কলকাতা, 29 সেপ্টেম্বর : সাইবার জালিয়াতির (Cyber Fraud) বড়সড় চক্রের হদিশ পেল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police) ৷ অনলাইন গেমিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণার (Gaming App Fraud) অভিযোগ নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে এই জালিয়াতির হদিশ মিলেছে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ৷
ওই সূত্র জানাচ্ছে যে ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা (Dating App Fraud) চক্রের কাজ হচ্ছিল বেহালার মহাবীরতলার একটি অফিসে ৷ বৃহস্পতিবার সেখানেই অভিযান চালায় কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখার আধিকারিকরা ৷ ওই অফিস থেকে 15 জন তরুণীকে উদ্ধার করা হয়েছে ৷
কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর, এই প্রতারণা চক্রের কিংপিন শুভিজৎ শ্রীমানী ৷ তিনি কখনও দুবাইয়ে থাকেন ৷ আবার কখনও মালয়েশিয়ায় ৷ মূলত, মালয়েশিয়া থেকে অনলাইনে এই ডেটিং অ্যাপ প্রতারণার কাজ তিনি চালাতেন ৷ তাছাড়া মোবাইল গেমিং অ্যাপ প্রতারণার সঙ্গেও যুক্ত শুভজিৎ ৷ তাঁর সঙ্গেই কলকাতা থেকে এই কাজ করতেন গার্ডেনরিচের বাসিন্দা আমির খান ৷
আমির খানের বাড়িতে দিন কয়েক আগে তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate) ৷ সেই তল্লাশি অভিযানে উদ্ধার হয় প্রায় 17 কোটি টাকা ৷ কিছুদিন গা ঢাকা দিয়ে থাকলেও সম্প্রতি তাঁকে উত্তরপ্রদেশ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ সূত্রের খবর, জেরায় আমিরের কাছ থেকে বেশ কিছু তথ্য মেলে ৷ সেখান থেকেই আসে শুভজিৎ শ্রীমানীর নাম ৷
সূত্রের খবর, আমিরের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী বৃহস্পতিবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চলে ৷ সল্টলেকের একটি অফিস থেকে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয় ৷ ওই পাঁচজনকে জেরা করেই পার্ক স্ট্রিট, বেহালা-সহ শহরে ছড়িয়ে থাকা এই প্রতারণা চক্রের একাধিক অফিসের সন্ধান পাওয়া যায় ৷
আর বেহালায় অভিযান চালাতেই ডেটিং অ্যাপ প্রতারণার হদিশ পায় পুলিশ ৷ দেশে বিদেশে ছড়িয়ে রয়েছে এই প্রতারণা চক্র ৷ শুভজিৎ-ই এর কিংপিন ৷ তিনি আদতে উত্তর কলকাতার বি কে পাল অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা ৷ তবে এখন বিদেশে থাকেন ৷
যদিও পুলিশ জানতে চাইছে যে ওই তরুণীরা কার মাধ্যমে যোগাযোগ করে ওই অফিসে গেলেন ? তাহলে কলকাতায় বসে কেউ শুভজিৎকে সাহায্য করছে ? আপাতত ওই তরুণীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই তথ্যের উত্তর জানার চেষ্টা করা হবে বলে কলকাতা পুলিশ সূত্রে খবর ৷
আরও পড়ুন : আরও এক 'প্রতারকের' হদিশ ! কলকাতা, বিধাননগরে যৌথ অভিযান ইডি-পুলিশের