনই শিলিগুড়িতে এই বিধিনিষেধ উপেক্ষা করায় গ্রেফতার হন তিন বিজেপি বিধায়ক ৷ এই প্রেক্ষাপটে 17 মে হাজার হাজার লোক সিবিআই অফিসের বাইরে জমায়েত করল কীভাবে ? বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করল কীভাবে ?
এই ঘটনায় রাজ্যের বাইরের নিরপেক্ষ কোনও সংস্থাকে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলেছেন মামলাকারী ৷ পাশাপাশি, মামলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারদের বরখাস্তের আবেদনও করা হয়েছে ৷ ওই পুলিশ অফিসারদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জানিয়েছেন মামলাকারী ৷ মামলার দ্রুত শুনানি চেয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি ৷ বুধবার সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।
এই মামলায় ধৃতদের (বর্তমানে জামিনে মুক্ত) তরফে আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, ‘‘নারদ মামলায় তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কয়েক বছর আগেই এফআইআর করা হয় ৷ তাঁদের গ্রেফতারির পর কিছু কর্মী বিক্ষোভ দেখিয়েছেন ৷ তবে তা আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য করা হয়নি ৷ আর হেভিওয়েট নেতা মানেই এই নয় যে তাঁরা গুরুত্বপূর্ণ নথি বা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার চেষ্টা করবেন ৷ তাই যদি হতো তাহলে এত বছর পর যেকোনও অভিযুক্তকেই কোন যুক্তি না দেখিয়েই গ্রেফতার করা যেত।’’
আরও পড়ুন : কলকাতা হাইকোর্টে নারদ মামলা ভিনরাজ্যে সরানো নিয়ে শুনানি
অভিষেক মনু সিংভি আরও বলেন, ‘‘আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সিবিআই আদালতের তৃতীয় তলায় যাননি ৷ পাশাপাশি, সিবিআই অফিসারদের আদালত চত্বরে ঢোকার ক্ষেত্রেও কোনও বাধা ছিল না সেদিন ৷ শুনানি হয়েছিল ভার্চুয়ালি ৷ সিবিআইয়ের তরফে যে ছবি দেখানো হচ্ছে, সেগুলি আসল নয় ৷ সিবিআই আদালতের সামনে তেমন ভিড় ছিলই না ৷’’
এই প্রসঙ্গে বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্য়ায় জানতে চান, যেহেতু এঁরা (নারদ কাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েট) জননেতা, তাই সাধারণ মানুষের উপর প্রভাব হতেই পারে ৷ সেক্ষেত্রে সিবিআই মামলা অন্যত্র সরানোর যে আর্জি জানিয়েছেন, সেই ব্যাপারে কী বলবেন ?