কলকাতা, 30 মার্চ : বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুইয়ের (Rampurhat Massacre) ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল । জাতীয় ক্ষেত্রেও এই ঘটনাকে তুলে ধরে একটা বড় ইস্যু করতে চাইছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি । ইতিমধ্যেই বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস টিম তাদের জাতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছে এই নিয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে (BJP Team Submits Report to JP Nadda) । আর তা নিয়ে ক্ষুব্ধ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
যেভাবে এই রিপোর্টের মাধ্যমে বীরভূমের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে জড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে তাতেই ক্ষুব্ধ তিনি (Mamata claims BJP deliberately implicates Anubrata Mondal in the Rampurhat Massacre case) । মুখ্যমন্ত্রী মনে করছেন, এই ঘটনায় অনুব্রত মণ্ডলকে জড়িয়ে তাঁকে গ্রেফতার করাতে চাইছে কেন্দ্রের শাসক দল । আর একে প্রতিহিংসার রাজনীতি বলেই আখ্যা দিচ্ছেন তিনি ।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC Chairperson Mamata Banerjee) স্পষ্টভাষায় জানিয়েছেন, দল আর সরকার এক নয় । দলের কয়েকজন নেতারা এলেন, তাঁরা তাঁদের মতো করে তথ্য সংগ্রহ করে বিজেপির জাতীয় সভাপতিকে রিপোর্ট দিলেন, তার গুরুত্ব সরকারি বা পুলিশি তদন্তের সমান হতে পারে না । সবচেয়ে বড় কথা, মোট তদন্তের চারভাগের একভাগ মাত্র তদন্ত হয়েছে ৷ সেখানে জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Birbhum TMC President Anubrata Mondal) নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
তৃণমূল কংগ্রেস প্রশ্ন তুলছে, তাহলে কি কোথাও না কোথাও তদন্ত শেষে অনুব্রত মণ্ডলকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে ! তাহলে কি নির্দিষ্ট টার্গেট সেট করেই সিবিআইকে পাঠানো হয়েছে ! মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মনে করছেন, বগটুই নিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের রিপোর্ট সিবিআই তদন্তকে প্রভাবিত করতে পারে ।
শুধু তাই নয় এই ঘটনার পর থেকেই প্রত্যেক ক্ষেত্রে এমনকি সিবিআই তদন্ত ঘোষণা হওয়ার পরেও সর্বত্র ইতিবাচক ভূমিকা নিয়েছে রাজ্য সরকার । তৃণমূল কংগ্রেস এবং রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে সিবিআইকে এই তদন্তে সব রকমের সাহায্য করবে তারা । এরপরেও এই রকম রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রিপোর্টকে দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন মুখ্যমন্ত্রী ।
আরও পড়ুন : Rampurhat Massacre : নাড্ডার কাছে রামপুরহাট কাণ্ডের রিপোর্ট পেশ বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের