কলকাতা, 12 জুন : হাওড়ার ঘটনায় রাজ্য সরকারকে বিঁধলেন সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Mohammed Salim Criticises Government Over Howrah Unrest) ৷ পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কেন দেরিতে সরব হলেন ? এই প্রশ্ন তুলেছেন সেলিম ৷ তাঁর আরও প্রশ্ন যে, নাগরিক সমাজও কেন এই ইস্যুতে চুপ ? তাঁর দাবি, যে কোনও ইস্যুতে বামেরাই সবার আগে প্রতিবাদে সামিল হয় ৷
এ দিন সেলিমের কথায় রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সুর শোনা গিয়েছে ৷ ধনকড়ের মতো সেলিমও দাবি করেন, যাঁরা আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করার জন্য দায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিতে হবে ৷ তবে, এ ক্ষেত্রে অভিযুক্ত বলতে সেলিম কাদের কথা বুঝিয়েছেন সেটাই বড় প্রশ্ন ৷ এই পরিস্থিতি রাজ্য সরকার কেন শুরুতেই নিয়ন্ত্রণ করেনি ? সেই প্রশ্ন তোলেন মহম্মদ সেলিম ৷ তাঁর মতে, সরকার শুরুতেই সজাগ থাকলে পরিস্থিতি এতটা গম্ভীর হত না ৷
আরও পড়ুন : Unrest in Beldanga : নবী বিতর্কের মধ্যেই তরুণীর পোস্ট ঘিরে রণক্ষেত্র বেলডাঙা, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা
সেলিম এও জানান, সংবিধানে প্রতিবাদ এবং নিজেদের কথা বলার অধিকার সবার রয়েছে ৷ কিন্তু, সেই প্রতিবাদের ভাষা যেন কোনও ভাবেই হিংসাত্মক না হয়, তা সকলকে মাথায় রাখতে হবে ৷ সম্প্রীতি বজায় রাখার আবেদন করেছেন মহম্মদ সেলিম ৷ এ প্রসঙ্গে, শুভেন্দু অধিকারী মুখ্য়মন্ত্রীকে আক্রমণ করে যে টুইট করেছেন, তা নিয়েও খোঁচা দেন সিপিআইএম-এর রাজ্য সম্পাদক ৷ অভিযোগ করেন, শুভেন্দু অধিকারী মুখ্যমন্ত্রীকে যে পাপ করেছেন বলে নিশানা করছেন, শুভেন্দু নিজেও সেই পাপের ভাগীদার ৷
বেলঘড়িয়ায় একটি রক্তদান শিবিরে যোগ দিয়েও এ দিন এ প্রসঙ্গে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারকে একহাত নেন সেলিম ৷ বলেন, "সিপিএম সবার আগে প্রেস কনফারেন্স করে নূপুর শর্মাকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে । 15 দিন ধরে প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী চুপ করে বসেছিলেন ।"