কলকাতা, ১৯ মার্চ : হাসপাতালের বেসমেন্টে জল ঢুকে যাওয়ায় অনেক ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই তালিকায় রয়েছে জীবনদায়ী ওষুধও। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ওষুধ নষ্ট হয়নি। সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এই ঘটনা শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের।
এই হাসপাতালের যে বিল্ডিংয়ের বেসমেন্টে জল ঢুকেছে, সেই বিল্ডিংয়ে সংস্কারের কাজ চলছে। এই বিল্ডিংয়ে রয়েছে এমারজেন্সি ওয়ার্ড। এই ওয়ার্ডকে অন্য বিল্ডিংয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া অন্য যে সব ওয়ার্ড রয়েছে এখানে, সেখানকার রোগীদের হাসপাতালের অন্য বিল্ডিংয়ে অথবা, অন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই বেসমেন্টে এখনও স্টোর রয়েছে। এখানেই ওষুধ, স্যালাইন, গজ-ব্যান্ডেজ, তুলো সহ চিকিৎসার বিভিন্ন সাজ-সরঞ্জাম থাকে। হাসপাতাল সূত্রের খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই জল জমছে বেসমেন্টে। তবে, কোথা থেকে এই জল ঢুকছে, তা শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত হাসপাতালের পূর্ত বিভাগের ইঞ্জিনিয়াররাও খুঁজে বের করতে পারেননি। এদিকে, বেশ কিছুদিন ধরে জল জমে থাকার ফলে বেসমেন্টের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে বলে সূত্রের খবর।
এই পরিস্থিতির মধ্যে রবিবার বিকেলের ঝড়বৃষ্টির জেরে আচমকা বেসমেন্টে অনেক জল ঢুকে যায়। এর ফলে বেসমেন্টে রাখা বহু ওষুধ সহ চিকিৎসার অন্যান্য সামগ্রী জলে ভিজে যায় বলে জানা গেছে। যার জেরে বহু টাকার ওষুধ নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছেন হাসপাতালের কর্মীরা। বেসমেন্টে বিভিন্ন ফ্রিজ়ে জীবনদায়ী ওষুধও রাখা ছিল। জল ঢুকে যাওয়ার ফলে ফ্রিজ়গুলি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে জীবনদায়ী ওষুধও নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা।
এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপারিনটেনডেন্ট সৌমাভ দত্তর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "কোনও ওষুধ নষ্ট হয়নি। কিছু হয়নি। হঠাৎ করে জল ঢুকেছে। পাম্প করে বের করে দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত ঝড়বৃষ্টির জন্য জল ঢুকেছে।" এ ছাড়া আর অন্য কী ভাবে জল ঢুকছে? তিনি বলেন, "নতুন বাড়ি তৈরি হচ্ছে। কোথায়, কোন ফাঁক দিয়ে জল ঢুকছে, বোঝা যাচ্ছে না।" কত টাকার ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন? সুপারিনটেনডেন্ট বলেন, "কোনও ওষুধ নষ্ট হবে বলে আমার মনে হয় না।"
কেন? তিনি বলেন, "যে বাক্সগুলি ভিজে গেছে, হয়তো নিচে ছিল। সেগুলিতে স্যালাইন ছিল। এভাবে এগুলি নষ্ট হয় না। এগুলি ব্যবহার করা যাবে। অসুবিধা হবে না।" জীবনদায়ী ওষুধ নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন ? ফ্রিজ তো বন্ধ রাখতে হয়েছিল? এই নিয়ে তিনি বলেন, "ওষুধগুলি আমরা সরিয়ে নিয়েছি। সাময়িকভাবে ফ্রিজ় বন্ধ রাখা হয়েছিল। জল সরিয়ে দেওয়ার পরে আবার চালু করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে।"