কলকাতা, 17 মার্চ: মোটর সাইকেল রেজিস্ট্রেশন হত সাধারণত ব্যক্তিগত ব্যবহারের কারণ দেখিয়ে। মোটর সাইকেলের বাণিজ্যিক ব্যবহারের দিকে লক্ষ্য রেখে এবার সেই প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে ৷ আজ বিধানসভায় একথা জানালেন পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
বর্তমানে বাণিজ্যিক ব্যবহার বাড়ছে মোটর সাইকেলের৷ মোবাইল অ্যাপ প্রযুক্তির সাহায্যে মোটর সাইকেলকে যাত্রী ও পণ্য পরিবহনে ব্যবহার করা হচ্ছে। আজ বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারী বলেন, "বিশেষত বড় শহরের ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মোটর সাইকেল চালানোর সুবিধা রয়েছে৷ অন্যদিকে কম খরচ ৷ এই দুটি কারণেই বাইক ট্যাক্সি ব্যবহার জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, এই গাড়ির বাণিজ্যিক ব্যবহারে অনেক যুবক-যুবতীর রোজগারের পথ খুলে গিয়েছে।" রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ওয়াকিবহাল, বিভিন্ন দেশীয় ও বহুজাতিক সংস্থা যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে অন লাইনের মাধ্যমে মোটর সাইকেলের ব্যবহার করছে। মোটর সাইকেলের বাণিজ্যিক ব্যবহার গত দু'বছরে বহুগুণে বেড়েছে বলেই আজ বিধানসভায় দাবি করেন শুভেন্দু । কিন্তু বাইক-ট্যাক্সির রেজিস্ট্রেশনে কী বদল আনা হচ্ছে?
এতদিন ব্য়ক্তিগত বাইকের রেজিস্ট্রেশনে জন্য লাগত 8 হাজার টাকা ৷ সেখানে বাইক-ট্যাক্সির ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট পরিমাণ আয় ধরে রেজিস্ট্রেশনে খরচ মাত্র 780 টাকা৷ অন্য দিকে পাঁচ বছরে 2080 টাকায় বাদ বাকি অনুমতিও মিলবে ৷
এই রাজ্যে "বাইক-ট্যাক্সি"র ব্যবহারের প্রথম প্রচলন ২০১৫ সালে৷ মোটর সাইকেলের বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য সাধারণত কন্ট্রাক্ট ক্যারেজ পারমিট লাগে। তবে এবার এর রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আরও সহজ করা হচ্ছে বলে জানালেন পরিবহন মন্ত্রী ৷