কলকাতা, 10 অক্টোবর : এবারের পুজোর সঙ্গে কিছুটা ফারাক রয়েছে গতবারের পুজোর ৷ গত বছরের মতো কড়াকড়ি না থাকলেও এই বছরে পুজো মণ্ডপে প্রবেশের ব্যাপারে কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, এবারের ভিড়টা হবে মূলত রাস্তায়। মহানগরীর রাস্তায় গাড়ির সংখ্যাও বৃদ্ধি পাবে। যেহেতু কড়া বিধি-নিষেধের কারণে গত বছর পুজোয় মানুষ সেভাবে বাইরে বের হননি, তাই স্বাভাবিক ভাবেই অনেকেই চাইবেন এবারের পুজোর আনন্দে কোনও খামতি না রাখতে ৷
এবারের পুজোয় বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও, পঞ্চমীর দিন দুপুর থেকেই মানুষ রাস্তায় নেমে পড়েছেন। আর তার সঙ্গে নেমেছে পুলিশও। এরমধ্যে বৃষ্টি হলে মহানগরীর রাস্তায় যানজটের সম্ভাবনা আছে ৷ তার জন্যই আগাম কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে লালবাজার।
আরও পড়ুন : Durga Puja : পুজোর কলকাতায় রাতে বাস পরিষেবা পরিবহণ দফতরের
জানা গিয়েছে, কলকাতা পৌরনিগমের আধিকারিকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই বৈঠক হয়েছে কলকাতা পুলিশের। পাশাপাশি, প্রয়োজনে লালবাজারের রিজার্ভ বাহিনীকেও রাস্তায় ট্র্যাফিক সামলাতে নামানো হতে পারে ৷ যুগ্ম নগরপাল (ট্র্যাফিক) ও ডিসি (ট্র্যাফিক) প্রয়োজনে রাস্তায় নামতে পারেন বলে লালবাজার সূত্রের খবর। তৃতীয়ার রাত থেকেই শহরে গাড়ির গতি স্লথ হয়েছে। ফলে পুজোর সময় আরও বাড়তে পারে শহরের রাস্তায় গাড়ির চাপ ৷
লালবাজার কন্ট্রোল রুম সূত্রের খবর, উত্তর কলকাতার বুকে একাধিক বড় বড় পুজো মণ্ডপ হওয়ার ফলে গাড়ির গতি স্লথ হচ্ছে। চিড়িয়ামোড় থেকে শ্যামবাজার যেতে সময় লাগছে প্রায় 1 ঘণ্টা ৷ যা অন্যদিন সময় লাগে খুব বেশি হলেও মাত্র 25 মিনিট। তাছাড়াও প্রত্যেক পুজো মণ্ডপ উদ্যক্তাদের স্পষ্ট ভাবে বলে দেওয়া হয়েছে, গাড়ি পার্কিংয়ের ব্য়বস্থা পুজো মণ্ডপ থেকে অনেকটা ভিতরে করতে। রাস্তায় বাইক বা গাড়ি দাঁড় করিয়ে রাখলে নেওয়া হবে আইনানুক ব্যবস্থা। কোনও ভাবেই পুজোর সময় যাতে শহরের ট্র্যাফিক ব্যবস্থা ভেঙে না পরে তার চেষ্টা চালাচ্ছে লালবাজার ৷