ETV Bharat / city

করিমপুর থেকে উদ্ধার হেরোইন তৈরির সামগ্রী

করিমপুর থেকে উদ্ধার 53 কেজি 500 গ্রাম কোডিন ফসফেট পিকচার। যা মরফিন থেকে তৈরি হয়। এই মিক্সচারের সঙ্গে অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড মিশিয়ে তৈরি করা হয় হেরোইন। ওই একই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় ব্রাউন সুগারও ।

heroin
heroin
author img

By

Published : Mar 6, 2020, 5:18 AM IST

কলকাতা, 6 মার্চ: বছর কয়েক বন্ধ ছিল কারবার । নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরো এবং গোয়েন্দাদের ধরপাকড়ে জাল অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিল কুচক্রীরা । কিন্তু ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করিমপুর ও তার সংলগ্ন অঞ্চল । গোয়েন্দাদের সন্দেহ কারবার ফিরছে স্বমহিমায় । করিমপুর এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তৈরি হয়েছে হেরোইন তৈরির ল্যাব। বুধবার সন্ধ্যার পর অন্তত এবিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দারা।

নানাভাবে খবর পাচ্ছিল CID । অ্যান্টি নারকোটিক সেলের অফিসাররা সক্রিয় করে তোলেন করিমপুর এলাকার সমস্ত সোর্স। আর তাতেই বুধবার বিকালে উদ্ধার হয় 53 কেজি 500 গ্রাম কোডিন ফসফেট পিকচার । যা মরফিন থেকে তৈরি হয় । সাম্প্রতিক অতীতে এত বিপুল পরিমাণ কোডিন ফসফেট মিক্সচার উদ্ধার হয়নি । এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 2 জনকে । ধৃতদের নাম শফিকুল ইসলাম শেখ(45), এবং শ্যামল সরকার(30) । ধৃত শফিকুলের বাড়ি জলঙ্গিতে । সূত্র জানাচ্ছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকায় হেরোইন তৈরির রমরমা কারবার চলছে বেশ কিছুদিন ধরে । করিমপুর থেকে এই বিপুল পরিমাণ কোডিন ফসফেট মিক্সচার উদ্ধার হওয়ার পর গোয়েন্দারা বুঝতে পারছেন করিমপুরের ড্রাগ কারবারিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয়েছে লালগোলার ড্রাগ কারবারীদের । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পেতে চাইছে গোয়েন্দারা । ধৃতদের কাছে উদ্ধার হয়েছে একটি মারুতি গাড়ি । উদ্ধার হয়েছে 25 হাজার 200 টাকা ।

পোস্তর আঠার সঙ্গে কয়েকটি যৌগ মিশিয়ে তৈরি করা হয় মরফিন । সেই মরফিন থেকে তৈরি হয় কোডিন ফসফেট মিক্সচার । এই মিক্সচারের সঙ্গে অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড মিশিয়ে তৈরি করা হয় হেরোইন । ওই একই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় ব্রাউন সুগারও ।

heroin
গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত

একটা সময় নদিয়ার একটা বড় অংশ উঠে এসেছিল নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরোর রেড জ়োনে‌ । করিমপুর সাব ডিভিশনের মত এলাকায় দেদার চলছিল আফিম চাষ । নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরোর তথ‍্য বলছে, এই জেলায় একটা সময় পাওয়া গিয়েছিল হেরোইন তৈরির ল‍্যাবের সন্ধান । তবে সেই ল‍্যাবে খুব ভালো গুনমানের হেরোইন তৈরি করা যেত না । সম্প্রতি পলাশিপাড়ার বাসিন্দা জসিমউদ্দিন মণ্ডল রেডিমেট আটার প‍্যাকেটে হেরোইন ভরে একটি প্রাইভেট গাড়িতে মানিকতলা এলাকায় নিয়ে আসছিল । কিন্তু কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় । জানুয়ারি মাসে পূর্ব যাদবপুর এলাকায় হাসিবুর রহমান নামে নদিয়ার কালীগঞ্জের এক বাসিন্দা দু'কেজি হেরোইনসহ ধরা পড়ে কলকাতা পুলিশের হাতে । ওই ব্যক্তি ভোজ‍্য মসলার প‍্যাকেটে ভরে আনছিল গুণগত দিক থেকে অত্যন্ত ভালো মানের হেরোইন। তারপর বুধবার উদ্ধার হলো মরফিনের যৌগ । একের পর এক হেরোইন কারবারির সঙ্গে নদিয়ার করিমপুর ও তার সংলগ্ন এলাকার যোগসূত্র মেলায় গোয়েন্দাদের সন্দেহ মাদক কারবারিরা জাঁকিয়ে বসেছে ওই এলাকায় ।

কলকাতা, 6 মার্চ: বছর কয়েক বন্ধ ছিল কারবার । নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরো এবং গোয়েন্দাদের ধরপাকড়ে জাল অনেকটাই গুটিয়ে নিয়েছিল কুচক্রীরা । কিন্তু ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে করিমপুর ও তার সংলগ্ন অঞ্চল । গোয়েন্দাদের সন্দেহ কারবার ফিরছে স্বমহিমায় । করিমপুর এবং সংলগ্ন এলাকাগুলিতে তৈরি হয়েছে হেরোইন তৈরির ল্যাব। বুধবার সন্ধ্যার পর অন্তত এবিষয়ে অনেকটাই নিশ্চিত গোয়েন্দারা।

নানাভাবে খবর পাচ্ছিল CID । অ্যান্টি নারকোটিক সেলের অফিসাররা সক্রিয় করে তোলেন করিমপুর এলাকার সমস্ত সোর্স। আর তাতেই বুধবার বিকালে উদ্ধার হয় 53 কেজি 500 গ্রাম কোডিন ফসফেট পিকচার । যা মরফিন থেকে তৈরি হয় । সাম্প্রতিক অতীতে এত বিপুল পরিমাণ কোডিন ফসফেট মিক্সচার উদ্ধার হয়নি । এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে 2 জনকে । ধৃতদের নাম শফিকুল ইসলাম শেখ(45), এবং শ্যামল সরকার(30) । ধৃত শফিকুলের বাড়ি জলঙ্গিতে । সূত্র জানাচ্ছে মুর্শিদাবাদের লালগোলা এলাকায় হেরোইন তৈরির রমরমা কারবার চলছে বেশ কিছুদিন ধরে । করিমপুর থেকে এই বিপুল পরিমাণ কোডিন ফসফেট মিক্সচার উদ্ধার হওয়ার পর গোয়েন্দারা বুঝতে পারছেন করিমপুরের ড্রাগ কারবারিদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ তৈরি হয়েছে লালগোলার ড্রাগ কারবারীদের । ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এবিষয়ে নিশ্চিত তথ্য পেতে চাইছে গোয়েন্দারা । ধৃতদের কাছে উদ্ধার হয়েছে একটি মারুতি গাড়ি । উদ্ধার হয়েছে 25 হাজার 200 টাকা ।

পোস্তর আঠার সঙ্গে কয়েকটি যৌগ মিশিয়ে তৈরি করা হয় মরফিন । সেই মরফিন থেকে তৈরি হয় কোডিন ফসফেট মিক্সচার । এই মিক্সচারের সঙ্গে অ্যাসিটিক অ্যানহাইড্রাইড মিশিয়ে তৈরি করা হয় হেরোইন । ওই একই পদ্ধতিতে তৈরি করা হয় ব্রাউন সুগারও ।

heroin
গ্রেপ্তার দুই অভিযুক্ত

একটা সময় নদিয়ার একটা বড় অংশ উঠে এসেছিল নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরোর রেড জ়োনে‌ । করিমপুর সাব ডিভিশনের মত এলাকায় দেদার চলছিল আফিম চাষ । নারকোটিক কন্ট্রোল বিউরোর তথ‍্য বলছে, এই জেলায় একটা সময় পাওয়া গিয়েছিল হেরোইন তৈরির ল‍্যাবের সন্ধান । তবে সেই ল‍্যাবে খুব ভালো গুনমানের হেরোইন তৈরি করা যেত না । সম্প্রতি পলাশিপাড়ার বাসিন্দা জসিমউদ্দিন মণ্ডল রেডিমেট আটার প‍্যাকেটে হেরোইন ভরে একটি প্রাইভেট গাড়িতে মানিকতলা এলাকায় নিয়ে আসছিল । কিন্তু কলকাতা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যায় । জানুয়ারি মাসে পূর্ব যাদবপুর এলাকায় হাসিবুর রহমান নামে নদিয়ার কালীগঞ্জের এক বাসিন্দা দু'কেজি হেরোইনসহ ধরা পড়ে কলকাতা পুলিশের হাতে । ওই ব্যক্তি ভোজ‍্য মসলার প‍্যাকেটে ভরে আনছিল গুণগত দিক থেকে অত্যন্ত ভালো মানের হেরোইন। তারপর বুধবার উদ্ধার হলো মরফিনের যৌগ । একের পর এক হেরোইন কারবারির সঙ্গে নদিয়ার করিমপুর ও তার সংলগ্ন এলাকার যোগসূত্র মেলায় গোয়েন্দাদের সন্দেহ মাদক কারবারিরা জাঁকিয়ে বসেছে ওই এলাকায় ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.