কলকাতা, 12 এপ্রিল: সরকারি ব্লাডব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সমস্যা দূর করতে কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এর ফলে কলকাতায় ব্যাপক রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে এমনই জানানো হয়েছে। রক্তের এই সংকট দূর করতে, সরকারি নিয়ম মেনে ছোটো আকারে রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে।
রক্তের সংকট যাতে দূর হতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি শিবিরে সর্বাধিক 30 জন রক্তদান করতে পারবেন, এমনভাবে শিবির আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। এ দিকে, রক্তের সংকট দূর করার জন্য পুলিশের তরফে শিবির আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণা অনুযায়ী গত 1 এপ্রিল থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে পুলিশ। তবে, 30 জন রক্তদান করতে পারবেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়নি বলে জানিয়েছে রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অথচ, এমনও হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নির্দেশ অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হলেও, পুলিশের তরফে ওই শিবির করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে শনিবার, 11 এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, "অসংখ্য থ্যালাসেমিয়া শিশু সহ যাদের রক্ত বিশেষ প্রয়োজন, তাদের কথা ভেবে আপনি যে পদ্ধতি অবলম্বনে রক্ত সংগ্রহ করার কথা বলেছিলেন, তা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না। সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের রক্তের সমস্যা মেটাতে কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়ায় কলকাতা শহরে ব্যাপক রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে।" ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, "জীবন শক্তি অ্যাপের তথ্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ব্লাডব্যাঙ্কে যে রক্ত মজুত আছে তা রক্ত সংগ্রহ করতে আসা রোগীদের যদি দেওয়া হয় তা হলে দুই-তিন দিনের মধ্যে ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তশূন্য হয়ে পড়বে। তাই বিভিন্ন ব্লাডব্যাঙ্ক বাধ্য হয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে আসা রোগীর বাড়ির লোককে রক্তদাতা নিয়ে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। কখনও কখনও নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্তদাতা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এই লকডাউনের সময় যখন রোগীর বাড়ির লোকের হাসপাতালে পৌঁছানোটাই দুষ্কর ব্যাপার তখন রক্তদাতা জোগাড় করে সেই রক্তদাতাকে ব্লাডব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া যে কী কঠিন কাজ, তা সেই মানুষটি ছাড়া কেউ বুঝতে পারবেন না। এই অসহায় অবস্থায় অনেক গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে বেসরকারি সংস্থা থেকে বেশি দামে রক্ত কিনছেন।" এই সংস্থার মতে, রাজ্যের জেলাগুলিতে পুলিশের রক্তদান শিবির আয়োজনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ক্লাব সংগঠকরা যেহেতু রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি পাচ্ছে, তাই এই জেলার ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্ত সংকটের প্রভাব দেখা দিচ্ছে না।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি পাঠিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'কফি হাউস সোশ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন'। এই চিঠির বিষয়ে এই সংগঠনের সম্পাদক, অচিন্ত্য লাহা বলেন, "সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে যাতে ছোট আকারের রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা এই চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছি।" রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে যুক্ত রয়েছে উত্তর কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মেডিকেল ব্যাঙ্ক'। এই সংগঠনের সম্পাদক ডি আশিস বলেন, "পুলিশ যেভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও যাতে সেভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার সুযোগ পায়, তার জন্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন করছি।"
কলকাতায় রক্তের ব্যাপক সংকট, মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি
একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে শনিবার, 11 এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, "অসংখ্য থ্যালাসেমিয়া শিশু সহ যাদের রক্ত বিশেষ প্রয়োজন, তাদের কথা ভেবে আপনি যে পদ্ধতি অবলম্বনে রক্ত সংগ্রহ করার কথা বলেছিলেন, তা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না। সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের রক্তের সমস্যা মেটাতে কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়ায় কলকাতা শহরে ব্যাপক রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে।"
কলকাতা, 12 এপ্রিল: সরকারি ব্লাডব্যাঙ্ক গুলিতে রক্তের সমস্যা দূর করতে কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে । এর ফলে কলকাতায় ব্যাপক রক্তের সংকট দেখা দিয়েছে। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে এমনই জানানো হয়েছে। রক্তের এই সংকট দূর করতে, সরকারি নিয়ম মেনে ছোটো আকারে রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি চাওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে।
রক্তের সংকট যাতে দূর হতে পারে, তার জন্য প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি শিবিরে সর্বাধিক 30 জন রক্তদান করতে পারবেন, এমনভাবে শিবির আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। এ দিকে, রক্তের সংকট দূর করার জন্য পুলিশের তরফে শিবির আয়োজনের কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘোষণা অনুযায়ী গত 1 এপ্রিল থেকে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে পুলিশ। তবে, 30 জন রক্তদান করতে পারবেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নির্দেশ প্রত্যাহার করা হয়নি বলে জানিয়েছে রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। অথচ, এমনও হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর ওই ঘোষণার আগে স্বাস্থ্য দপ্তরের ওই নির্দেশ অনুযায়ী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হলেও, পুলিশের তরফে ওই শিবির করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ধরনের পরিস্থিতির মধ্যে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের তরফে শনিবার, 11 এপ্রিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়েছে, "অসংখ্য থ্যালাসেমিয়া শিশু সহ যাদের রক্ত বিশেষ প্রয়োজন, তাদের কথা ভেবে আপনি যে পদ্ধতি অবলম্বনে রক্ত সংগ্রহ করার কথা বলেছিলেন, তা যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না। সরকারি ব্লাডব্যাঙ্কের রক্তের সমস্যা মেটাতে কেবলমাত্র পুলিশ-প্রশাসনকে দায়িত্ব দেওয়ায় কলকাতা শহরে ব্যাপক রক্ত সংকট দেখা দিয়েছে।" ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়েছে, "জীবন শক্তি অ্যাপের তথ্যের সঙ্গে বাস্তব চিত্রের বিশাল পার্থক্য রয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী ব্লাডব্যাঙ্কে যে রক্ত মজুত আছে তা রক্ত সংগ্রহ করতে আসা রোগীদের যদি দেওয়া হয় তা হলে দুই-তিন দিনের মধ্যে ব্লাডব্যাঙ্ক রক্তশূন্য হয়ে পড়বে। তাই বিভিন্ন ব্লাডব্যাঙ্ক বাধ্য হয়ে রক্ত সংগ্রহ করতে আসা রোগীর বাড়ির লোককে রক্তদাতা নিয়ে যেতে নির্দেশ দিচ্ছে। কখনও কখনও নির্দিষ্ট গ্রুপের রক্তদাতা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে। এই লকডাউনের সময় যখন রোগীর বাড়ির লোকের হাসপাতালে পৌঁছানোটাই দুষ্কর ব্যাপার তখন রক্তদাতা জোগাড় করে সেই রক্তদাতাকে ব্লাডব্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া যে কী কঠিন কাজ, তা সেই মানুষটি ছাড়া কেউ বুঝতে পারবেন না। এই অসহায় অবস্থায় অনেক গরিব মানুষ বাধ্য হয়ে বেসরকারি সংস্থা থেকে বেশি দামে রক্ত কিনছেন।" এই সংস্থার মতে, রাজ্যের জেলাগুলিতে পুলিশের রক্তদান শিবির আয়োজনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও ক্লাব সংগঠকরা যেহেতু রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি পাচ্ছে, তাই এই জেলার ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে রক্ত সংকটের প্রভাব দেখা দিচ্ছে না।
শনিবার মুখ্যমন্ত্রীকে এই চিঠি পাঠিয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'কফি হাউস সোশ্যাল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন'। এই চিঠির বিষয়ে এই সংগঠনের সম্পাদক, অচিন্ত্য লাহা বলেন, "সরকারি নিয়ম-নীতি মেনে কলকাতা এবং পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিকে যাতে ছোট আকারের রক্তদান শিবির আয়োজনের অনুমতি দেওয়া হয়, তার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমরা এই চিঠির মাধ্যমে আবেদন জানিয়েছি।" রক্তদান আন্দোলনের সঙ্গে দীর্ঘ বছর ধরে যুক্ত রয়েছে উত্তর কলকাতার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন 'মেডিকেল ব্যাঙ্ক'। এই সংগঠনের সম্পাদক ডি আশিস বলেন, "পুলিশ যেভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করছে, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলিও যাতে সেভাবে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করার সুযোগ পায়, তার জন্য সরকারের কাছে আমরা আবেদন করছি।"