কলকাতা, 27 ডিসেম্বর : লোকায়ুক্ত ও মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হবে (mamata banerjee attends a meeting on recruitment on west bengal lokayukt and human rights ) ৷ সেই নিয়ে আজ, সোমবার পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় পর পর দু’টি বৈঠক রয়েছে ৷ তার মধ্যে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে বৈঠক শুরু হয়ে গিয়েছে ৷ ওই বৈঠক শেষ হওয়ার পর মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগ নিয়ে বৈঠক শুরু হওয়ার কথা (meeting on west bengal human rights commission chairman) ৷
এদিন বেলা 12টা নাগাদ বিধানসভায় এসে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) । বেলা সাড়ে 12টা থেকে লোকায়ুক্ত নিয়োগ নিয়ে প্রথম বৈঠক শুরু হয়েছে অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে । নিয়ম অনুযায়ী ওই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী, বিধানসভার অধ্যক্ষ ছাড়াও উপস্থিত থাকার কথা পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) ৷
কিন্তু দু’জনের কেউ সেখানে নেই ৷ বিধানসভা সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতার কারণে সশরীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় । তিনি এই বৈঠকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত হন । কিন্তু বৈঠকের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অনুপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ এমনকী, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিয়োগের বৈঠকেও তিনি থাকবেন না বলে জানিয়েছেন ৷
শুভেন্দু অধিকারী এই নিয়ে টুইট করেছেন ৷ সেখানে তিনি জানিয়েছেন, বৈঠকের আগেই লোকায়ুক্ত হিসাবে কার নামে সিলমোহর দেওয়া হবে তা যেহেতু পূর্বনির্ধারিত রয়েছে, তাই বৈঠকের নামে এই প্রহসনে যুক্ত হতে রাজি নন তিনি (meeting on west bengal lokayukt) । একই সঙ্গে এদিন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং তাঁর একজন সদস্য নিয়োগ নিয়ে বৈঠক রয়েছে । সেখানেও থাকছেন না বিরোধী দলনেতা ।
এখনও পর্যন্ত যা শোনা যাচ্ছে, তাতে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জ্যোতির্ময় ভট্টাচার্য । কয়েকদিন আগেই হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি গিরিশচন্দ্র গুপ্ত মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পদ থেকে অবসর নিয়েছেন । তখন থেকেই এই পদ ফাঁকা রয়েছে । তবে কার্যনির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে এতদিন দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রাক্তন আইপিএস নপরাজিত মুখোপাধ্যায় ।
যদি সম্পূর্ণভাবে তাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হত, তাতে সংশ্লিষ্ট মহল বলছে নতুন করে বৈঠকের প্রয়োজন হত না । মনে করা হচ্ছে নতুন কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হবে ৷ সেই কারণেই এই বৈঠক ।
প্রসঙ্গত, বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন তথ্য কমিশনার হিসেবে প্রাক্তন ডিজি বীরেন্দ্র এবং নবীন প্রকাশের নামে ছাড়পত্র দিয়েছিল কমিটি । কিন্তু সেক্ষেত্রে দু’মাস কেটে গেলেও সেই নামে চূড়ান্ত সম্মতি দেননি রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড় । মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান এবং লোকায়ুক্ত নিয়োগের ক্ষেত্রেও কি রাজ্যপাল একই ভূমিকা পালন করেন কি না সেটাই এখন দেখার !