কলকাতা, 3 নভেম্বর: এ বার বাজির প্যাকেটের গায়ে কিউআর কোড (QR Code) স্ক্যান করে মিলিয়ে নেওয়া হবে বাজিটি আদৌও গ্রিন ক্র্যাকার বা পরিবেশবান্ধব বাজি (Green Firecrackers) কি না । এই অভিনব পদ্ধতিকে এ বার হাতিয়ার করছে লালবাজার । কলকাতা পুলিশের (Kolkata Police) যুগ্ম নগরপাল (সদর) শুভঙ্কর সিনহা সরকার এ ব্যাপারে বলেছেন, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব । চারিদিকে পুলিশ থাকবে ৷ অপ্রিয় ঘটনা এড়াতে বদ্ধপরিকর লালবাজার ।
লালবাজার সূত্রে খবর, বেআইনি শব্দবাজি বিক্রির জন্য এখনও পর্যন্ত 14 জন গ্রেফতার হয়েছে । পুলিশ আধিকারিকরা জানার চেষ্টা করছেন বাজির প্যাকেটের মোড়কে ‘সিএসআইআর’ ও ‘এনইইআরআই’-র লোগো রয়েছে কি না । ওই লোগোর সঙ্গে থাকছে একটি কিউআর কোড । সেটিই স্ক্যান করছেন তদন্তকারীরা । কালীপুজোয় কোনও অপ্রিয় ঘটনা যাতে না-ঘটে, তার জন্য তৈরি লালবাজার ।
রাজ্য সরকারের তরফে নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ভাসানের দিনও । 5, 6 ও 7 তারিখ ভাসান চলবে বলে খবর । লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, শহরে মোট সর্বজনীন কালীপুজো হচ্ছে 3260টি । ফলে দায়িত্ব বেড়েছে লালবাজারের ।
আরও পড়ুন: Green Firecracker : পরিবেশ বান্ধব বাজিতে সম্মতি কলকাতা হাইকোর্টের
বাজি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের আদেশ কার্যকর করতে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে কলকাতা পুলিশের তরফে । লালবাজার সূত্রে খবর, প্রত্যেক থানায় 6 জন করে পুলিশকর্মী এই নজরদারির দায়িত্বে থাকবেন । বাজি ফাটছে কি না নজর রাখবেন তাঁরা । প্রয়োজনে খবর দেবেন কন্ট্রোল রুমে ।
গড়ফা, যাদবপুর, ভবানীপুর-সহ একাধিক জায়গায় বহুতল থেকেও নজরদারি চালাবে লালবাজার । কালীপুজোর দিন বিকেলে 4টে থেকে নজরদারি শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে । অলি-গলিতে অটোয় করে টহল দেবে পুলিশ । প্রয়োজনে থানার সাইকেলও ব্যবহার করতে পারে তারা ।
আরও পড়ুন: Kolkata Murder : হত্যার আগে সারারাত বৃদ্ধার ঘরেই লুকিয়েছিল আততায়ী
বাজি ফাটানো রুখতে কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধানের নেতৃত্বে লালবাজার থেকে অ্যান্টি ক্রাইম টিম মোতায়েন হবে শহর জুড়ে । বাজি ফাটানো আটকাতে প্রত্যেক ডিভিশনে থাকছে স্পেশাল ফোর্স । প্রতিমা ভাসানের শোভাযাত্রায় ডিজে সেট, মাইক কিংবা বাজি ফাটানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে । কালীপুজোর দিনে শহরকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়তে বদ্ধপরিকর লালবাজার ।
আরও পড়ুন: JMB Terrorist Arrested : সুভাষগ্রামে গ্রেফতার সন্দেহভাজন জেএমবি জঙ্গি