ETV Bharat / city

বিধান রায়ের জন্মদিন পালনে এক মঞ্চে বাম-কংগ্রেস

বিধানচন্দ্র রায়ের আজ 138তম জন্মবার্ষিকী । সেই উপলক্ষে প্রথা ভেঙে বামফ্রন্টকে বিধান ভবনে আমন্ত্রণ জানাল প্রদেশ কংগ্রেস ।

author img

By

Published : Jul 1, 2020, 9:14 PM IST

Birth anniversary of Dr b c roy
বিধানচন্দ্র রায়ের জন্ম বার্ষিকী একযোগে পালন বাম-কংগ্রেসের

কলকাতা, 1 জুলাই : বিধানচন্দ্র রায়ের 138 তম জন্মবার্ষিকীতে মিলে গেল বামফ্রন্টএবং কংগ্রেস । কেন্দ্র এবং রাজ্যের অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে বামফ্রন্ট এবংকংগ্রেস যৌথভাবে লড়াই করবে একথা আগেই বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের 138 তম জন্মদিবসে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসেরনেতৃত্বের উপলব্ধি এককভাবে লড়াই করলে BJP এবং তৃণমূলকে রুখে দেওয়া যাবে ।বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথভাবেমোকাবিলা করবে BJP এবংতৃণমূলের । আজ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধানভবনে গিয়ে একথা বললেন বামফ্রন্টনেতৃত্ব ।

সোমেনমিত্রের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে হাজিরহয়েছিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব । বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, CPI রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, RSP-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোজভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ডব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বিধান রায়কেশ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে গিয়ে । বাম পরিষদীয় দলের নেতাসুজন চক্রবর্তী বলেন, “জীবিতমানুষের স্তুতি করা মানে তাঁঁর ক্ষতি করা । আর তাঁঁর সমালোচনা মানে তাকে সাহায্যকরা । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে যে মানুষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীহয়েছিলেন, তাঁঁরসঙ্গে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর বিস্তর ফারাক । সমসাময়িক অবস্থায় বাম গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বৃহত্তর মানুষের ঐক্যজরুরি । বিধান রায় বিরোধীদের মর্যাদা দিতেন । তাঁঁর শাসনে 100 দিনের বেশি বিধানসভার অধিবেশন হত ।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,"বিরোধীদেরমুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা ছিল বিধানচন্দ্র রায়ের । জ্যোতিবাবু তখন বিরোধী দলের নেতা। বিধান রায়কে প্রকৃত সম্মান জানাতে সল্টলেকের নামকরণ করা হয়েছিল বিধানচন্দ্ররায়ের নামে । আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে জ্যোতিবাবুর নামের বিভিন্নপ্রকল্প মুছে দিয়েছেন । আজকের মতো সংস্কৃতি তখন ছিল না । কালকের যোগী ক্ষমতায়এসে অসভ্যতা শুরু করেছেন । বিরোধীদের গুরুত্ব দিতেন বিধান চন্দ্র রায়। দুর্গাপুরউপনগরী তৈরির সময় জ্যোতিবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করতেন তিনি । এখন সে সব বালাই নেই ।আজকের শাসকদল সে সব বুঝল না ।"

নজিরবিহীনভাবেবিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে বামফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস । দীর্ঘদিনধরে তারা এই দিনটিকে এককভাবে পালন করে । এই প্রথম বামফ্রন্টকে তারা আমন্ত্রণজানিয়েছে । এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “সময়ের প্রয়োজনে, বিকল্প গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতেবামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বাঁধা হয়েছে । গণতন্ত্রের জন্য জন্ম থেকে লড়াই করছেবামফ্রন্ট । মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে তারা । সে কারণে সকলে মিলে শক্তিকেসংগঠিত করছি । রাজ্য এবং রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথভাবে কাজকরবে । গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে মানুষের অধিকারের কথা বলবে বাম-কংগ্রেসের জোট। দুই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চের চেহারা বদল হয়েছে । কংগ্রেস এবংবামফ্রন্ট কেউ এককভাবে এখন লড়াই করতে পারবে না । সে কারণে যৌথভাবে আমাদের লড়াই ।কেন্দ্রে এবং রাজ্যে যতদিন এই দুই অশুভ শক্তি বিরাজ করবে, ততদিন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আন্দোলনচলবে ।

বিধান রায়ের জন্মদিন পালনে এক মঞ্চে বাম-কংগ্রেস

কলকাতা, 1 জুলাই : বিধানচন্দ্র রায়ের 138 তম জন্মবার্ষিকীতে মিলে গেল বামফ্রন্টএবং কংগ্রেস । কেন্দ্র এবং রাজ্যের অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে বামফ্রন্ট এবংকংগ্রেস যৌথভাবে লড়াই করবে একথা আগেই বলেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। আজ পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের 138 তম জন্মদিবসে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসেরনেতৃত্বের উপলব্ধি এককভাবে লড়াই করলে BJP এবং তৃণমূলকে রুখে দেওয়া যাবে ।বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নিয়ে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথভাবেমোকাবিলা করবে BJP এবংতৃণমূলের । আজ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধানভবনে গিয়ে একথা বললেন বামফ্রন্টনেতৃত্ব ।

সোমেনমিত্রের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আজ প্রদেশ কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে হাজিরহয়েছিলেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব । বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী, CPI রাজ্য সম্পাদক স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায়, RSP-র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনোজভট্টাচার্য, ফরওয়ার্ডব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়-সহ অন্যান্য নেতৃত্ব বিধান রায়কেশ্রদ্ধা জানালেন কংগ্রেসের সদর দপ্তর বিধান ভবনে গিয়ে । বাম পরিষদীয় দলের নেতাসুজন চক্রবর্তী বলেন, “জীবিতমানুষের স্তুতি করা মানে তাঁঁর ক্ষতি করা । আর তাঁঁর সমালোচনা মানে তাকে সাহায্যকরা । কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য থেকে যে মানুষ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীহয়েছিলেন, তাঁঁরসঙ্গে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রীর বিস্তর ফারাক । সমসাময়িক অবস্থায় বাম গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ ও বৃহত্তর মানুষের ঐক্যজরুরি । বিধান রায় বিরোধীদের মর্যাদা দিতেন । তাঁঁর শাসনে 100 দিনের বেশি বিধানসভার অধিবেশন হত ।পাশাপাশি তিনি আরও বলেন,"বিরোধীদেরমুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা ছিল বিধানচন্দ্র রায়ের । জ্যোতিবাবু তখন বিরোধী দলের নেতা। বিধান রায়কে প্রকৃত সম্মান জানাতে সল্টলেকের নামকরণ করা হয়েছিল বিধানচন্দ্ররায়ের নামে । আর বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমতায় এসে জ্যোতিবাবুর নামের বিভিন্নপ্রকল্প মুছে দিয়েছেন । আজকের মতো সংস্কৃতি তখন ছিল না । কালকের যোগী ক্ষমতায়এসে অসভ্যতা শুরু করেছেন । বিরোধীদের গুরুত্ব দিতেন বিধান চন্দ্র রায়। দুর্গাপুরউপনগরী তৈরির সময় জ্যোতিবাবুর সঙ্গে পরামর্শ করতেন তিনি । এখন সে সব বালাই নেই ।আজকের শাসকদল সে সব বুঝল না ।"

নজিরবিহীনভাবেবিধানচন্দ্র রায়ের জন্মদিনে বামফ্রন্টকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে প্রদেশ কংগ্রেস । দীর্ঘদিনধরে তারা এই দিনটিকে এককভাবে পালন করে । এই প্রথম বামফ্রন্টকে তারা আমন্ত্রণজানিয়েছে । এই প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “সময়ের প্রয়োজনে, বিকল্প গণতান্ত্রিক, ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে প্রতিষ্ঠা করতেবামফ্রন্টের সঙ্গে জোট বাঁধা হয়েছে । গণতন্ত্রের জন্য জন্ম থেকে লড়াই করছেবামফ্রন্ট । মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে তারা । সে কারণে সকলে মিলে শক্তিকেসংগঠিত করছি । রাজ্য এবং রাষ্ট্রের ক্ষেত্রে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যৌথভাবে কাজকরবে । গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করে মানুষের অধিকারের কথা বলবে বাম-কংগ্রেসের জোট। দুই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মঞ্চের চেহারা বদল হয়েছে । কংগ্রেস এবংবামফ্রন্ট কেউ এককভাবে এখন লড়াই করতে পারবে না । সে কারণে যৌথভাবে আমাদের লড়াই ।কেন্দ্রে এবং রাজ্যে যতদিন এই দুই অশুভ শক্তি বিরাজ করবে, ততদিন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেসের আন্দোলনচলবে ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.