ETV Bharat / city

Mamata Banerjee মিডিয়া ট্রায়ালের সুযোগ দেবেন না, প্রধান বিচারপতির সামনেই মন্তব্য মমতার

আজকাল অনেক ঘটনার মিডিয়া ট্রায়াল (Media Trial) হচ্ছে ৷ তাতে সত্যের অপলাপ ঘটছে ৷ এমনটা হতে দেবেন না ৷ বৃহস্পতিবার বিচারপতিদের এই অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ এদিন একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নব মহাকরণ ভবন বা নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংটির (New Secretariat Building) একটা বড় অংশ কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়েই মিডিয়া ট্রায়াল নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা ৷

Mamata Banerjee raises her voice against Media Trial
Mamata Banerjee মিডিয়া ট্রায়ালের সুযোগ দেবেন না, বিচারপতিদের অনুরোধ মমতার
author img

By

Published : Aug 25, 2022, 6:03 PM IST

Updated : Aug 25, 2022, 8:15 PM IST

কলকাতা, 25 অগস্ট: কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতেই 'মিডিয়া ট্রায়াল' (Media Trial)-এর সুযোগ দেবেন না ৷ এর ফলে বহু ক্ষেত্রেই সত্যের অপলাপ হয় ! বৃহস্পতিবার বিচারপতিদের উদ্দেশে এই আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ একইসঙ্গে, তাঁর আর্জি, বিচারব্যবস্থায় আরও বেশি করে মহিলা বিচারক ও বিচারপতিদের নিয়োগ করা হোক ৷ বাড়ানো হোক বিচারের গতি ৷ বৃহস্পতিবার নব মহাকরণ ভবন বা নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংটি (New Secretariat Building) কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্য়ের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ? তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে কোনও মিডিয়া ট্রায়ালের উপর ভরসা করবেন না ৷ কখনও কখনও এগুলি ঘটনাপ্রবাহকে ভুল পথে চালিত করে ৷ কখনও কখনও মিথ্যাকে সত্যি বলে চালিয়ে দেয় ৷ মানুষ বিচারালয়কে ভরসা করে ৷ কারণ বিচারালয় সর্বদা তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করে ৷ তাই কোনও মিডিয়া ট্রায়াল এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় ৷ একই কথা আমাদের সংবাদিক বন্ধুদের জন্যও প্রযোজ্য ৷ আপনারা মিডিয়া ট্রায়াল করার চেষ্টা করবেন না ৷ এভাবে কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করা উচিত নয় ৷ অনুগ্রহ করে সত্য সংবাদ প্রচার করুন ৷ তা যদি আমার বিরুদ্ধে হয়, তাতেও আপত্তি নেই ৷

আরও পড়ুন: মানিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল সিবিআই

উল্লেখ্য, ইদানীংকালে একটার পর একটা দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমও প্রচুর খবর করছে ৷ এগুলি নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা করা হচ্ছে ৷ অনেকেরই অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে আদালতের বিচারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়েও এইসব আলোচনা হচ্ছে ৷ আদালত রায় ঘোষণা করার আগেই কোনও এক পক্ষকে অপরাধী বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ এ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বহু নেতা-নেত্রীকেই একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে ৷ তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়েই এই ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল করা হয় ৷ এবার মমতাও কার্যত সেই অভিযোগই করলেন ৷

এদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট এবং তার আশপাশে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে ৷ যার ফলে আদালতের রোজের কাজ চালাতে বিস্তর অসুবিধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ এই অবস্থায় হাইকোর্টের কিছু শাখা অন্য়ত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে ৷ এই কাজের জন্য প্রায় 50 হাজার বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন ছিল ৷ সেই কারণেই নব মহাকরণের অনেকটা অংশ হাইকোর্টের হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার ৷ নবান্ন সূত্রে খবর, নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং বা নব মহাকরণ ভবনের একতলা থেকে ন'তলা কলকাতা হাইকোর্টকে দিয়ে দেওয়া হল ৷ বাকি অংশ রাজ্যের হাতেই থাকবে ৷ এই হস্তান্তরের জেরে রাজ্য সরকারের আবাসন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি নিউটাউনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ তবে শ্রম দফতর ও সমবায় দফতর নব মহাকারণেই থাকছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয় ছিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ দুর্নীতির ফাঁসে বিদ্ধ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, গণতন্ত্রে বিচারব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ ৷ তা মানুষের আস্থা ফেরায় ৷ সুবিচার পেতেই সকলে আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ অথচ, মামলা ক্রমশ বাড়ছে ৷ বিচারপতিদের কাজ করার জন্য জায়গার অভাব হচ্ছে, এটা দেখতে ভালো লাগে না ৷ তাই এই ব্যবস্থা করা হল ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধান বিচারপতিকে সামনে বসিয়েই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ হয় ৷ একপাক্ষিক নয় ৷

অনেকেই মনে করছেন, এই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী আদতে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ৷ ইদানীং একের পর এক মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাঠগড়ায় উঠতে হচ্ছে ৷ এমনকী, তাঁদের হাজতবাসও হচ্ছে ৷ অথচ বিরোধী, বিশেষ করে বিজেপি-র একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পার পেয়ে যাচ্ছেন ৷ বিচারপতিদের সামনে এই বিষয়টিই মমতা সরাসরি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷

কলকাতা, 25 অগস্ট: কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতেই 'মিডিয়া ট্রায়াল' (Media Trial)-এর সুযোগ দেবেন না ৷ এর ফলে বহু ক্ষেত্রেই সত্যের অপলাপ হয় ! বৃহস্পতিবার বিচারপতিদের উদ্দেশে এই আবেদন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ একইসঙ্গে, তাঁর আর্জি, বিচারব্যবস্থায় আরও বেশি করে মহিলা বিচারক ও বিচারপতিদের নিয়োগ করা হোক ৷ বাড়ানো হোক বিচারের গতি ৷ বৃহস্পতিবার নব মহাকরণ ভবন বা নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিংটি (New Secretariat Building) কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয় ৷ এই উপলক্ষে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে মিডিয়া ট্রায়াল প্রসঙ্গে উপরোক্ত মন্তব্যটি করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ রাজ্য়ের বর্তমান প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷

ঠিক কী বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ? তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে কোনও মিডিয়া ট্রায়ালের উপর ভরসা করবেন না ৷ কখনও কখনও এগুলি ঘটনাপ্রবাহকে ভুল পথে চালিত করে ৷ কখনও কখনও মিথ্যাকে সত্যি বলে চালিয়ে দেয় ৷ মানুষ বিচারালয়কে ভরসা করে ৷ কারণ বিচারালয় সর্বদা তথ্য এবং প্রমাণের উপর নির্ভর করে ৷ তাই কোনও মিডিয়া ট্রায়াল এক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয় ৷ একই কথা আমাদের সংবাদিক বন্ধুদের জন্যও প্রযোজ্য ৷ আপনারা মিডিয়া ট্রায়াল করার চেষ্টা করবেন না ৷ এভাবে কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করা উচিত নয় ৷ অনুগ্রহ করে সত্য সংবাদ প্রচার করুন ৷ তা যদি আমার বিরুদ্ধে হয়, তাতেও আপত্তি নেই ৷

আরও পড়ুন: মানিকের বিরুদ্ধে লুকআউট নোটিশ জারি করল সিবিআই

উল্লেখ্য, ইদানীংকালে একটার পর একটা দুর্নীতির ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে ৷ তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমও প্রচুর খবর করছে ৷ এগুলি নিয়ে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে আলোচনা করা হচ্ছে ৷ অনেকেরই অভিযোগ, বহু ক্ষেত্রে আদালতের বিচারাধীন বিভিন্ন বিষয় নিয়েও এইসব আলোচনা হচ্ছে ৷ আদালত রায় ঘোষণা করার আগেই কোনও এক পক্ষকে অপরাধী বলে দেগে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে ৷ এ নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বহু নেতা-নেত্রীকেই একাধিকবার সরব হতে দেখা গিয়েছে ৷ তাঁদের বক্তব্য, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য়েই এই ধরনের মিডিয়া ট্রায়াল করা হয় ৷ এবার মমতাও কার্যত সেই অভিযোগই করলেন ৷

এদিকে, কলকাতা হাইকোর্ট এবং তার আশপাশে ভিড় ক্রমশ বাড়ছে ৷ যার ফলে আদালতের রোজের কাজ চালাতে বিস্তর অসুবিধা হচ্ছিল বলে অভিযোগ ৷ এই অবস্থায় হাইকোর্টের কিছু শাখা অন্য়ত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে ৷ এই কাজের জন্য প্রায় 50 হাজার বর্গফুট জায়গা প্রয়োজন ছিল ৷ সেই কারণেই নব মহাকরণের অনেকটা অংশ হাইকোর্টের হাতে তুলে দিল রাজ্য সরকার ৷ নবান্ন সূত্রে খবর, নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং বা নব মহাকরণ ভবনের একতলা থেকে ন'তলা কলকাতা হাইকোর্টকে দিয়ে দেওয়া হল ৷ বাকি অংশ রাজ্যের হাতেই থাকবে ৷ এই হস্তান্তরের জেরে রাজ্য সরকারের আবাসন, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরির মতো গুরুত্বপূর্ণ দফতরগুলি নিউটাউনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে ৷ তবে শ্রম দফতর ও সমবায় দফতর নব মহাকারণেই থাকছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষণের বেশ কিছু বিষয় লক্ষ্যণীয় ছিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷ দুর্নীতির ফাঁসে বিদ্ধ সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে, গণতন্ত্রে বিচারব্যবস্থা খুবই গুরুত্বপূ্র্ণ ৷ তা মানুষের আস্থা ফেরায় ৷ সুবিচার পেতেই সকলে আদালতের দ্বারস্থ হন ৷ অথচ, মামলা ক্রমশ বাড়ছে ৷ বিচারপতিদের কাজ করার জন্য জায়গার অভাব হচ্ছে, এটা দেখতে ভালো লাগে না ৷ তাই এই ব্যবস্থা করা হল ৷ তাৎপর্যপূর্ণভাবে প্রধান বিচারপতিকে সামনে বসিয়েই মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, বিচারব্যবস্থা নিরপেক্ষ হয় ৷ একপাক্ষিক নয় ৷

অনেকেই মনে করছেন, এই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী আদতে রাজনৈতিক বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ৷ ইদানীং একের পর এক মামলায় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের কাঠগড়ায় উঠতে হচ্ছে ৷ এমনকী, তাঁদের হাজতবাসও হচ্ছে ৷ অথচ বিরোধী, বিশেষ করে বিজেপি-র একাধিক নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি-সহ নানা অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তাঁরা পার পেয়ে যাচ্ছেন ৷ বিচারপতিদের সামনে এই বিষয়টিই মমতা সরাসরি তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল ৷

Last Updated : Aug 25, 2022, 8:15 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.