কলকাতা, 23 জানুয়ারি : নেতাজির জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠানে বিপত্তি৷ শনিবার ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যে সরকারি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, সেখানেই বিপত্তি ঘটে৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাষণ দেওয়া বাতিল করলেন ক্ষোভে৷ ফলে এই নিয়ে হইচই পড়ে যায়৷ কী হলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ভাষণ দেওয়ার জন্য নির্ধারিত জায়গা ছেড়ে মুখ্যমন্ত্রী নিজের আসনে ফিরে আসেন৷
ঠিক কী হয়েছিল? ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভাষণ দিতে ডাকা হল, তখন দর্শকাসন থেকে কয়েকজন ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিতে শুরু করেন৷ প্রথম সারিতে থাকা কয়েকজন থামানোর চেষ্টা করেন৷ কিন্তু যা ঘটার ততক্ষণে ঘটে গিয়েছে৷
এর জেরে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ হন মমতা৷ তিনি বলেন, ‘‘এটা সরকারি অনুষ্ঠান৷ কোনও রাজনৈতিক দলের অনুষ্ঠান নয়৷ এভাবে কাউকে ডেকে অপমান করার কোনও মানে হয় না৷ তাই আমি ভাষণ দেব না৷’’
মুখ্যমন্ত্রী যখন এই কথা বলছেন, তখন মঞ্চে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ও কেন্দ্রের এক মন্ত্রী৷ সেই সময় মঞ্চে উপস্থিত সকলেই হতচকিত৷ কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সোজা চলে আসেন নিজের আসনে৷ প্রধানমন্ত্রীর পাশেই ছিল তাঁর নির্দিষ্ট আসন৷
এর পর কিছু স্মারক প্রকাশের অনুষ্ঠান হয়৷ তা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত ধরেই৷ সেখানেও মমতা সামিল হন৷ তার পর যতক্ষণ অনুষ্ঠান হয়, ততক্ষণ মমতা মঞ্চেই ছিলেন৷
যদিও এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে৷ যাঁরা অতিথি হিসেবে ছিলেন, তাঁরা কীভাবে ‘জয় শ্রীরাম’ বললেন৷ অনেকেই সোশাল মিডিয়ায় প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন যে কীভাবে এমন একটি সরকারি অনুষ্ঠানে কোনও একটি দলের ব্যবহৃত স্লোগান ব্যবহার করা হয়৷ অনেকের মত, এতে আসলে নেতাজিকেই অপমান করা হল৷ যদিও এখনও এই বিষয়ে বিজেপির কারও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি৷
আরও পড়ুন : চারটি জাতীয় রাজধানীর দাবি মমতার
তবে এর তীব্র প্রতিবাদ করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান৷ তিনি টুইটারে লেখেন, ‘‘রামের নাম গলা জড়িয়ে ধরে বলুন৷ গলা টিপে ধরে নয়৷’’ স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে তিনি বোঝাতে চাইছেন যে আসলে ‘জয় শ্রীরাম’ বলে মমতার কণ্ঠরোধ করা হল৷