কলকাতা, 10 অক্টোবর: তৃতীয়বার রাজ্যের ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূল সরকারের যে প্রকল্প নিয়ে সর্বাধিক চর্চা হয়েছে তা হল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Laxmi Bhandar) । । প্রতিমাসে এই লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে বাড়ির লক্ষ্মীদের হাতে উঠে আসে ৫০০ টাকা। রাজ্যের বহু মহিলা এই প্রকল্পের আওতায় এসেছেন । পাশাপাশি বিতর্কেরও শেষ নেই ।
বিরোধীদের একাংশ দাবি করে, রাজ্যে কর্মসংস্থানের অভাব রয়েছে । এমতাবস্থায় সেদিকে নজর না দিয়ে মাসে 500 টাকা অনুদান দিয়ে দায় সারছে সরকার । আবার সরকারের তরফে যুক্তি দেওয়া হয় এই প্রকল্পে রাজ্যের বহু পরিবার উপকৃত হচ্ছে । তারা নতুন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের উপর আস্থা রাখছে আর এটা মেনে নিতে না পেরেই বিরোধিরা সমালোচনা করছে । এহেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারকে ঘিরে চর্চায় নতুন মাত্রা যোগ করলেন প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র । জানালেন তাঁর কামারহাটি বিধানসভা এলাকায় আলাদা করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প শুরু হবে (Madan Mitra Launches Laxmi Bhandar in Kamarhati) ।
আরও পড়ুন: বর্ষা বিদায় দূরেই, আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা
যাঁরা চাকরি পাচ্ছেন না তাঁদের সাহায্য করবে মদন মিত্রের এই নয়া লক্ষ্মী ভান্ডার। লক্ষ্মী পুজোর দিন এমন ঘোষণা করতে শোনা গেল কামারহাটির বিধায়ককে। এদিন নিজের এলাকার 14 নম্বর ওয়ার্ডের পার্টি অফিসে লক্ষ্মী পুজো করে এই ঘোষণা করেন তিনি। তাঁর কথায়,"যাঁরা রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা পাননি বা চাকরি পাননি, তাঁদের হাতে জমা টাকা তুলে দেওয়া হবে প্রত্যেক মাসে। যাঁদের ঘরে অভাব রয়েছে, ওষুধ থেকে শুরু করে জামা কিনতে পারছেন না, আমাদের ছেলেরা বিভিন্ন এলাকার বুথে বুথে গিয়ে প্রত্যেককে সাহায্য করবে।"কীভাবে তৈরি হবে লক্ষী ভান্ডার?
সে বিষয়ে বিধায়ক বলেন,"দলের কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের সাধ্য অনুযায়ী টাকা নিজস্ব বুথে থাকা লক্ষ্মীর ভান্ডারে ফেলবেন। মাস শেষে সেই টাকা দিয়েই গরিব মানুষের পাশে দাঁড়াব আমরা।" এখানেই শেষ নয়, এদিন পুজো সেরে ১০০১ টাকা দিয়ে তাঁর এলাকার লক্ষ্মীর ভান্ডার শুরুও করেন মদন । এদি "এসো মা লক্ষ্মী" গানেও গলা মেলাতে দেখা যায় মদনকে ।