ETV Bharat / city

গাড়ি থামিয়ে আহত যুবতির চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী - Mamata Banerjee

বুধবার ছিল চতুর্থী ৷ বলা ভালো পুজো শুরু হয়ে গেছে ৷ তার উপর গান্ধি জয়ন্তী থাকায় ছুটির দিন ৷ একটুও সময় নষ্ট করতে চান না কেউ ৷ আর পাঁচ জনের মতো এ দিন কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন শুভ্রা দাস । হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা ওই যুবতির সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধুরাও ৷

মুখ্যমন্ত্রী
author img

By

Published : Oct 3, 2019, 4:28 AM IST

Updated : Oct 3, 2019, 6:56 AM IST

কলকাতা, 3 অক্টোবর : তখন নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর সেতুর উপর উঠবে কনভয় ৷ চালককে দ্রুত গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশ মুহূর্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কনভয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তাদের কাছেও ৷ কিন্তু, ওয়াকিটকিতে নিজেদের মধ্যে কথা শুরু করবেন, তার আগেই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷

বিষয়টা কী! তখনও বুঝে উঠতে পারেননি কেউই ৷ নিরাপত্তা রক্ষীরা কেবল খেয়াল করেছিলেন গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পিছনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তারা ৷ রয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রীও ৷ কিছু পথ হাঁটার পরই সকলে বুঝতে পারলেন ঠিক কী ঘটেছে ৷

বুধবার ছিল চতুর্থী ৷ বলা ভালো পুজো শুরু হয়ে গেছে ৷ তার উপর গান্ধি জয়ন্তী থাকায় ছুটির দিন ৷ একটুও সময় নষ্ট করতে চান না কেউ ৷ আর পাঁচ জনের মতো এ দিন কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন শুভ্রা দাস । হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা ওই যুবতির সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধুরাও ৷ ঠাকুর দেখে বাসে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেছিলেন শুভ্রা ৷ আহত অবস্থায় পড়েছিলেন রাস্তার উপর ৷ গাড়ি করে যাওয়ার সময় এটা নজরে পড়ে যায় মমতার ৷ দ্রুত চালককে নির্দেশ দেন গাড়ি থামানোর ৷

আহত ওই যুবতিকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই মতো কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয় শুভ্রাকে ৷ ঠিকানা নিয়ে যোগাযোগ করা হয় দাশনগরে তাঁর বাড়িতেও ৷

পরে রাজ্যের এক মন্ত্রী জানাচ্ছেন, দিদি গাড়িতে সব সময় সামনের আসনেই বসেন ৷ যাতে খুব সহজে সামনের সব কিছু দেখতে পারেন সে জন্য বরাবরই চালকের পাশের আসনটি পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ মন্ত্রীর কথায়, "তখন সুরচি সংঘের পুজো উদ্বোধন করে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আমিও ছিলাম গাড়িতে ৷ ঘড়িতে পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা হবে ৷ হঠাৎ দেখি দিদি চালককে বললেন গাড়ি থামাতে ৷ কিছু বুঝে উঠার আগেই গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তিনি ৷" মমতার পিছু পিছু গাড়ি থেকে নেমেছিলেন তিনিও ৷ দু-পা হাঁটতেই নজরে পড়ে ওই যুবতি পড়ে আছেন রাস্তায়, আহত অবস্থায়, বলছেন ওই মন্ত্রী ৷

আর মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে তাঁদের মেয়েটার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন, তাতে আবেগ চেপে রাখতে পারছে না হাওড়ার দাস পরিবার ৷ সকলের একটাই কথা, "মুখ্যমন্ত্রীর নজরে না পড়লে আজ যে কী হত জানি না ৷"

কলকাতা, 3 অক্টোবর : তখন নিউ আলিপুরের দুর্গাপুর সেতুর উপর উঠবে কনভয় ৷ চালককে দ্রুত গাড়ি থামানোর নির্দেশ দিলেন তিনি ৷ মুখ্যমন্ত্রীর এহেন নির্দেশ মুহূর্তে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল কনভয় পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তাদের কাছেও ৷ কিন্তু, ওয়াকিটকিতে নিজেদের মধ্যে কথা শুরু করবেন, তার আগেই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ৷

বিষয়টা কী! তখনও বুঝে উঠতে পারেননি কেউই ৷ নিরাপত্তা রক্ষীরা কেবল খেয়াল করেছিলেন গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ পিছনে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্তারা ৷ রয়েছেন রাজ্যের এক মন্ত্রীও ৷ কিছু পথ হাঁটার পরই সকলে বুঝতে পারলেন ঠিক কী ঘটেছে ৷

বুধবার ছিল চতুর্থী ৷ বলা ভালো পুজো শুরু হয়ে গেছে ৷ তার উপর গান্ধি জয়ন্তী থাকায় ছুটির দিন ৷ একটুও সময় নষ্ট করতে চান না কেউ ৷ আর পাঁচ জনের মতো এ দিন কলকাতায় ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন শুভ্রা দাস । হাওড়ার দাশনগরের বাসিন্দা ওই যুবতির সঙ্গে ছিলেন তাঁর বন্ধুরাও ৷ ঠাকুর দেখে বাসে উঠতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গেছিলেন শুভ্রা ৷ আহত অবস্থায় পড়েছিলেন রাস্তার উপর ৷ গাড়ি করে যাওয়ার সময় এটা নজরে পড়ে যায় মমতার ৷ দ্রুত চালককে নির্দেশ দেন গাড়ি থামানোর ৷

আহত ওই যুবতিকে দ্রুত হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ সেই মতো কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয় শুভ্রাকে ৷ ঠিকানা নিয়ে যোগাযোগ করা হয় দাশনগরে তাঁর বাড়িতেও ৷

পরে রাজ্যের এক মন্ত্রী জানাচ্ছেন, দিদি গাড়িতে সব সময় সামনের আসনেই বসেন ৷ যাতে খুব সহজে সামনের সব কিছু দেখতে পারেন সে জন্য বরাবরই চালকের পাশের আসনটি পছন্দ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ মন্ত্রীর কথায়, "তখন সুরচি সংঘের পুজো উদ্বোধন করে ফিরছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ আমিও ছিলাম গাড়িতে ৷ ঘড়িতে পাঁচটা-সাড়ে পাঁচটা হবে ৷ হঠাৎ দেখি দিদি চালককে বললেন গাড়ি থামাতে ৷ কিছু বুঝে উঠার আগেই গাড়ি থেকে নেমে গেলেন তিনি ৷" মমতার পিছু পিছু গাড়ি থেকে নেমেছিলেন তিনিও ৷ দু-পা হাঁটতেই নজরে পড়ে ওই যুবতি পড়ে আছেন রাস্তায়, আহত অবস্থায়, বলছেন ওই মন্ত্রী ৷

আর মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে তাঁদের মেয়েটার চিকিৎসার ব্যবস্থা করলেন, তাতে আবেগ চেপে রাখতে পারছে না হাওড়ার দাস পরিবার ৷ সকলের একটাই কথা, "মুখ্যমন্ত্রীর নজরে না পড়লে আজ যে কী হত জানি না ৷"

Intro:

কলকাতা, ২ অক্টোবর: পুজো উদ্বোধন করে ফেরার পথে গাড়ি থামিয়ে রাস্তা থেকে আহত তরুণীকে উদ্ধার করে তাঁর চিকিৎসার যাবতীয় ব্যবস্থা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুধুমাত্র চিকিৎসার ব্যবস্থা করা নয়, আহত তরুনীর পরিবারের মানুষদের সঙ্গে যোগাযোগের ব্যবস্থা করে নিশ্চিত হন তিনি।

Body:

আজ বিকেলে 'সুরুচি সংঘের পুজো মন্ডপ উদ্বোধন করতে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। পুজো উদ্বোধন শেষ করার পর যখন চেতলার দুর্গাপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে আসছিল তাঁর গাড়ি সহ কনভয়‌, তখন হঠাৎই গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর হঠাৎ করে গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়া দেখি হতচকিত হয়ে পড়েন নিরাপত্তা রক্ষীরা। তাঁরা প্রথমে বুঝে উঠতে পারেননি কেনও গাড়ি থামিয়ে নেমে পড়েছেন তিনি। এর পর গোটা বিষয়টি সকলের উপলব্ধিতে আসে। মুখ্যমন্ত্রী দেখতে পেয়েছিলেন, বাসে ওঠার সময় একটি মেয়ে বিপজ্জনক ভাবে রাস্তায় পড়ে গেছে। নিজের গাড়ি থামিয়ে সেই আহত তরুণীর কাছে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি। এরপর স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান তাঁকে। জানা গেছে, হাওড়ার দাস নগরের বাসিন্দা তরুণীটির নাম শুভ্রা দাস। বন্ধুদের সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুর দেখতে এসেছিলেন তিনি। ঠাকুর দেখতে বেরিয়েই পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন। যদিও প্রশাসনিক আধিকারিক এবং নিরাপত্তারক্ষীদের মুখ্যমন্ত্রী সেই সময় পরামর্শ দেন আহত তরুণীদের পরিবারের যোগাযোগ করতে। সেইমতো তরুণীর পরিবারের মানুষদের নজরে আনেন বিষয়টি। Conclusion:
Last Updated : Oct 3, 2019, 6:56 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.