কলকাতা, 31 জানুয়ারি: সবটাই এখনও পর্যন্ত পরিকল্পনার পর্যায়ে । কবে এর বাস্তবায়ন হবে সেটাই এখনও ঠিক জানেন না রাজ্য সরকারের আধিকারিকরা । খরচ বেড়ে যাওয়ারও একটা ব্যাপার রয়েছে । সেটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে । কিন্তু লক্ষ্মীর ভান্ডার (lakshmir bhandar) প্রকল্পের বিপুল জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে কী ভাবে মহিলাদের সামাজিক উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, বিশেষ করে রাজ্যে বাল্যবিবাহ রোখা যায়, সেই নিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছে নবান্ন (Nabanna considering to curb early marriages)।
বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন ক্ষেত্রে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে উঠেছে লক্ষ্মীর ভান্ডার । মহিলাদের হাতখরচ দেওয়ার এই প্রকল্প গ্রামবাংলা থেকে শুরু করে শহর ও মফঃস্বলের মানুষের কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে । কিন্তু এই প্রকল্পকে ঘিরে বিরোধীদের সমালোচনার শেষ নেই । ঠিক সেই অবস্থাতেই রাজ্য সরকারে এ ব্যাপারে নতুন করে ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে ।
নবান্ন (Nabanna news) সূত্র অনুসারে এমনিতেই এই প্রকল্প এই মুহূর্তে 25 বছর পরবর্তী সমস্ত মহিলাদের জন্য কার্যকর । পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নারী ও শিশু দফতরের এক আধিকারিকের কথায়, "আমরা এই প্রকল্পটিকে কিভাবে নারী ক্ষমতায়ন এবং নারী উন্নয়নে ব্যবহার করা যায়, সে বিষয়ে বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখছি । মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্প আগামী দিনে যাতে সমাজের পিছিয়ে পড়া মেয়েদের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, তার জন্যই এই ভাবনা চিন্তা । তারই একটা অংশ হিসাবে আমরা ভাবনা চিন্তা করে দেখছি একে বাল্যবিবাহ রুখতে ব্যবহার করা যায় কি না ।"
তিনি আরও বলেছেন, "ইতিমধ্যেই বাল্যবিবাহ রুখতে রূপশ্রী প্রকল্প রয়েছে রাজ্যের । তাতে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক কন্যা তাদের বিয়ের সময় এই টাকা পায় । এখন মেয়েদের বিবাহের বয়স 18 থেকে বাড়িয়ে 21 করার বিষয়ে আলোচনা চলছে । সে ক্ষেত্রে যদি 25 থেকে এই বয়সটা কমিয়ে একুশে করা যায়, তাহলে বাল্যবিবাহ রুখতে এই প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে । তবে অবশ্যই এর সঙ্গে একটা ধারা সংযোজন করতে হবে যে, যদি কারও বিবাহ 21 বছরে পা দেওয়ার আগেই হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে সে এই প্রকল্পের আওতায় আসবে না । পুরোটাই এখন পরিকল্পনার পর্যায়ে । কিন্তু ভাবনাচিন্তা এবং আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই ।"
একটা জিনিস মনে রাখতে হবে, এই মুহূর্তে এই প্রকল্প চালাতে গিয়ে বিপুল আর্থিক বোঝা বহন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে । কিন্তু এখানে একটা সমস্যার বিষয় রয়েছে ৷ প্রথমত এই ভাবনা কার্যকর করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর অনুমোদন প্রয়োজন । তার উপর যে বিপুল পরিমাণ আর্থিক ভার বহন করতে হবে, তা এই মুহূর্তে বহন করা সম্ভব কি না সে বিষয়েও অর্থ দফতরের ছাড়পত্র জরুরি ৷ আর সে কারণেই এই বিষয়টি এখনও পরিকল্পনা স্তরে রয়েছে । আগামী দিনে এই প্রকল্প যদি বাস্তবে রূপায়িত হয়, তাহলে নারী অগ্রগতির ক্ষেত্রে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে এই সরকার ।
আরও পড়ুন: Lakshmir Bhandar : লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা নিতে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে মহিলাদের ভিড়