কলকাতা, 28 জুন : এতদিন ছিল রাজনৈতিক টানাপোড়েন ৷ এবার রাজ্য সরকার ও রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের (Jagdeep Dhankhar) মধ্যে চলা এই চাপানউতোর চরম পর্যায়ে পৌঁছাল ৷ এবার রাজ্যপালকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলে সরাসরি আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ৷ তাঁর অভিযোগ, 1996 সালের হাওয়ালা-জৈন কেলেঙ্কারির চার্জশিটে নাম ছিল জগদীপ ধনকড়ের ৷
2019 সালের মাঝামাঝি পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হিসেবে দায়িত্ব নেন জগদীপ ধনকড় ৷ তার পর থেকে একাধিক ইস্যুতে তাঁর সঙ্গে রাজ্য সরকারের বিরোধ বেঁধেছে ৷ তিনি টুইট করে এবং সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ৷ আর অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) তরফেও পালটা আক্রমণ করা হয়েছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে ৷
আরও পড়ুন : রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে হাওয়া নীরজ জিম্বার
তবে এবার বিধানসভা নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর সেই সংঘাত আরও বেড়েছে ৷ ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বিজেপির যে অভিযোগ, তা নিয়ে সরব হতে দেখা গিয়েছে রাজ্যপালকে ৷ তিনি দিল্লি গিয়েছেন ৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah), রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের (Ramnath Kovind) কাছে এই নিয়ে নালিশ জানিয়েছেন ৷ কলকাতায় ফিরে তিনি দার্জিলিং চলে গিয়েছেন ৷
সোমবার নবান্নে আয়োজিত এক সাংবাদিক বৈঠকে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রীকে ৷ তখনই তিনি ধনকড়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে পালটা সরব হন ৷ তাঁর দাবি, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে আগে তদন্ত হওয়া উচিত ৷ রাজ্যপালের সফরের সময় কী হচ্ছে, কতটা টাকা খরচ হচ্ছে, এই নিয়ে তদন্ত হওয়া উচিত বলে তিনি দাবি করেন ৷ একই সঙ্গে মমতা বলেন, ‘‘ওঁর যা ইচ্ছে করবেন, বলবেন, এটা আমি মেনে নেব না ৷’’
আরও পড়ুন : রাজ্যে 15 জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ , চালু হচ্ছে বাস পরিষেবা
আর তার পরই এই হাওয়ালা-জৈন কেলেঙ্কারি নিয়ে মুখ খোলেন মমতা ৷ তাঁর দাবি, 1996 সালের হাওয়ালা-জৈন কেলেঙ্কারির চার্জশিটে নাম ছিল জগদীপ ধনকড়ের ৷ তার পর আদালত থেকে নাম বাদ দেওয়ানো হয় ৷ এর পর এই নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয় ৷ সেই মামলা এখনও চলছে ৷
তাই তিনি বলেছেন, ‘‘তিনি (রাজ্যপাল) একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ ৷’’ এই নিয়ে কেন্দ্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন তিনি ৷ কীভাবে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত মানুষ কীভাবে এই পদ পেলেন, সেই প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী ৷
আরও পড়ুন : বিধানসভার অন্দরে মুকুলের শক্তিশেল সামলানো এখন বড় চ্যালেঞ্জ বিজেপির