কলকাতা, 29 মে : মুর্শিদাবাদের সুতি থেকে গ্রেপ্তার জামাত-উল মুজা়হিদিন ইন্ডিয়ার শীর্ষ জঙ্গি নেতা ৷ ধৃতের নাম আবদুল করিম ওরফে বড় করিম ৷ আজ সকালে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্স তাকে গ্রেপ্তার করে ৷
সূত্র মারফত খবর পেয়ে কাল রাতে মুর্শিদাবাদের সুতিতে অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ৷ সেখান থেকে গ্রেপ্তার হয় বড় করিম ৷
জানা গিয়েছে, শুধুমাত্র ভারত নয়, বাংলাদেশেও বিস্তৃত ছিল বড় করিমের কাজকর্ম । RAB কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের কাছে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হওয়া একাধিক জঙ্গিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে করিমের নামটি পেয়েছিল গোয়েন্দারা । প্রাথমিকভাবে গোয়েন্দারা জানতেন না মুর্শিদাবাদ থেকেই দুজন সঙ্গীর সাহায্যে যাবতীয় অপারেশন চালাচ্ছে সে আবদুল করিম নামে ৷
2017 সালে প্রথম উঠে আসে আবদুল করিমের নাম । সেই বছরের 29 নভেম্বরের কলকাতা পুলিশের স্পেশাল টাস্কফোর্সের FIR এ ছিল তার নাম । 2018 সালের অগাস্ট মাসে বুদ্ধগয়া বিস্ফোরণের অভিযুক্ত হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয় আব্দুল করিমকে । কেরলের মালাপ্পুরমের বাঙালি কলোনি থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে । তার সঙ্গেই গ্রেপ্তার করা হয় মুস্তাফিজুর রহমানকে । তখনই প্রকাশ্যে আসে যে আবদুল করিম একজন নয় । গোয়েন্দারা জানতে পারে, আবদুল করিমের আরেক নাম ছোটো । মুর্শিদাবাদ জেলার সামশেরগঞ্জ থানা এলাকায় আরেক আবদুল করিম জঙ্গি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত । তার কাজকর্মের ব্যাপ্তি অনেক বেশি । শামসেরগঞ্জের আবদুল করিমকে ‘বড় করিম’ নামে ডাকা হয় সংগঠনে ।
এরপর 2018 সালেই বড় করিমের বাড়িতে হানা দেয় স্পেশাল টাস্ক ফোর্স । গোয়ন্দারা জানতে পারে, 2017 সালের FIR-এ যে আবদুল করিমের নাম ছিল সে আর কেউ নয়, বড় করিম । 2018 সালের সেই অভিযানে আবদুল করিমের সামশেরগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় প্রচুর বিস্ফোরক এবং জিহাদি প্রচারপত্র, বইপত্র, বিস্ফোরক বানানোর ফর্মুলা । তবে গোয়েন্দারা বড় করিমকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি সেইবার ৷
গতরাতে গোপন সূত্রে খবর পাওয়া যায়, সুতি থানা এলাকায় একটি গোপন ডেরায় লুকিয়ে রয়েছে বড় করিম । সেই মতোই স্পেশাল টাস্কফোর্সের গোয়েন্দারা গ্রেপ্তার করে তাকে । আজ ধৃত আবদুল করিমকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হয় ৷ 12 জুন অবধি তাঁকে পুলিশি হেপাজতে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত ৷