কলকাতা, 28 অক্টোবর : বর্ষা বিদায় নিলেও এই মুহূর্তে দক্ষিণবঙ্গে রোজই অল্পবিস্তর বৃষ্টিপাত চলছে। বৃষ্টির জল জমে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। এই মুহূর্তে শহরে প্রায় সাড়ে 6000 জন ম্যালেরিয়া এবং পাঁচশোর বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে এলাকার বর্তমান ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে জানিয়েছেন কলকাতা পৌরনিগমের প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য তথা স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান অতীন ঘোষ।
বৃহস্পতিবার তিনি জানান, কলকাতা পৌরনিগমের সদর দফতর থেকে সামগ্রিক পরিস্থিতির উপর নজর রাখছেন। কলকাতা পৌরনিগমের স্বাস্থ্যকর্মীরা মশা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত ওষুধ ছড়াচ্ছেন বলেও তিনি জানান। অতীন ঘোষ বলেন, ‘‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর অনেক বেশি বৃষ্টি হয়েছে শহরে। বর্ষা বিদায় নিলেও শহরে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলছে ফলে জল জমে মশাবাহিত রোগের সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকছে। গত বছরের তুলনায় এবছর পরিস্থিতি অনেক নিয়ন্ত্রণে ৷’’ গত বছরের তুলনায় এ বছর প্রায় 65 শতাংশ কম মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বলে দাবি অতীন তাঁর।
আরও পড়ুন : KMC Containment Zone : সোনারপুর-রাজপুরের সীমানায় আগামিকাল থেকে কনটেনমেন্ট জোন কলকাতা পৌরনিগমের
কিন্তু এরপরেও যেসব এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি, সেইসব এলাকায় স্থানীয় কো-অর্ডিনেটরদের আরও এগিয়ে আসতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই মুহূর্তে বোরো 7 এবং বোরো 8-এ মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেশি রয়েছে। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় প্রতিদিনই একটি-দু‘টি করে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর কেস ধরা পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে অনেক ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরই সক্রিয় ভূমিকা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।
এদিন কলকাতা পৌর নিগমের সদর দফতরে করোনা কথা নামে একটি বই প্রকাশ করেন অতীন ঘোষ। এই বইতে করোনা সম্পর্কে বহু প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। কলকাতা পৌরনিগমের মুখ্য পরামর্শদাতা চিকিৎসক তপন মুখোপাধ্যায় এই বইটি লিখেছেন।