কলকাতা, 21 জুন : লকডাউনের পর আবার পথে নেমেছে বেসরকারি বাসগুলি । তবে মিনিবাসের সংখ্যাটা অনেকটাই কম । এমনিতেই মিনিবাসে আসন সংখ্যা কম, তার উপর জ্বালানির দামের জেরে যে কয়েকটি রুটে মিনিবাস নেমেছিল তাও এখন বন্ধের মুখে বলে জানিয়েছে মালিক সংগঠন ।
প্রতিদিন বাড়ছে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম । এদিকে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বাস চললেও যাত্রী খুব একটা হচ্ছে না বললেই চলে । সরকারি তরফে বাস ভাড়া
বাড়ানোর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । যে কারণে কমে আসতে চলেছে মিনিবাস পরিষেবা । মিনিবাস অপারেটরস কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন , "বাসের তুলনায় মিনিবাস ছোটো হলেও খরচ একই । তবে মিনি বাসের আসন সংখ্যা কম। তাই বর্তমানে যত আসন, তত যাত্রী নিয়ে পুরোনো ভাড়ায় বাস চালাতে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে । একটি মিনি বাসে প্রতিদিন 30 লিটার ডিজ়েলের প্রয়োজন হয় । তবে যেভাবে ডিজ়েলের দাম বাড়ছে, তাতে লাভ তো দুরস্থ নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে পরিষেবা চালিয়ে যেতে হচ্ছে । বহু রুটে মালিকরা খরচ বহন করতে না পেরে বাস নামাতে চাননি, আবার অন্য অনেক রুটে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। প্রথমে যেসব রুটে 10 থেকে 15টি করে মিনিবাস চলাচল করছিল সেই রুটগুলিতে এখন 4 থেকে 5টি মিনিবাস এসে ঠেকেছে । প্রশাসন যদি দ্রুত ভাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে শুধু মিনিবাসই নয়, বেসরকারি সব বাসই আর পথে নামবে না।" তিনি আরও বলেন, “প্রথম দিকে যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিলেও এখন আর কেউ ফেয়ার চার্ট না দেখে বাড়তি ভাড়াও দিতে চাইছেন না । আমাদের সংগঠনের অধীনে 50টি রুট থাকলেও বর্তমানে 20 থেকে 25টি রুটে মিনিবাস চলছে । অন্যদিকে বেশ কয়েকটি রুট যেগুলি মূলত মিনিবাস কেন্দ্রিক যেমন 123 বা 113 এবং 161 সহ আরও বেশ কয়েকটি সেখানে অনেক কম সংখ্যক বাস চলছে।"
পাশাপাশি, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মিনিবাসে আয় অনেক কম হলেও, খরচ কিন্তু একটি বড় বেসরকারি বাসের চেয়ে কিছু অংশে কম নয় । মিনিবাসের কর্মীদের বেতনও অনেকটাই কম হয়। লকডাউনের আগে থেকে মিনিবাস মালিকরা বিভিন্ন যন্ত্রণা ও সমস্যায় রয়েছেন । তবে বর্তমানে লকডাউনের পর হাওড়ার সবকটি রুটেই কম-বেশি মিনিবাস চলছে। কিন্তু সংখ্যায় অনেক কম।" ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনি বাস ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, "এখন রেল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বলে হাওড়া রুটের মিনিবাসগুলির আগের মতো পরিষেবা নেই বললেই চলে । তাই হাওড়াগামী বহু রুটে অনেক কম সংখ্যক মিনিবাস চলাচল করছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রুটে যাত্রীর অভাবে ও খরচের জেরে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।"
খরচ উঠছে না, কলকাতায় বন্ধের মুখে মিনিবাস পরিষেবা ! - মিনি বাস পরিষেবা
লকডাউনের পর বেসরকারি বাসগুলি পথে নামলেও প্রথম থেকে মিনিবাসের সংখ্যাটা অনেকটাই কম ছিল । এরপর ক্রমাগত ডিজ়েলের দাম বাড়তে থাকায় উঠছে না জ্বালানির খরচ । সেই কারণেই প্রায় বন্ধের মুখে মিনিবাস পরিষেবা ।
![খরচ উঠছে না, কলকাতায় বন্ধের মুখে মিনিবাস পরিষেবা ! ছবি](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/768-512-06:55:00:1592702700-wb-kol-01-sorrystateofminibusesbeforeandafterlockdown-copy-7206406-21062020004654-2106f-00000-834.jpg?imwidth=3840)
কলকাতা, 21 জুন : লকডাউনের পর আবার পথে নেমেছে বেসরকারি বাসগুলি । তবে মিনিবাসের সংখ্যাটা অনেকটাই কম । এমনিতেই মিনিবাসে আসন সংখ্যা কম, তার উপর জ্বালানির দামের জেরে যে কয়েকটি রুটে মিনিবাস নেমেছিল তাও এখন বন্ধের মুখে বলে জানিয়েছে মালিক সংগঠন ।
প্রতিদিন বাড়ছে পেট্রল-ডিজ়েলের দাম । এদিকে লকডাউন শিথিল হওয়ার পর বাস চললেও যাত্রী খুব একটা হচ্ছে না বললেই চলে । সরকারি তরফে বাস ভাড়া
বাড়ানোর ব্যাপারে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি । যে কারণে কমে আসতে চলেছে মিনিবাস পরিষেবা । মিনিবাস অপারেটরস কো-অর্ডিনেশন কমিটির যুগ্ম সম্পাদক স্বপন ঘোষ বলেন , "বাসের তুলনায় মিনিবাস ছোটো হলেও খরচ একই । তবে মিনি বাসের আসন সংখ্যা কম। তাই বর্তমানে যত আসন, তত যাত্রী নিয়ে পুরোনো ভাড়ায় বাস চালাতে আয় ও ব্যয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য রাখা অসম্ভব হয়ে পড়ছে । একটি মিনি বাসে প্রতিদিন 30 লিটার ডিজ়েলের প্রয়োজন হয় । তবে যেভাবে ডিজ়েলের দাম বাড়ছে, তাতে লাভ তো দুরস্থ নিজেদের পকেট থেকে টাকা দিয়ে পরিষেবা চালিয়ে যেতে হচ্ছে । বহু রুটে মালিকরা খরচ বহন করতে না পেরে বাস নামাতে চাননি, আবার অন্য অনেক রুটে পরিষেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হচ্ছেন মালিকরা। প্রথমে যেসব রুটে 10 থেকে 15টি করে মিনিবাস চলাচল করছিল সেই রুটগুলিতে এখন 4 থেকে 5টি মিনিবাস এসে ঠেকেছে । প্রশাসন যদি দ্রুত ভাড়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত না নেয় তাহলে শুধু মিনিবাসই নয়, বেসরকারি সব বাসই আর পথে নামবে না।" তিনি আরও বলেন, “প্রথম দিকে যাত্রীরা বাড়তি ভাড়া দিলেও এখন আর কেউ ফেয়ার চার্ট না দেখে বাড়তি ভাড়াও দিতে চাইছেন না । আমাদের সংগঠনের অধীনে 50টি রুট থাকলেও বর্তমানে 20 থেকে 25টি রুটে মিনিবাস চলছে । অন্যদিকে বেশ কয়েকটি রুট যেগুলি মূলত মিনিবাস কেন্দ্রিক যেমন 123 বা 113 এবং 161 সহ আরও বেশ কয়েকটি সেখানে অনেক কম সংখ্যক বাস চলছে।"
পাশাপাশি, অল বেঙ্গল বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় বলেন, "মিনিবাসে আয় অনেক কম হলেও, খরচ কিন্তু একটি বড় বেসরকারি বাসের চেয়ে কিছু অংশে কম নয় । মিনিবাসের কর্মীদের বেতনও অনেকটাই কম হয়। লকডাউনের আগে থেকে মিনিবাস মালিকরা বিভিন্ন যন্ত্রণা ও সমস্যায় রয়েছেন । তবে বর্তমানে লকডাউনের পর হাওড়ার সবকটি রুটেই কম-বেশি মিনিবাস চলছে। কিন্তু সংখ্যায় অনেক কম।" ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস অ্যান্ড মিনি বাস ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপনারায়ণ বসু বলেন, "এখন রেল পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বলে হাওড়া রুটের মিনিবাসগুলির আগের মতো পরিষেবা নেই বললেই চলে । তাই হাওড়াগামী বহু রুটে অনেক কম সংখ্যক মিনিবাস চলাচল করছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি রুটে যাত্রীর অভাবে ও খরচের জেরে পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে।"