ETV Bharat / city

Student Credit Card : স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর মাত্র 16 শতাংশের - স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণের আবেদন বাতিল

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডের (Student Credit Card ) আওতায় ঋণের অনুমোদন মিলেছে মাত্র 16 শতাংশ আবেদনকারীর ৷ এর জন্য সরকারের তাড়াহুড়োকেই দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা ৷ শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েনও ৷

loan approval against student credit card is only 16 percent
Student Credit Card : স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর মাত্র 16 শতাংশের
author img

By

Published : Nov 25, 2021, 4:19 PM IST

Updated : Nov 25, 2021, 9:12 PM IST

কলকাতা, 25 নভেম্বর : রাজ্যের দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষালাভে আর্থিক বাধা দূর করতেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (West Bengal Student Credit Card Scheme) চালু করেছে সরকার ৷ রীতিমতো ঢাক, ঢোল পিটিয়ে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হলেও আখেরে কতটা সুবিধা পাচ্ছেন পড়ুয়ারা ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজল ইটিভি ভারত ৷ তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ঋণের আবদেন জমা পড়েছে অসংখ্য ৷ পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে আগ্রহও রয়েছে ৷ কিন্তু, ঋণ মঞ্জুর হয়েছে মাত্র 16 শতাংশ আবেদনকারীর (loan approval against student credit card is only 16 percent) ৷ যা ছাত্রছাত্রীদের হতাশার কারণ হতেই পারে ৷ কিন্তু, এই পরিস্থিতির পিছনে নানা কারণ রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে বয়সের উর্ধ্বসীমা 40 বছর ৷ সর্বাধিক ঋণের পরিমাণ 10 লক্ষ টাকা ৷ যা উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হতে পারে ৷ সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্প ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 27 হাজার ঋণের আবেদন জমা পড়েছে ৷ কিন্তু, ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করেছে প্রায় 4 হাজার 600 আবেদনকারীর ৷ শুধু কলকাতা থেকেই আবেদনপত্র জমা পড়েছিল প্রায় 2 হাজার ৷ মঞ্জুর হয়েছে মাত্র 500 জনের আবেদন ৷ সব মিলিয়ে মোট আবেদনকারী মধ্যে মাত্র 16 শতাংশই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ৷ বাকি 84 শতাংশেরই আবেদন বাতিল করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলি ৷

আরও পড়ুন : Student Credit Card : স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ না দিলে সেই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রাখবে না রাজ্য

এই পরিস্থিতিতে সমস্যা মেটাতে গোটা রাজ্যে জেলাভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সরকার ৷ জটিলতা মিটিয়ে ব্যাংকগুলি যাতে পড়ুয়াদের ঋণ দেয়, তা নিশ্চিত করতে ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলছেন টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা ৷ তাতে সমস্যা মিটবে কিনা, তার উত্তর দেবে সময় ৷ কিন্তু, অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, তাড়াহুড়োয় প্রকল্প চালু করাতেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে ৷

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ শান্তনু সান্যাল বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার গ্যারান্টার রাজ্য সরকার স্বয়ং ৷ তাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে যে ব্যাংকে গেলেই বুঝি ঋণ পাওয়া যাবে ৷ কিন্তু বিষয়টা অতটাও সহজ নয় ৷ কারণ, অতীতে এই ধরনের বহু ক্ষেত্রেই ঋণ দিয়ে ভুগতে হয়েছে ব্যাংককে ৷ এমন বহু ঋণ তামাদি হয়ে গিয়েছে বা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে ৷ সোজা কথায়, সুদ বা আসল কোনওটাই আর ব্যংকের ভাঁড়ারে ফেরেনি ৷ তাছাড়া, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোষাগারেরও বেহাল দশা ৷ বস্তুত, সরকারের নিজস্ব ঋণের পরিমাণই বিপুল ৷ ব্যাংকগুলির তা অজানা নয় ৷ সেই কারণেই, শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি গ্যারান্টির উপর ভরসা না করে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু ব্যাংক নিজস্ব প্রক্রিয়া মেনে চলছে ৷ আর তাই অধিকাংশ আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে ৷

প্রাক্তন ব্যাংককর্মী এবং ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনের নেতা অশোক মুখোপাধ্য়ায়ের মতে, ‘‘4 লক্ষ টাকার উপর ঋণের পরিমাণ হলেই ঋণের জন্য একটা সমান্তরাল নিরাপত্তা (collateral security) লাগে ৷ সরকারি গ্যারান্টি থাকুক বা না থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না ৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারীর কাছে সমান্তরাল নিরাপত্তা না থাকলে ব্যাংক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেবে ৷ কাজেই পড়ুয়া যে বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষা ঋণ নিচ্ছেন, বাজারে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যৎ কেমন, তা খতিয়ে দেখার পরই ঋণ মনঞ্জুর করা হবে ৷’’

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর মাত্র 16 শতাংশের

আরও পড়ুন : Student Credit Card : বিতরণের প্রথম দিনে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড পেল 173 পড়ুয়া

গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও শুরু হয়েছে ৷ বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার যেমন মনে করেন, রাজ্য সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করলেও তাতে রাজ্যের পড়ুয়াদের কোনও লাভ হয়নি ৷ জয়প্রকাশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাহারি গল্প শোনাচ্ছেন ৷ কিন্তু বাস্তব অবস্থার সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি ৷ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মনে করেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকগুলির কাছে সরকারি গ্যারান্টির কার্যকারিতা নিয়েই নানা প্রশ্ন রয়েছে ৷ সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে ৷ তাঁর মতে, ভোটের আগে মানুষকে প্রভাবিত করতেই ঢাক, ঢোল পিটিয়ে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তাতে আদতে পড়ুয়াদের কোনও লাভই হচ্ছে না ৷

যদিও বিরোধীদের সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ৷ তিনি মনে করেন, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ৷ এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে রাজ্য সরকার তথা প্রশাসন যথেষ্ট যত্নবান ৷ কিছু সমস্যা নিশ্চয়ই হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন ৷ সরকার পক্ষের আশা, ধীরে ধীরে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণের অনুমোদন বাড়বে ৷

কলকাতা, 25 নভেম্বর : রাজ্যের দুঃস্থ ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষালাভে আর্থিক বাধা দূর করতেই স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড (West Bengal Student Credit Card Scheme) চালু করেছে সরকার ৷ রীতিমতো ঢাক, ঢোল পিটিয়ে এই প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হলেও আখেরে কতটা সুবিধা পাচ্ছেন পড়ুয়ারা ? সেই প্রশ্নেরই উত্তর খুঁজল ইটিভি ভারত ৷ তথ্য বলছে, এখনও পর্যন্ত এই প্রকল্পের আওতায় ঋণের আবদেন জমা পড়েছে অসংখ্য ৷ পড়ুয়া ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মধ্যে এ নিয়ে আগ্রহও রয়েছে ৷ কিন্তু, ঋণ মঞ্জুর হয়েছে মাত্র 16 শতাংশ আবেদনকারীর (loan approval against student credit card is only 16 percent) ৷ যা ছাত্রছাত্রীদের হতাশার কারণ হতেই পারে ৷ কিন্তু, এই পরিস্থিতির পিছনে নানা কারণ রয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল ৷

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেছিলেন, তাতে বয়সের উর্ধ্বসীমা 40 বছর ৷ সর্বাধিক ঋণের পরিমাণ 10 লক্ষ টাকা ৷ যা উচ্চশিক্ষা লাভের ক্ষেত্রে বড় সহায়ক হতে পারে ৷ সরকারি হিসাব অনুযায়ী, প্রকল্প ঘোষিত হওয়ার পর থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় 27 হাজার ঋণের আবেদন জমা পড়েছে ৷ কিন্তু, ব্যাংক ঋণ অনুমোদন করেছে প্রায় 4 হাজার 600 আবেদনকারীর ৷ শুধু কলকাতা থেকেই আবেদনপত্র জমা পড়েছিল প্রায় 2 হাজার ৷ মঞ্জুর হয়েছে মাত্র 500 জনের আবেদন ৷ সব মিলিয়ে মোট আবেদনকারী মধ্যে মাত্র 16 শতাংশই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন ৷ বাকি 84 শতাংশেরই আবেদন বাতিল করে দিয়েছে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলি ৷

আরও পড়ুন : Student Credit Card : স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ না দিলে সেই ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট রাখবে না রাজ্য

এই পরিস্থিতিতে সমস্যা মেটাতে গোটা রাজ্যে জেলাভিত্তিক টাস্ক ফোর্স গঠন করেছে সরকার ৷ জটিলতা মিটিয়ে ব্যাংকগুলি যাতে পড়ুয়াদের ঋণ দেয়, তা নিশ্চিত করতে ব্যাংকের সঙ্গে কথা বলছেন টাস্ক ফোর্সের প্রতিনিধিরা ৷ তাতে সমস্যা মিটবে কিনা, তার উত্তর দেবে সময় ৷ কিন্তু, অর্থনীতিবিদদের একাংশ মনে করছেন, তাড়াহুড়োয় প্রকল্প চালু করাতেই এই জটিলতা তৈরি হয়েছে ৷

অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ শান্তনু সান্যাল বলেন, ‘‘এক্ষেত্রে ঋণগ্রহীতার গ্যারান্টার রাজ্য সরকার স্বয়ং ৷ তাতে আপাতদৃষ্টিতে মনে হতেই পারে যে ব্যাংকে গেলেই বুঝি ঋণ পাওয়া যাবে ৷ কিন্তু বিষয়টা অতটাও সহজ নয় ৷ কারণ, অতীতে এই ধরনের বহু ক্ষেত্রেই ঋণ দিয়ে ভুগতে হয়েছে ব্যাংককে ৷ এমন বহু ঋণ তামাদি হয়ে গিয়েছে বা অনুৎপাদক সম্পদে পরিণত হয়েছে ৷ সোজা কথায়, সুদ বা আসল কোনওটাই আর ব্যংকের ভাঁড়ারে ফেরেনি ৷ তাছাড়া, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কোষাগারেরও বেহাল দশা ৷ বস্তুত, সরকারের নিজস্ব ঋণের পরিমাণই বিপুল ৷ ব্যাংকগুলির তা অজানা নয় ৷ সেই কারণেই, শুধুমাত্র রাজ্য সরকারি গ্যারান্টির উপর ভরসা না করে, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে বহু ব্যাংক নিজস্ব প্রক্রিয়া মেনে চলছে ৷ আর তাই অধিকাংশ আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে ৷

প্রাক্তন ব্যাংককর্মী এবং ব্যাংক কর্মচারী সংগঠনের নেতা অশোক মুখোপাধ্য়ায়ের মতে, ‘‘4 লক্ষ টাকার উপর ঋণের পরিমাণ হলেই ঋণের জন্য একটা সমান্তরাল নিরাপত্তা (collateral security) লাগে ৷ সরকারি গ্যারান্টি থাকুক বা না থাকুক, তাতে কিছু যায় আসে না ৷ এক্ষেত্রে আবেদনকারীর কাছে সমান্তরাল নিরাপত্তা না থাকলে ব্যাংক তাঁর আবেদন খারিজ করে দেবে ৷ কাজেই পড়ুয়া যে বিষয়ে পড়াশোনা করার জন্য শিক্ষা ঋণ নিচ্ছেন, বাজারে তার গ্রহণযোগ্যতা এবং ভবিষ্যৎ কেমন, তা খতিয়ে দেখার পরই ঋণ মনঞ্জুর করা হবে ৷’’

স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ডে ঋণ মঞ্জুর মাত্র 16 শতাংশের

আরও পড়ুন : Student Credit Card : বিতরণের প্রথম দিনে স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড পেল 173 পড়ুয়া

গোটা বিষয়টি নিয়ে রাজনৈতিক জলঘোলাও শুরু হয়েছে ৷ বিজেপির রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার যেমন মনে করেন, রাজ্য সরকার ঢাকঢোল পিটিয়ে স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড চালু করলেও তাতে রাজ্যের পড়ুয়াদের কোনও লাভ হয়নি ৷ জয়প্রকাশের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু বাহারি গল্প শোনাচ্ছেন ৷ কিন্তু বাস্তব অবস্থার সামান্যতম পরিবর্তন হয়নি ৷ সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী মনে করেন, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে বেসরকারি ব্যাংকগুলির কাছে সরকারি গ্যারান্টির কার্যকারিতা নিয়েই নানা প্রশ্ন রয়েছে ৷ সেই কারণেই সমস্যা তৈরি হচ্ছে ৷ তাঁর মতে, ভোটের আগে মানুষকে প্রভাবিত করতেই ঢাক, ঢোল পিটিয়ে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছিল ৷ কিন্তু, তাতে আদতে পড়ুয়াদের কোনও লাভই হচ্ছে না ৷

যদিও বিরোধীদের সঙ্গে সহমত হতে পারছেন না বিধানসভায় তৃণমূল কংগ্রেসের মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ ৷ তিনি মনে করেন, স্টুডেন্টস ক্রেডিট কার্ড মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ৷ এই প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে রাজ্য সরকার তথা প্রশাসন যথেষ্ট যত্নবান ৷ কিছু সমস্যা নিশ্চয়ই হচ্ছে ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বিষয়টি দেখছেন ৷ সরকার পক্ষের আশা, ধীরে ধীরে এই প্রকল্পের আওতায় ঋণের অনুমোদন বাড়বে ৷

Last Updated : Nov 25, 2021, 9:12 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.