ETV Bharat / city

মহিলা বক্সার হেনস্থায় ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি

আন্তর্জাতিক মহিলা বক্সার সুমন কুমারীর হেনস্থার ঘটনায় DC ট্র্যাফিক সন্তোষ পান্ডের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । সূত্রের খবর, ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড বা শোকজ় করা হতে পারে ।

সুমন কুমারী
author img

By

Published : Jun 30, 2019, 2:34 PM IST

Updated : Jun 30, 2019, 2:50 PM IST

কলকাতা, 30 জুন: আন্তর্জাতিক মহিলা বক্সার সুমন কুমারীর হেনস্থার ঘটনায় DC ট্র্যাফিক সন্তোষ পান্ডের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । মিস ইন্ডিয়া ইউনির্ভাস উষসী সেনগুপ্তর হেনস্থার ঘটনার পর কলকাতার রাস্তায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্সার সুমন কুমারীও হেনস্থার শিকার হন । এতেই ক্ষুব্ধ হন CP । DC ট্র্যাফিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড বা শোকজ় করা হতে পারে ।

বক্সার সুমন কুমারীর অভিযোগ, মোমিনপুর রিমাউন্ট রোডের মুখে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ হেনস্থার সময় তাঁকে কোনও সাহায্য করেননি । সুমনের সঙ্গে অভদ্র আচরণের পাশাপাশি তাঁকে গালিগালাজ করেছিল এক যুবক । এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই যুবক পালটা তেড়ে যায় । এমনকী সুমনের গলাও চেপে ধরে । এই ঘটনার পর কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকে অভিযোগ জানালে তিনি সুমনকে কোনও সাহায্য না করে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন । এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশ কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।

দেখুন ভিডিয়ো

সম্প্রতি, মিস ইন্ডিয়া ইউনির্ভাস উষসী সেনগুপ্তর হেনস্থার ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের সবকটি থানার উদ্দেশে জারি করা হয় SOP । কমিশনার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে পরিস্থিতি বিশেষে থানা-এলাকা দেখলে চলবে না । ট্র্যাফিক ও থানাকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে । তারপরেও বক্সার সুমনকে কেন রাস্তায় থাকা কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ সাহায্য করলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার ।

আরও পড়ুন : কলকাতার রাস্তায় মহিলা বক্সারকে হেনস্থা, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ !

কলকাতা, 30 জুন: আন্তর্জাতিক মহিলা বক্সার সুমন কুমারীর হেনস্থার ঘটনায় DC ট্র্যাফিক সন্তোষ পান্ডের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি গঠন করলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা । মিস ইন্ডিয়া ইউনির্ভাস উষসী সেনগুপ্তর হেনস্থার ঘটনার পর কলকাতার রাস্তায় আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্সার সুমন কুমারীও হেনস্থার শিকার হন । এতেই ক্ষুব্ধ হন CP । DC ট্র্যাফিকের নেতৃত্বে তদন্ত কমিটি ঘটনাস্থানে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীর ভূমিকা খতিয়ে দেখবে বলে জানা গেছে। সূত্রের খবর, ওই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড বা শোকজ় করা হতে পারে ।

বক্সার সুমন কুমারীর অভিযোগ, মোমিনপুর রিমাউন্ট রোডের মুখে কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ হেনস্থার সময় তাঁকে কোনও সাহায্য করেননি । সুমনের সঙ্গে অভদ্র আচরণের পাশাপাশি তাঁকে গালিগালাজ করেছিল এক যুবক । এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে ওই যুবক পালটা তেড়ে যায় । এমনকী সুমনের গলাও চেপে ধরে । এই ঘটনার পর কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশকে অভিযোগ জানালে তিনি সুমনকে কোনও সাহায্য না করে থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন । এই ঘটনার কথা জানতে পেরেই পুলিশ কমিশনার ক্ষোভ প্রকাশ করেন ।

দেখুন ভিডিয়ো

সম্প্রতি, মিস ইন্ডিয়া ইউনির্ভাস উষসী সেনগুপ্তর হেনস্থার ঘটনার পর কলকাতা পুলিশের সবকটি থানার উদ্দেশে জারি করা হয় SOP । কমিশনার নির্দেশ দিয়েছিলেন, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিষয়ে পরিস্থিতি বিশেষে থানা-এলাকা দেখলে চলবে না । ট্র্যাফিক ও থানাকে যৌথভাবে কাজ করতে হবে । তারপরেও বক্সার সুমনকে কেন রাস্তায় থাকা কর্তব্যরত ট্র্যাফিক পুলিশ সাহায্য করলেন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে লালবাজার ।

আরও পড়ুন : কলকাতার রাস্তায় মহিলা বক্সারকে হেনস্থা, দাঁড়িয়ে দেখল পুলিশ !

Intro:কলকাতা, ৩০ জুন: প্রথমবার দায়িত্ব নিয়েই পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা বলেছিলেন, মহিলাদের সুরক্ষাই অগ্রাধিকার হবে কলকাতা পুলিশের। লোকসভা নির্বাচনের পর দ্বিতীয় বার দায়িত্বে ফিরে এসে ‌ তিনি যেন আবিষ্কার করছেন, সব ঠিক নেই। নির্দিষ্ট নির্দেশ সব মহলে পৌঁছায় না। আর তাই মিস ইন্ডিয়া ইউনিভার্স উষসী সেনগুপ্তর ঘটনার পরে SOP জারি করেও সাফল্য আসেনি। হেনস্তা হতে হয়েছে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বক্সার সুমন কুমারীকে। সূত্র জানাচ্ছে বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ পুলিশ কমিশনার। কারণ পুলিশের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। আর তাই তিনি ডিসি ট্রাফিকের নেতৃত্বে তৈরি করলেন তদন্ত কমিটি। যে কমিটি খতিয়ে দেখছে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ট্রাফিক পুলিশকর্মীর ভূমিকা। সূত্র জানাচ্ছে, সাসপেন্ড বা শোকজ করা হতে পারে ওই পুলিশকর্মীকে। Body:গত সপ্তাহে হেনস্থার ঘটনা নিয়ে উশষী জানিয়েছেন, কলকাতার বাইপাসের ধারের একটি পাঁচতারা হোটেল থেকে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। সঙ্গে ছিল এক বন্ধু। ময়দান থানা লাগোয়া এক্সাইড মোড়ে বাঁদিককে তাঁর উবের ঘুরতেই একটি বাইক উবেরে ধাক্কা মারে। মুহুর্তের মধ্যে সেখানে ঢুকে যায় 15 জন। তারপর গাড়ির জানালা খুলে গাড়ি থেকে ড্রাইভারকে বের করার চেষ্টা করে। উশষী লিখেছেন,“ ড্রাইভারকে গাড়ি থেকে নামিয়ে শুরু করে মারধর। অসহায় অবস্থায় আমি গাড়ি থেকে নেমে ছবি তুলতে শুরু করে দিই। সঙ্গে শুরু করি চিৎকার। না, কেউ এগিয়ে আসেনি। এরপর আমি দৌড়ে ময়দান থানায় চায়। চাই সাহায্য। ময়দান থানার পুলিশ প্রথমে বলে ওই এলাকা তাদের নয়। ওটি ভবানীপুর থানার অন্তর্গত। পরে আরো চিৎকার-চেঁচামেচি করতে পুলিশ এসে ওই যুবকদের সড়িয়ে দেয়।"

এরপর উষসী বন্ধুকে লেক গার্ডেন্সে নামাতে যান। লেক গার্ডেনস হাউসিংয়ের কাছে হঠাৎই দেখেন তিনটি বাইকে হেলমেটহীন ৬ যুবক। অভিযোগ তারা উশষীর উবের থামায়। গাড়িকে লক্ষ্য করে পাথর ছোঁড়ে। অভিনেত্রীকে গাড়ি থেকে বের করে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বলা হয়, ছবি ডিলিট করতে হবে।তাঁর বন্ধু তখন ভয় পেয়ে গাড়ি থেকে লাফিয়ে নামে। ওই মডেল-অভিনেত্রী তখন সাহায্যের জন্য চিৎকার শুরু করেন। এবার স্থানীয়রা বেরিয়ে আসে। উশষী লিখেছেন, “ স্থানীয়দের দেখে আমি যেন প্রাণ ফিরে পেলাম। তারপর আমি আমার বাবা এবং বোনকে ডাকি। ঘটনাস্থলের পরের গলিতেই আমার বাড়ি। ইতিমধ্যেই পুলিশ আসে। বলা হয়, চারু মার্কেট থানায় অভিযোগ দায়ের করতে। আমি সেখানে যাই। উপস্থিত সাব-ইন্সপেক্টর আমায় বলেন, এই অভিযোগ একমাত্র ভবানীপুর থানাতেই হতে পারে। আমি তখন কি করবো কিছু বুঝে উঠতে পারছিলাম না। থানাতেই চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করি। সেখানে কোনও মহিলা পুলিশ ছিল না। চিৎকার চেঁচামেচি করে কাজ হয়। তখন রাত দেড়টা। চারু মার্কেট থানায় আমার অভিযোগ নেওয়া হয়। কিন্তু নেওয়া হয়নি ড্রাইভারের অভিযোগ।"
Conclusion:এই ঘটনার পরে নড়েচড়ে বসে কলকাতা পুলিশ। রাতের কলকাতায় শুরু হয় নাকা চেকিং। পাশাপাশি কলকাতা পুলিশের সবকটি থানার উদ্দেশ্যে জারি করা হয় এস ও পি। যেখানে বলা হয়েছিল, আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত তেমন পরিস্থিতি এলে থানা এলাকা দেখলে চলবে না। পাশাপাশি, কোনও ট্রাফিক পুলিশ যদি আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সমস্যা দেখেন, তিনি তৎক্ষণাৎ জানাবেন থানাকে। তেমন পরিস্থিতিতে নিজে বিষয়টি দেখবেন। অভিযোগ, সুমনের ক্ষেত্রে মমিনপুর রিমাউন্ট রোডের মুখে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশ কোন সাহায্য করেননি। সুমন সাহায্য চাইলে উল্টে তিনি তাঁকে থানায় যাবার পরামর্শ দেন। ডিসি ট্রাফিক সন্তোষ পান্ডের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি এই বিষয়টি খতিয়ে দেখবে। উষসীর ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিয়েছিলো পুলিশ। সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে দোষী প্রমাণিত হলে ওই ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
Last Updated : Jun 30, 2019, 2:50 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.