কলকাতা, 17 জুলাই: বিগত তিনটি ঢেউয়ের সময় করোনা রুখতে রাজ্য প্রশাসনের বড় ভরসা ছিল মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন (Nabanna on micro containment zone)। রাজ্যে এই মুহূর্তে সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী । গতকালই দৈনিক সংক্রমণ 4000-এর গণ্ডি ছাড়িয়েছে। এই অবস্থায় নবান্নের ভাবনা চিন্তায় আবারও ফিরে এসেছে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোনের বিষয়টি (Covid surge in Bengal)।
গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী করোনার ক্রমবর্ধমান গতি নিয়ে বৈঠক করেছেন (Nabanna news)। খুব স্বাভাবিক ভাবেই এই বৈঠকে যেভাবে বিগত এক সপ্তাহে রাজ্যে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে । ইতিমধ্যেই সরকারের তরফ থেকে হাসপাতাল এবং প্রয়োজনীয় পরিকাঠামোগুলিকে প্রস্তুত রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । তবে একটা প্রশ্ন এই বৈঠকে বারবার মাথাচাড়া দিয়েছে, তা হল বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের মধ্যে করোনা বিধি মানা নিয়ে যে অনীহা চোখে পড়েছে তা রোখা যাবে কীভাবে । রাজ্য সরকারের তরফ থেকে অতিমারী আইন যা করোনার সময়ে ব্যবহার করা হচ্ছিল, তাও এই মুহূর্তে রুদ্ধ করা হয়েছে । এই অবস্থায় সাধারণ মানুষকে মাস্ক পরা বা শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখার জন্য কীভাবে বাধ্য করা যেতে পারে, তা নিয়ে চিন্তা রয়েছে ।
যদিও নবান্নের তরফ থেকে বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের কাছে সতর্কতামূলক বার্তা হিসাবে মাস্ক ব্যবহার এবং বুস্টার ডোজের উপর বাড়তি জোর দেওয়া হয়েছে । আবার যেখানে দেখা যাচ্ছে অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন, সেখানে মাইক্রো কন্টেইনমেন্ট জোন ফিরিয়ে আনার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে ।
আরও পড়ুন: রাজ্যজুড়ে বাড়ছে করোনা, সরকারের অসেচতনতাকেই দুষছেন চিকিৎসকরা
এখনও পর্যন্ত নবান্নের কাছে যে তথ্য রয়েছে সেই তথ্য অনুসারে, বাংলায় করোনা টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন 7.2 কোটি মানুষ । দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন 6.3 কোটি মানুষ । আর বুস্টার ডোজ নিয়েছেন 43 লক্ষ মানুষ । কলকাতা থেকে শুরু করে জেলা একটা বড় সংখ্যক মানুষ প্রথম ডোজ নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ আর নেননি । এই মুহূর্তে রাজ্য সরকারের লক্ষ্য সেই মানুষদের শনাক্ত করে দ্রুত দ্বিতীয় ডোজ সম্পন্ন করা । একইসঙ্গে রাজ্যের সাধারণ মানুষের একটা বড় অংশকে বুস্টার ডোজ দেওয়া । এটা করা গেলেই করোনার ভয়াবহতা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে বলে মনে করছে নবান্ন (Micro containment zone may return if Covid surges)।