ETV Bharat / city

Women in TMC Leadership দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে মহিলা নেতৃত্বে জোর তৃণমূলের

পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee), অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মতো হেভিওয়েটদের গ্রেফতারির পর দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে মরিয়া তৃণমূল কংগ্রেস ৷ নেতৃত্বে তুলে আনা হচ্ছে যোগ্য মহিলাদের (Women in TMC Leadership) ৷

more Women in TMC Leadership will include soon
Women in TMC Leadership দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে মহিলা নেতৃত্বে জোর তৃণমূলের
author img

By

Published : Aug 16, 2022, 6:21 PM IST

কলকাতা, 16 অগস্ট: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) তৃণমূল কংগ্রেসের আশাতীত সাফল্যের নেপথ্যে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রতি বাংলার মহিলাদের বিপুল সমর্থন (Women Support) ৷ সেকথা মনে রেখেই দলের 'বিপদের দিনে' তৃণমূলের অন্দরে নারীশক্তির ক্ষমতায়নের সিদ্ধান্ত নিল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সূত্রের খবর, আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসে মহিলাদের গুরুত্ব বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷

জেলায় জেলায় সম্ভাবনাময় মহিলা সদস্যদের সংগঠনের বিভিন্ন শাখার নেতৃত্বে তুলে আনা হচ্ছে (Women in TMC Leadership) ৷ বস্তুত, দলের 'শুদ্ধিকরণ'-এর পথে নারীশক্তিকে অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ৷ এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের ৷ প্রাথমিকভাবে মহিলা শাখা-সহ দলের অন্য শাখা সংগঠনগুলির সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে আঞ্চলিকস্তরের এই নেত্রীদের ৷ পরবর্তীতে যোগ্যতা অনুসারে তাঁদের মূল সংগঠনের প্রথম সারিতে তুলে আনা হতে পারে।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal জেরার জন্য সুস্থ অনুব্রত, সিবিআইকে জানাল কমান্ড হাসপাতাল

কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ ? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গ্রাম হোক বা শহর, কিংবা মফঃস্বল ৷ এখনও পর্যন্ত আমজনতা, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত ৷ 'দিদি' রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁকে 'পাশের বাড়ির মেয়ে' হিসাবে ভাবতে খুব একটা সমস্যা হয় না বাংলার কিশোরী থেকে শুরু করে অশীতিপরদেরও ৷ আর এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ক্যারিশমা ! বহু মহিলাই তৃণমূলকে ভোট দেন আদতে 'দিদি'কে ভোট দেওয়ার জন্যই ৷ আর এই মহিলা ভোটব্যাংক রাজ্যের শাসকদলের বিরাট ভরসা ৷

এদিকে, ইডি, সিবিআই-এর তদন্তের জেরে নাজেহাল তৃণমূল শিবির ৷ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee), অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মতো হেভিওয়েটরা এখন হাজতবাস করছেন ৷ এতে দলের ভাবমূর্তি যে জোর ধাক্কা খেয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ এই প্রেক্ষাপটে মমতার নেতৃত্বে মহিলা ব্রিগেডকে এগিয়ে দিলে দলের প্রতি মহিলা ভোটারদের সমর্থন অটুট থাকবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ ৷ আর সেই কারণেই একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে শীর্ষস্তর পর্যন্ত নেতৃত্ব প্রদানের যোগ্য মহিলা সদস্যদের খুঁজে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস শুরু হয়েছে ৷

সাংগঠনিক জেলাগুলির সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে আগেই বদল আনা হয়েছে ৷ আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই জেলাগুলিতেই সভানেত্রী পদেও ব্যাপক রদবদল করা হল ৷ 35টি সাংগঠনিক জেলায় মহিলা শাখার সভানেত্রীদের পরিবর্তিত তালিকায় দলের বিধায়ক ও সাংসদদের পরিবর্তে আস্থা রাখা হয়েছে নতুনদের উপর ৷ 30টিরও বেশি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে নতুন মুখ নিয়ে এসেছে তৃণমূল ৷ এত দিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলের বিধায়ক বা সাংসদদেরই জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হত ৷ এবার পুরনো সেই রীতি বদলে ফেলা হয়েছে ৷

তবে, সামগ্রিকভাবে সকলকে একইসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটা নয় ৷ যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মাত্র তিনজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন 35টি সাংগঠনিক জেলার নয়া সভানেত্রীদের তালিকায় ৷ হাওড়া গ্রামীণের সভানেত্রী করা হয়েছে সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পালকে ৷ একইভাবে হাওড়া সদরের সভানেত্রী করা হয়েছে প্রয়াত সাংসদ অম্বিকা বন্দোপাধ্যায়ের মেয়ে নন্দিতা চৌধুরীকে ৷ আর দক্ষিণ কলকাতার সভানেত্রী হয়েছেন 91 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি চট্টোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন: Khela Hobe Dibas খেলা হবে দিবস নিয়ে রাজনৈতিক তরজা, বিজেপি ও তৃণমূল জমি ছাড়ছে না কেউ

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) অতীতেই স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার ক্ষেত্রে আমাদের একটু কঠোর হতে হবে ৷ সেই জন্যই এক ব্যক্তি এক পদ প্রয়োজন ৷ আমরা যত বেশি নতুন মুখকে দায়িত্ব দেব, আগামী দিনে তাঁরা আরও বেশি করে নেতৃত্ব প্রদানের জায়গায় উঠে আসবেন ৷" মনে করা হচ্ছে, আপাতত অভিষেকের এই নীতিতেই আস্থা রাখছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তাছাড়া, রাজনীতিতে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে, মহিলারা নেতৃত্বে এলে দুর্নীতিতে রাশ টানা সহজ হয় ৷ তাই আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনেও অনেক নতুন মহিলা মুখ দেখা যেতে পারে ৷ তবে, তাতে দলের ভাবমূর্তি কতটা পুনরুদ্ধার সম্ভব, সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় ৷

কলকাতা, 16 অগস্ট: একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) তৃণমূল কংগ্রেসের আশাতীত সাফল্যের নেপথ্যে ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) প্রতি বাংলার মহিলাদের বিপুল সমর্থন (Women Support) ৷ সেকথা মনে রেখেই দলের 'বিপদের দিনে' তৃণমূলের অন্দরে নারীশক্তির ক্ষমতায়নের সিদ্ধান্ত নিল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ সূত্রের খবর, আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসে মহিলাদের গুরুত্ব বাড়ানোর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে ৷

জেলায় জেলায় সম্ভাবনাময় মহিলা সদস্যদের সংগঠনের বিভিন্ন শাখার নেতৃত্বে তুলে আনা হচ্ছে (Women in TMC Leadership) ৷ বস্তুত, দলের 'শুদ্ধিকরণ'-এর পথে নারীশক্তিকে অন্যতম হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করতে চাইছে তৃণমূল ৷ এমনটাই দাবি সংশ্লিষ্ট মহলের ৷ প্রাথমিকভাবে মহিলা শাখা-সহ দলের অন্য শাখা সংগঠনগুলির সামলানোর দায়িত্ব দেওয়া হবে আঞ্চলিকস্তরের এই নেত্রীদের ৷ পরবর্তীতে যোগ্যতা অনুসারে তাঁদের মূল সংগঠনের প্রথম সারিতে তুলে আনা হতে পারে।

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal জেরার জন্য সুস্থ অনুব্রত, সিবিআইকে জানাল কমান্ড হাসপাতাল

কিন্তু, কেন এই পদক্ষেপ ? ওয়াকিবহাল মহল বলছে, গ্রাম হোক বা শহর, কিংবা মফঃস্বল ৷ এখনও পর্যন্ত আমজনতা, বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জনপ্রিয়তা প্রশ্নাতীত ৷ 'দিদি' রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হলেও তাঁকে 'পাশের বাড়ির মেয়ে' হিসাবে ভাবতে খুব একটা সমস্যা হয় না বাংলার কিশোরী থেকে শুরু করে অশীতিপরদেরও ৷ আর এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ক্যারিশমা ! বহু মহিলাই তৃণমূলকে ভোট দেন আদতে 'দিদি'কে ভোট দেওয়ার জন্যই ৷ আর এই মহিলা ভোটব্যাংক রাজ্যের শাসকদলের বিরাট ভরসা ৷

এদিকে, ইডি, সিবিআই-এর তদন্তের জেরে নাজেহাল তৃণমূল শিবির ৷ পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় (Partha Chatterjee), অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মতো হেভিওয়েটরা এখন হাজতবাস করছেন ৷ এতে দলের ভাবমূর্তি যে জোর ধাক্কা খেয়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই ৷ এই প্রেক্ষাপটে মমতার নেতৃত্বে মহিলা ব্রিগেডকে এগিয়ে দিলে দলের প্রতি মহিলা ভোটারদের সমর্থন অটুট থাকবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ ৷ আর সেই কারণেই একেবারে তৃণমূলস্তর থেকে শীর্ষস্তর পর্যন্ত নেতৃত্ব প্রদানের যোগ্য মহিলা সদস্যদের খুঁজে তাঁদের রাজনৈতিকভাবে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস শুরু হয়েছে ৷

সাংগঠনিক জেলাগুলির সভাপতি এবং চেয়ারম্যান পদে আগেই বদল আনা হয়েছে ৷ আর এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ওই জেলাগুলিতেই সভানেত্রী পদেও ব্যাপক রদবদল করা হল ৷ 35টি সাংগঠনিক জেলায় মহিলা শাখার সভানেত্রীদের পরিবর্তিত তালিকায় দলের বিধায়ক ও সাংসদদের পরিবর্তে আস্থা রাখা হয়েছে নতুনদের উপর ৷ 30টিরও বেশি সাংগঠনিক জেলার দায়িত্বে নতুন মুখ নিয়ে এসেছে তৃণমূল ৷ এত দিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলের বিধায়ক বা সাংসদদেরই জেলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হত ৷ এবার পুরনো সেই রীতি বদলে ফেলা হয়েছে ৷

তবে, সামগ্রিকভাবে সকলকে একইসঙ্গে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, এমনটা নয় ৷ যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে দেখা গিয়েছে, সব মিলিয়ে মাত্র তিনজন জনপ্রতিনিধি রয়েছেন 35টি সাংগঠনিক জেলার নয়া সভানেত্রীদের তালিকায় ৷ হাওড়া গ্রামীণের সভানেত্রী করা হয়েছে সাঁকরাইলের বিধায়ক প্রিয়া পালকে ৷ একইভাবে হাওড়া সদরের সভানেত্রী করা হয়েছে প্রয়াত সাংসদ অম্বিকা বন্দোপাধ্যায়ের মেয়ে নন্দিতা চৌধুরীকে ৷ আর দক্ষিণ কলকাতার সভানেত্রী হয়েছেন 91 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি চট্টোপাধ্যায় ৷

আরও পড়ুন: Khela Hobe Dibas খেলা হবে দিবস নিয়ে রাজনৈতিক তরজা, বিজেপি ও তৃণমূল জমি ছাড়ছে না কেউ

তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) অতীতেই স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, "নতুন নেতৃত্ব তুলে আনার ক্ষেত্রে আমাদের একটু কঠোর হতে হবে ৷ সেই জন্যই এক ব্যক্তি এক পদ প্রয়োজন ৷ আমরা যত বেশি নতুন মুখকে দায়িত্ব দেব, আগামী দিনে তাঁরা আরও বেশি করে নেতৃত্ব প্রদানের জায়গায় উঠে আসবেন ৷" মনে করা হচ্ছে, আপাতত অভিষেকের এই নীতিতেই আস্থা রাখছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব ৷ তাছাড়া, রাজনীতিতে একটি প্রচলিত ধারণা রয়েছে, মহিলারা নেতৃত্বে এলে দুর্নীতিতে রাশ টানা সহজ হয় ৷ তাই আগামী দিনে তৃণমূল কংগ্রেসের মূল সংগঠনেও অনেক নতুন মহিলা মুখ দেখা যেতে পারে ৷ তবে, তাতে দলের ভাবমূর্তি কতটা পুনরুদ্ধার সম্ভব, সেটা এখনই নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.