কলকাতা, 20 জুলাই: রাত পোহালেই ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবস ৷ যেখানে প্রধান বক্তা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ যিনি এ রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানও ৷ স্বভাবতই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও যে আঁটোসাঁটো হবে, সেটাই স্বাভাবিক ৷ সাম্প্রতিক অতীতে আবার কালীঘাটের বাসভবনে নিরাপত্তায় সামান্য গাফিলতি পরিলক্ষিত হওয়ায় একুশে জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা আরও আঁটোসাঁটো করছে পুলিশ প্রশাসন (Security of TMC 21 July Rally) ৷ আঁটোসাঁটো নিরাপত্তার অন্যতম পদক্ষেপ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর চারপাশে থাকা পুলিশ আধিকারিক এবং কর্মীদের মোবাইল ফোন ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আনা হল (Mobile Phone Ban for Police Who Deployed for Stage Security at TMC 21 July Rally) ৷
লালবাজার সূত্রে খবর, মঞ্চের উপরে এবং নীচে থাকা পুলিশ আধিকারিক এবং পুলিশকর্মী কেউ মুঠোফোন ব্য়বহার করে পারবেন না ৷ কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কর্মীকে মোবাইল ব্যবহার করতে দেখলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও লালবাজার সূত্রে খবর ৷ আর এই কড়াকড়ির অন্যতম কারণ, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে যে কোনও ধরনের নাশকতামূলক কাজ করা সম্ভব ৷ পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীদের কাছে মোবাইল থাকলে তাঁদের মনোসংযোগ বিচ্ছিন্ন হতে পারে ৷ তাই এই নিষেধাজ্ঞা বলে জানানো হয়েছে ৷
পাশাপাশি, কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল নির্দেশ দিয়েছেন, শহরের আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা, বিশেষত নিচুতলার পুলিশকর্মীরা নিজেদের ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না ৷ তবে উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা প্রয়োজন পড়লে মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন ৷ তবে, কর্তব্যরত অবস্থায় মোবাইল ব্যবহার করতে পারবেন না কুইক রেসপন্স টিমের সদ্যরাও ৷ হেড কোয়ার্টার এবং উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে, কেবল স্যাটেলাইট ফোন ব্যবহার করা যাবে ৷ থানার বাইরে সেন্ট্রি কর্তব্যরত অবস্থায় থাকা কনস্টেবলরাও ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না ৷
সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালীঘাটের বাসভবনে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট জেলার হাফিজুল মোল্লা নামে এক ব্যক্তি ঢুকে পড়ে। সেই ঘটনায় ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফে স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম গঠন করে তাকে জেরা পর্ব চলছে। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়েই এবার একুশে জুলাই এর সভামঞ্চে পুলিশকর্মীদের ফোন ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করল পুলিশ প্রশাসন।