ETV Bharat / city

ব্যবসায়ীকে অপহরণ ও ডাকাতিতে গ্রেপ্তার মাস্টারমাইন্ড কনস্টেবল - businessman

নদিয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনে কর্মরত কনস্টেবলকে । গতরাতে তাঁকে বীজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । ধৃতকে আজ শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে ।

ছবিটি প্রতীকী
author img

By

Published : Jul 25, 2019, 1:55 PM IST

কলকাতা, 25 জুলাই : অবশেষে পাওয়া গেল খোঁজ । নদিয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনে কর্মরত কনস্টেবলকে । তবে অভিযুক্ত গতবছরের অক্টোবর থেকে ডিউটিতে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ গতরাতে তাঁকে বীজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । ধৃতকে আজ শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে ।

আরও পড়ুন : রক্ষকই ভক্ষক ! ডাকাতিতে জড়িত পুলিশ

ঘটনায় "কেঁচো খুঁড়তে কেউটে"-র সন্ধান পাওয়া যায় । সেই সূত্রে মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা । তদন্তে উঠে আসে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল উৎপল করের নাম । বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছিতে । বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ওই কনস্টেবলই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ।

আরও পড়ুন : অপহরণ ও ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড এক কনস্টেবল ? জটিল হচ্ছে রহস্য

চলতি মাসের 4 তারিখ নদিয়ার জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাবলু নাথ লাখ খানেক টাকা আর গয়না নিয়ে বউবাজারে এসেছিলেন । অভিযোগ, ওই দিন হঠাৎই তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় একটি চারচাকা গাড়ি । বলা হয় পুলিশের রেড । বাবলুবাবুকে গাড়িতে উঠতে হবে তখনই । ভয় পেয়ে বাবলুবাবু অবশ্য ওই গাড়িতে উঠে পড়েন । তাঁর দাবি, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট চত্বরে । তিনি এরপর মুচিপাড়া থানায় গিয়ে পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানান ।

আরও পড়ুন : ব্যবসায়ী অপহরণে এখনও ফেরার মাস্টারমাইন্ড কনস্টেবল, গ্রেপ্তার টিপার

তদন্তে নামে পুলিশ । CCTV ক্যামেরার সূত্র ধরে প্রথমেই পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক নেপাল ধরকে । তাঁকে জেরা করেই জানা যায়, গাড়িটি ভাড়া করেছিল কলকাতা পুলিশের ASI আশিস চন্দ্র । সঙ্গে ছিল বাদল সরকার সহ তিনজন । পুলিশ বাদল, নেপাল এবং আশিসকে গ্রেপ্তার করে গত সপ্তাহে । এই মুহূর্তে তাঁরা রয়েছেন পুলিশি হেপাজতে ৷ গোটা ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানাকে সাহায্য করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ।

তবে লালবাজারের গোয়েন্দারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ঘটনায় টিপার কে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদলবাবুকে কড়া ভাবে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সেই তথ্য । টিপার বাদলেরই পরিচিত মিঠুন নাথ ওরফে হোড় । তিনি শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা । নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর এলাকাতেও তাঁর বাড়ি আছে । তিনি বাবলু নাথের এলাকারই বাসিন্দা । ফলে বাবলুর অনেক কিছুই তিনি জানতেন ৷ মিঠুনবাবু নকল ফুলের ব্যবসা করেন । সেই সূত্রে তিনি দমদমে যাতায়াত করতেন ৷ সেখানেই বাদলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় । ঘটনার দিন মিঠুন বাবলুকে মাজদিয়া স্টেশন থেকেই ফলো করতে শুরু করেন । একই ট্রেনে আসেন শিয়ালদা । তারপর শিকারকে চিনিয়ে দেন আশিসবাবুদের । সেই সূত্রে মিঠুনকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ।

কলকাতা, 25 জুলাই : অবশেষে পাওয়া গেল খোঁজ । নদিয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিশনে কর্মরত কনস্টেবলকে । তবে অভিযুক্ত গতবছরের অক্টোবর থেকে ডিউটিতে অনুপস্থিত ছিলেন ৷ গতরাতে তাঁকে বীজপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ । ধৃতকে আজ শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে ।

আরও পড়ুন : রক্ষকই ভক্ষক ! ডাকাতিতে জড়িত পুলিশ

ঘটনায় "কেঁচো খুঁড়তে কেউটে"-র সন্ধান পাওয়া যায় । সেই সূত্রে মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা । তদন্তে উঠে আসে কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল উৎপল করের নাম । বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছিতে । বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন । ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ওই কনস্টেবলই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড । কিন্তু শেষ রক্ষা হল না । লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন ।

আরও পড়ুন : অপহরণ ও ডাকাতির মাস্টারমাইন্ড এক কনস্টেবল ? জটিল হচ্ছে রহস্য

চলতি মাসের 4 তারিখ নদিয়ার জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাবলু নাথ লাখ খানেক টাকা আর গয়না নিয়ে বউবাজারে এসেছিলেন । অভিযোগ, ওই দিন হঠাৎই তাঁর পথ আটকে দাঁড়ায় একটি চারচাকা গাড়ি । বলা হয় পুলিশের রেড । বাবলুবাবুকে গাড়িতে উঠতে হবে তখনই । ভয় পেয়ে বাবলুবাবু অবশ্য ওই গাড়িতে উঠে পড়েন । তাঁর দাবি, তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট চত্বরে । তিনি এরপর মুচিপাড়া থানায় গিয়ে পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানান ।

আরও পড়ুন : ব্যবসায়ী অপহরণে এখনও ফেরার মাস্টারমাইন্ড কনস্টেবল, গ্রেপ্তার টিপার

তদন্তে নামে পুলিশ । CCTV ক্যামেরার সূত্র ধরে প্রথমেই পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক নেপাল ধরকে । তাঁকে জেরা করেই জানা যায়, গাড়িটি ভাড়া করেছিল কলকাতা পুলিশের ASI আশিস চন্দ্র । সঙ্গে ছিল বাদল সরকার সহ তিনজন । পুলিশ বাদল, নেপাল এবং আশিসকে গ্রেপ্তার করে গত সপ্তাহে । এই মুহূর্তে তাঁরা রয়েছেন পুলিশি হেপাজতে ৷ গোটা ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানাকে সাহায্য করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ ।

তবে লালবাজারের গোয়েন্দারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ঘটনায় টিপার কে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদলবাবুকে কড়া ভাবে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সেই তথ্য । টিপার বাদলেরই পরিচিত মিঠুন নাথ ওরফে হোড় । তিনি শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা । নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর এলাকাতেও তাঁর বাড়ি আছে । তিনি বাবলু নাথের এলাকারই বাসিন্দা । ফলে বাবলুর অনেক কিছুই তিনি জানতেন ৷ মিঠুনবাবু নকল ফুলের ব্যবসা করেন । সেই সূত্রে তিনি দমদমে যাতায়াত করতেন ৷ সেখানেই বাদলের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয় । ঘটনার দিন মিঠুন বাবলুকে মাজদিয়া স্টেশন থেকেই ফলো করতে শুরু করেন । একই ট্রেনে আসেন শিয়ালদা । তারপর শিকারকে চিনিয়ে দেন আশিসবাবুদের । সেই সূত্রে মিঠুনকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ ।

Intro:কলকাতা, ১৫ জুলাই: অবশেষে পাওয়া গেল খোঁজ। নদীয়ার স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ এবং ডাকাতির ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হল কলকাতা পুলিশের নর্থ ডিভিসনে কর্মরত কনস্টেবলকে। তবে অভিযুক্ত গত অক্টোবর মাস থেকে ডিউটিতে অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। গত রাতে তাকে বীজপুর থেকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ। ধৃতকে আজ শিয়ালদা আদালতে তোলা হবে।Body:ঘটনায় কেঁচো খুঁড়তে কেউটে সন্ধান পাওয়া যায়। সেই সূত্রে মামলার তদন্তভার নেয় লালবাজারের গোয়েন্দা শাখা। সেই তদন্তের প্রথমেই পাওয়া যায় কলকাতা পুলিশের কনস্টেবল উৎপল করের নাম। বাড়ি উত্তর 24 পরগনার বামনগাছিতে। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন। ধৃতদের জেরা করে পুলিশ জেনেছে, ওই কনস্টেবলই ঘটনার মাস্টারমাইন্ড। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। লালবাজারের দাবি, ইতিমধ্যেই জেরায় তিনি নিজের দোষ স্বীকার করে নিয়েছেন।

ঘটনা ৪ জুলাইয়ের। নদিয়ার জুয়েলারি ব্যবসায়ী বাবলু নাথ লাখ খানেক টাকা আর গয়না নিয়ে বউবাজারে এসেছিলেন। সাধারণভাবে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা এখান থেকেই গয়না বানান। ব্যতিক্রম নন তিনিও। অভিযোগ, ঐদিন হঠাৎই তার পথ আজকে দাঁড়ায় একটি টাকা সুমো। বলা হয় পুলিশের রেড। বাবলুকে গাড়িতে উঠতে হবে তখনই। ভয় পেয়ে বাবলু ওই গাড়িতে উঠে পড়েন। তার দাবি, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় এয়ারপোর্ট চত্বরে।তিনি এরপর মুচিপাড়া থানা এলাকায় যান। পুলিশকে লিখিত অভিযোগ জানান।

তদন্তে নামে পুলিশ। সিসিটিভি ক্যামেরা সূত্র ধরে প্রথমেই পাকড়াও করা হয় গাড়ির চালক নেপাল ধরকে। তাকে জেরা করেই জানা যায়, গাড়িটি ভাড়া করেছিল কলকাতা পুলিশের এ এস আই আশিস চন্দ্র। সঙ্গে ছিল বাদল সরকার সহ তিনজন। পুলিশ বাদল, নেপাল এবং আশিষকে গ্রেপ্তার করে গত সপ্তাহে। এই মুহূর্তে তারা রয়েছে পুলিশ কাস্টডিতে। গোটা ঘটনার তদন্তে মুচিপাড়া থানাকে সাহায্য করছে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগ।
Conclusion:তবে লালবাজারের গোয়েন্দারা কিছুতেই বুঝতে পারছিলেন না ঘটনায় টিপার কে? পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বাদলকে কড়া ভাবে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে সেই তথ্য। টিপার বাদলেরই পরিচিত মিঠুন মাথ ওরফে হোড়। সে শান্তিপুর এলাকার বাসিন্দা। নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের বানপুর এলাকাতেও তার বাড়ি আছে। সে বাবলু নাথের এলাকারই বাসিন্দা। ফলে বাবলুর অনেক কিছুই সে জানতো। মিঠুন নকল ফুলের ব্যবসা করে। সেই সূত্রে সে দমদমে যাতায়াত করতো। সেখানেই বাদলের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়। ঘটনার দিন অর্থাৎ 4 জুলাই মিঠুন বাবলুকে মাজদিয়া স্টেশন থেকেই ফলো করতে শুরু করে। একই ট্রেনে আসে শিয়ালদা। তারপর শিকারকে চিনিয়ে দেয় আশিস চন্দ্রদের। সেই সূত্রে মিঠুনকে এর আগে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।


ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.