কলকাতা, 27 সেপ্টেম্বর : কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি আইন এ-রাজ্যে লাগু করা যাবে না । অবিলম্বে বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডেকে এ-রাজ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলকে খারিজ করার আবেদন জানিয়েছে সারা ভারত কিষান মহাসভা । আগামীকাল যখন প্রদেশ কংগ্রেস কৃষি আইনের বিরুদ্ধে গান্ধি মূর্তি থেকে রাজভবন পর্যন্ত বিক্ষোভ মিছিল করবে তখন মধ্য কলকাতার মিন্টো পার্কে সর্বভারতীয় কৃষক সংগঠনের পক্ষ থেকে “কর্পোরেট হটাও, কৃষক ও কৃষি বাঁচাও অভিযান” করা হবে । বিরোধীরা কয়েকদিন ধরে অভিযোগ জানিয়ে আসছিল, কেন্দ্রীয় সরকার ইচ্ছা করে কৃত্রিম (ম্যান মেড) খাদ্য সংকট তৈরি করতে চলেছে । দেশে এবং রাজ্যে ভয়ঙ্কর দুর্দিন আসছে । কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষক বিরোধী নতুন কৃষি আইনের জন্য বহু কৃষক আত্মহত্যা করবে বলে আশঙ্কা বিরোধীদের ।
এ-রাজ্যে লাগাতার বিক্ষোভ কর্মসূচির সিদ্ধান্ত নিয়েছে শ্রমিক সংগঠন CITU। তাদের দাবি, যতদিন না কেন্দ্রীয় সরকার কৃষি বিল প্রত্যাহার করছে ততদিন রাজ্য এবং দেশজুড়ে লাগাতার আন্দোলন করবে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন CITU ।
CITU-র রাজ্য সম্পাদক অনাদি সাহু জানিয়েছেন, “মানুষের খাদ্যের অধিকার হরণ করছে কেন্দ্র । কৃষক এবং কৃষি ব্যবস্থাকে ধ্বংস করতে চাইছে । দেশের মানুষকে শেষ করে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের এই কৃষি আইনই যথেষ্ট । অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে দেশে অনাহারের সংখ্যা বেড়ে যাবে। দুর্ভিক্ষের চেয়েও কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হবে দেশ এবং রাজ্য জুড়ে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন প্রত্যাহার করতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে । শ্রম আইনকে একতরফাভাবে সংশোধন করে সংসদে পেশ করা হয়েছে । প্রত্যাহার করতে হবে সেই সংশোধনীকে । কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমনের সময় কর্মহীন মানুষকে অন্তত ছয় মাস সাড়ে সাত হাজার টাকা করে দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের ।”
আরও পড়ুন : বিক্ষোভ-বিতর্কের মাঝেই কৃষি বিলে সই রাষ্ট্রপতির
তিনি আরও বলেন, “এই প্যানডেমিকের চিকিৎসার দায়িত্ব দুই সরকারকেই নিতে হবে । কেন্দ্রীয় সরকার কোনও দায়িত্ব পালন করছে না । বিপদে রয়েছেন মানুষ । কেন্দ্রীয় বাজেটের কত টাকা স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ করা হয়েছে, তার কোনও হিসেব নেই দেশের সরকারের কাছে ।” রাজ্যের এই ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্য গুলিকেও সাহায্য করছে না বলে অভিযোগ করেন রাজ্যের প্রাক্তন শ্রমমন্ত্রী অনাদি সাহু।