কলকাতা, 20 জানুয়ারি : পুরনির্বাচনের দাবিতে সরব হলেন কলকাতা পৌরনিগমের বিরোধী বাম কংগ্রেসের (কাউন্সিলররা) ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরা। কলকাতার পৌরনিগমের সদর দপ্তরে বিদায়ী বাম ও কংগ্রেস কাউন্সিলররা বিক্ষোভ দেখায়। তাঁদের দাবি কলকাতা পৌরনিগম সহ রাজ্যের সবক’টি পুরনির্বাচন দ্রুত করতে হবে। এদিন বিক্ষোভ দেখানোর পর কলকাতা পৌরনিগমের কমিশনার বিনোদ কুমারের কাছে নির্বাচনের দাবিতে ডেপুটেশন জমা দেন বাম ও কংগ্রেসের বিদায়ী কাউন্সিলররা ৷ তাঁরা অভিযোগ করেছেন, রাজ্যের শাসক দল নিজেদের সুবিধার জন্য নির্বাচনে যাচ্ছে না ৷
প্রাক্তন বাম বিরোধী নেত্রী তথা বর্তমানে 128 নং ওয়ার্ডের কো-অর্ডিনেটর রত্না রায় মজুমদার জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে কলকাতা সহ বিভিন্ন পুর এলাকায় মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নির্বাচন করছে না। তাই দ্রুত নির্বাচন করে গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠা করার দাবিতে এদিনের বিক্ষোভ বলে জানান তিনি। রাজ্য সরকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে যাওয়ার পরেও নির্বাচন না করে স্বৈরাচারীতা করছে এমনটাই অভিযোগ করেছেন রত্না রায় মজুমদার। এদিন তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচন না হয় ফলে উন্নয়নের কাজ থমকে গেছে। তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে যারা ওয়ার্ড কো-অডিনেটর হয়েছেন তারাই একসময় নিজেদের এলাকার কাউন্সিলর ছিলেন। কাউন্সিলর থেকে ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর হয়ে ক্ষমতা অনেক কমে গেছে। আগে অধিবেশন কক্ষে যেভাবে বিরোধীরা সরব হতে পারতো, এখন সেইভাবে বিরোধীরা কথা বলতে পারছে না। মানুষের অভাব অভিযোগের কথা তুলে ধরতে পারছেন না বিরোধী ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটররা ।
আরও পড়ুন : "শুভেন্দু কালিদাস, যে ডালে বসেছিল সেই ডাল কেটে ফেলছে", কটাক্ষ ফিরহাদের
এদিন কংগ্রেসের বিদায়ী কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘‘গণতন্ত্র রক্ষার দাবিতে এদিন বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস একসঙ্গে এই বিক্ষোভ শামিল হয়েছে। গত বছর এপ্রিল মাসে কলকাতা পৌরনিগমের তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। তারপর দীর্ঘ সময় কেটে গেছে কিন্তু সরকার কোনও নির্বাচনে যেতে চাইছে না। এক বছর কেটে গেলেও রাজ্য সরকার নির্বাচনের ঘোষণা করেনি। শুধু কলকাতাই নয়, রাজ্যের একাধিক পৌরসভা একই অবস্থায় পড়ে রয়েছে।’’ দ্রুত নির্বাচন না করে তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে বিদায়ী বাম ও কংগ্রেস কাউন্সিলররা জানিয়েছেন ।